somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"বিধবা অথবা ডিভোর্সি মেয়েকে আমি বিয়ে করতে চাই। হ্যাঁ, এটাই সত্য"

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিধবা অথবা ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়া করা কোন পাপ নয়। বরং আমি মনে করি এমন কাউকে বিয়ে করাটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। সাধারণত এদের কেউ ভালোবসতে বা বিয়ে করতে চায় না।
কেন জানেন?
কেননা "বিধবা" ও "ডিভোর্স" হওয়া মেয়েদেরকে আমরা এবং আমাদের সমাজে সবাই অন্য এক দৃষ্টি ভঙ্গীতে দেখি আর বলি সে কুলক্ষ্মী।

কিন্তু,,,, কেন তাকে কি বিয়ে করা যাবে না? সে কি সংসার জীবনটা বুঝে না? নাকি তার ছেলে বা মেয়ে আছে বলে তাকে বিয়ে করা যাবে না? আরে ভাই হউক সন্তন অন্য কারো, তাই বলে কি সে বাবা শব্দটা উচ্চারণ করতে পারবে না? নাকি মেয়েটি দ্বিতীয় বার স্বামীর ভালোবাসা পাবে না?

দিনশেষে সবার  একটাই কথা যে, মেয়েটা কুমারী নয়। হাউ ফানি! কি আজিব কথা তো! আরে ভাই, আসলেই কি কুমারী হওয়াটা খুব প্রয়োজন? সে কি আপনাকে অন্য মেয়ের মত সুখে রাখতে পারবে না?
মনে রাখবেন যে, যারা কষ্ট পায় তাদের মত করে সুখে আপনাকে কেউ রাখতে পারবে না। তারা অভিশাপ নয়। তাদের ও আমাদের মত ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছে আছে। আমাদের প্রয়োজন হলো কুমারীত্ব না খুঁজে, ভালোবাসা খোঁজা। তাছাড়া, বাবা হওয়ার আগে বাবা ডাক শুনা তো খারাপ কিছু না। এরকম ভাগ্য ও কিন্তু সবার হয় না।

"বিধবা" হওয়ার ক্ষেত্রে তো আর কারো হাত নেই। তাই না? সৃষ্টি কর্তা চেয়েছে বলেই তো সে তার ভালবাসার মানুষটাকে হারিয়েছে। তাই এক্ষেত্রে কিছুই বলার নেই। তবে বেশির ভাগ মেয়ের "ডিভোর্স" হয় কেন জানেন?
কারণ বিয়ে হওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাতে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা মেয়েকে পছন্দ করে না, বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। ঠিক এরপর থেকে... মেয়েটা একটু এমন...একটু তেমন... এইটা করে... ওইটা করে...হ্যান-ত্যান... নানা রকম বাক্যে মেয়েকে  বিশ্লেষণ করা হয় প্রতিনিয়িত। একপর্যায়ে সে সবার কাছে খারাপ হয়ে যায়। অপর দিকে "ডিভোর্স '' দিয়ে ছেলেটা আরেকটা বিয়ে করে নিলো। আর মেয়েটা হয়ে গেলো খারাপ। কেননা সবাই বলে হয়ত মেয়ে ভালো ছিল না তাই ডিভোর্স হয়েছে। কিন্তু এটা জানার চেষ্টা করে না কেনো মেয়েটার এই উপাধি পেতে হল।

আবার সদ্য বিধবা মেয়েটার স্বামী মারা গেছে, আর  মেয়েটা হয়ে গেলো খারাপ। কিভাবে খারাপ হলো জানেন? কেননা সবার ধারণা মতে মেয়েটা হয়তো কুলক্ষ্মী ছিল তাই স্বামী মারা গেছে। কিন্তু আমরা এটা বুঝি না যে বাঁচা মরা সবই সৃষ্টি কর্তার হাতে। এতে কারো হাত নেই।

এখন বিজ্ঞ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন হলো যে, সব যদি সৃষ্টিকর্তাই করে তাহলে সে কুলক্ষী হয় কেমনে? এই কাজগুলো কি সে নিজ থেকে করছে ? কিন্তু সেটা তো সম্ভব না।
আবার " ডিভোর্স" এর বেলায় মনে রাখতে হবে যে, এক হাতে তালি বাজে না। সে এমন হয়ত এমন কষ্টে ছিল যে তার এটা ছাড়া উপায় ছিল না। তা না হলে কেউ নিজ থেকে এই অভিশাপ বয়ে বেড়াতে চায় না। "ডিভোর্স" হলেই একটা মেয়ে খারাপ হয়ে যায় না। কিন্তু আমাদের সমাজে এখনো এক শ্রেণীর মানুষ আছে, যাদের নিজেদের নেই কোনো ঠিকঠিকানা অথচ সমালোচনা করে অন্যের ঘরের মেয়েদের নিয়ে। তারা কখনো এইটুকুই ও বিবেচনা করেনা যে, যাকে নিয়ে তারা সমালোচনা করে তারা যদি উনাদের নিজের মেয়ে অথবা বোন হতো? তাহলে কি তারা পারতো তাদের নিয়ে সমালোচনা করতে? তাই আমার দৃষ্টিতে একটা নারী কখনোই খারাপ হতে পারেনা। কারণ একটা নারী হয়তো কারো মা, অথবা কারো বোন।

হ্যা,আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে.
যে আমি একটা পুরুষ হয়ে কেনো নারীদের নিয়ে এতো লিখালিখি করছি?
উত্তরে এইটুকুই বলতে চাই যে ভুলে যাবেন না, প্রতিটা মানুষের অন্তরেই কিন্তু খোদা বিরাজ করেন। হোক সে নারী, কিংবা পুরুষ।

সুতরাং পরিশেষে সবাইকে এইটুকুই বলতে চাই, একটা নারীর রূপের বাহার, কিংবা তার দেহের সৌন্দর্য, কিংবা তাদের ভার্জিনিটি না খুজে তাদের অন্তরকে বুঝুন, তাদের মনকে একটু বুঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ তখন আপনিই হবেন। চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করুন না হলে জীবনে সুখের দেখা কখনোই পাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×