somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্প্রদায়িকতার রঙ (শুধু ধর্ম আর রাজনীতিতেই নয়)

১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কিছুদিন যাবত মাথার ভিতর সাম্প্রদায়িকতা বিষয়টি বেশি ঘুরছে, এই বিষয়টি নিয়ে কিছু একটা লেখার ইচ্ছেও হয়েছে মাঝে মঝে। এই অলস মস্তিষ্ককে একটু ব্যস্ততায় রাখার জন্য আমার ক্ষুদ্র চিন্তাশক্তি দিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা।

ইংরেজি শব্দ communalism যার বাংলা অর্থ 'সাম্প্রদায়িকতা ' শব্দটি ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হলেও বর্তমান সময়ে প্রফেশন ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতাই বেশি প্রকট বলে মনে হচ্ছে,যেটা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার থেকেও নিকৃষ্ট।
ধর্মের সাম্প্রদায়িকতা একটা নীতির ভিত্তিতে (Ideology) হয়,কিন্তু এই প্রফেশন ভিত্তিক যেই সাম্প্রদায়িকতা তার কোনো নির্দিষ্ট ভাবাদর্শ ( Ideology) নেই।

যখন সমাজের তথাকথিত শিক্ষিত- বুদ্ধিজীবী (বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আমার মতে), সাংবাদিক (বাক শক্তিহীন আমার মতে) ,পুলিশ, সেনাবাহিনী ,বিজিবি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক সমাজ ও বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মঝে প্রফেশন ভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা প্রকট হয়,তখন সমাজে অনৈতিকতা,অসত্যা,এন্ট্রোপি বিরাজমান থাকবেই।

কিছুদিন আগে এক ডাক্তার আর মাজিস্ট্রেট এর সাথে ঝামেলা হওয়ার পর,সকল ডাক্তারগন ডাক্তারের পক্ষ নিয়েছিল,আর সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মাজিস্ট্রেটের পক্ষ।উভয় পক্ষই অপর পক্ষকেই দোস আরোপ করছে। সেখানে হয়তো ডাক্তারের ভূল ছিল নয়তো মাজিস্ট্রেটের। যদি প্রফেশনাল অসাম্প্রদায়িকতা থাকতো,তাহলে কিছু ডাক্তার হলেও মাজিস্ট্রেটের পক্ষ নিতো,একেই ভাবে কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ডাক্তারের পক্ষ নিতো। এরমানে দাঁড়ায় হয়তো সকল ডাক্তার ন্যায়,নীতি,সত্যের বিরুদ্ধে নয়তো সকল মাজিস্ট্রেট। তারমানে আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রফেশনের এক প্রফেশন ন্যায়,নীতি, সত্য এর বিপক্ষ শক্তি।এই নীতিহীন শিক্ষিতরা সমাজকে চুষে খাবে,সমাজে অনৈকতা,অসত্যা ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক।

ইউনিভার্সিটিগুলোর দিকে তাকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভিতর সাম্প্রদায়িকতা আপনার চোখ এড়াবে না।। একটা ইউনিভার্সিটির বেশিরভাগ প্রজেক্টের পক্ষ-বিপক্ষ দল দাঁড়ায় যায়(আমার দেখা মতে)।তার একপক্ষের সকল সম্মানীয় বুদ্ধিজীবী শিক্ষক অপর পক্ষে বিশিষ্ট শিক্ষানবিশ শিক্ষার্থী। এখানেও অই উপরের বিষয়টি চলে আসবে,এক পক্ষ নীতিবিবর্জিত। ("শিক্ষক - শিক্ষার্থী সম্পর্ক কোন দিকে যাচ্ছে?" এই ভূমিকায় একটা লেখার চিন্তা আছে)।

আর রাজনীতিবিদ ও তাদের কর্মীরা হচ্ছে অন্ধ সাম্প্রদায়িক। আজকে বাংলাদেশ আওয়ামীলী সরকার কোনো কাজ করলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতা কর্মী, চ্যালাব্যালা সবাই এর বিপক্ষে। তারা কেউ এর ভালো খারাপ দিক চিন্তাই করবে না।যেহেতু তার দল বিরুদ্ধে তাই সে চোখে কালো কাপড় পরে ন্যাংটা হয়ে এর বিরুদ্ধতা করবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কোনো কাজ করলে, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী,চ্যালাব্যালা একেই কাজ করবে।।এর চেয়ে অন্ধ সাম্প্রদায়িকতা আপনে কোথায় পাবেন?।আপনে শুধু ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার বুলি দিয়ে এসব নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িকতা ঢেকে রাখবেন(তাই বলে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা প্রমোট করছি না)।

এইতো গতকাল সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার করায়,বাকশক্তি হীন সাংবাদিকদের বাকশক্তি ফিরে এসেছে,তারা প্রশসনের বিরুদ্ধে নানান হুংকার দিচ্ছে।তারা নাকি সত্যের খোঁজ করেন ।তাদের নাকি বাক স্বাধীনতায় সরকার বাধা দিচ্ছেন।কই এতোদিন কেন সেটা বল্লেন না। তাদের যদি সত্য অন্বেষণ করা কাজ হতো তাহলে বসুন্ধরা গ্রুপের ছেলের আদ্যোপান্ত নিয়ে ন্যাড়া দিতো, কিন্তু এই বাকশক্তিহীনরা নামটা পর্যন্ত প্রকাশ করতে চায় নি। এখন নিজেদের গায়ে লাগছে,এখন তারা হুংকার ছাড়ছে অধিকার আদায়ে,সত্য প্রকাশে।লেখক ও শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খান সাম্প্রদায়িকতার সম্পর্কে একটা কথা বলেছেন,"নিজের বাসভূমে নিজের অধিকার দাবি করা সাম্প্রদায়িকতা না,অন্যের অধিকার অস্বীকার করাই সাম্প্রদায়িকতা"।আপ্নার সঠিক বিচার পাওয়ার অধিকার আছে,আপনার সময় আপনে সত্য অন্বেষণ করবেন আর অন্যের সময় আপ্নে ঘুমিয়ে থাকবেন,তাহলে আপ্নেই বড় সাম্প্রদায়িক।।

শুধু ধর্মীয় নয়, সাথেসাথে প্রফেশনাল সাম্প্রদায়িকতার বাইরে বেরিয়ে একটি নৈতিক কাঠামোর, সত্য, প্রকৃতির মতো গভীরতম সুন্দর রাস্ট্র( বিরাট পরিসরে বলতে গেলে একটা পৃথিবী) গঠিত হোক।

মূল লেখকঃ আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধু আশরাফুল আলম
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৮:১৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×