করোনা ভাইরাসের আতংকে দেশের সর্বত্রই প্রায় লক ডাউন বলা চলে। মহিলা তো দুরের কথা, পুরুষেরা ও ঘর থেকে বের হয়না। প্রত্যেকেই নিজের থেকেই কোয়ারেন্টাইনে আছে। রাস্তা ঘাটে ২/১ জন পুরুষ দেখা গেলেও ১ টা মহিলার (মেয়েদের) দেখাও আর এখন মিলবেনা।
হে বোন, গতকাল ও যে তুমি দেহের দুই-তৃতীয়াংশ বের করে রাস্তা দিয়ে হেটেছো। সেই আজ তুমি ঘরের মধ্যে ও পুরো শরীরকে আবৃত করে রেখেছো। একবার ভেবে দেখ যে, তোমার পাশে থাকা পর্দানশীন মেয়েটা আগে থেকেই আল্লাহর হুকুমকে মানার জন্য আইসোলিউসিন (পর্দা) এ ছিল। কিন্তু তখন তুমি মুল্য বুঝোনি। আজকে সামান্য দুনিয়ার আতংকে আতংকিত হয়ে তুমিও কোয়ারেন্টাইনে আছো। কিন্তু পরকালের ভয় তোমার কাছে কি দুনিয়ার চেয়েও কম হয়ে গেল?
হে বোন, তুমি মনে রেখ যে, পর্দা যেমন মেয়েদের সম্মানিত করে তেমনিই হেফাজত ও করে। তারেই প্রমানসাপেক্ষে বিচারের জন্য একটু ভাবলেই দেখা যায় যে, যে মেয়েটা আগে থেকেই নামাজ পড়তো, তার দৈনিক কমপক্ষে ৫ বার হাত ধোঁয়া হয়ে যেত। নতুন করে হাত ধোয়ার প্রয়োজন হয়নি। সে আগে থেকেই ঘরের মধ্যে পর্দা করে ছিল। মাস্ক পরে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নতুন করে প্রয়োজন হয়নি।
বিঃদ্রঃ হে বোন, একদিন ঠিকই বুঝবে। কিন্তু সেদিন হয়তো নিজেকে সংশোধন করে নেয়ার সুযোগ থাকবেনা। তাই আজকের এ-ই মহামারির এই পরিস্থিতি থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধির কাজ। আল্লাহ বান্দার ভালো চায় বলেই, প্রত্যেকটা প্রতিকূলতার মধ্যেই কল্যানের বীজ লুকিয়ে রাখে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০১