somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নখবাজি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ব্যবসাটা অদ্ভুত। এরকম ব্যবসার কথা আগে কেউ চিন্তা করেছে কিনা জানিনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব মিলাতে গেলে পিছু হটারই কথা। কিন্তু আমি বদ্ধপরিকর। নেইলকাটারের ব্যবসা করবই। হ্যাঁ, শুধুই নেইলকাটারের, আর অন্য কিছুর না। ফুটপাতে, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, অথবা বড়সড় শপিংমলেও নেইলকাটার পাওয়া যায়। মানুষ কেনেও। কিন্তু আমি অনেক ভেবে দেখেছি যে, একটা স্বতন্ত্র নেইলকাটারের দোকান দেয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছে। সেখানে আমি শুধুই নেইলকাটারই বিক্রী করব। মানুষজনের নখ বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে ইদানীং। না, আমার কাছে কোন বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার ফলাফল বা পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান নেই। তবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত যে, মানুষের নখ বড় হয়ে যাচ্ছে। নখ ধারালীকরণ এবং সঠিক পরিচর্যা খুবই প্রয়োজন। অনেকেরই খেতে গিয়ে বড় নখের অভ্যন্তরে খাদ্যকণা সেঁধিয়ে গিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করছে। সব সমস্যার সমাধান আমি দেবো। শহরের ভালোমন্দ দেখভালকারীর কাছ থেকে একটা ট্রেড লাইসেন্সও বাগিয়ে নিয়েছি খুব সহজেই। না চাইতেই যেন দিয়ে দিল! আসলে তারাও এরকম ব্যতিক্রমী এবং মহান একটা উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে ছিলো। আঁচড় দেয়ার প্রয়োজন হলে মানুষ নখ ব্যবহার না করে দাঁতও ব্যবহার করতে পারে অবশ্য। তবে নখের ব্যবহারটাই বেশি হচ্ছে
ইদানীং। "আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই আমাদের হিংস্র ছেদনদন্ত গজাবে, আপাতত নখের জনপ্রিয়তাটাই বেশি। ধারালো নখগুলো যেন ভোঁতা হয়ে না যায় অধিকমাত্রায় ব্যবহারের কারণে, এজন্যে আপনার অত্যাধুনিক নেইলকাটার প্রকল্পকে আমরা অভিনন্দন জানাই"
আমি খুব উৎসাহিত হয়েছিলাম তার এহেন আশ্বাসবাণীতে।

আজ আমার ব্যবসার প্রথমদিন। বেশ উত্তেজিত বোধ করছি। কতজন আসবে না আসবে..আমার দোকানভর্তি নেইলকাটার। আমি প্রফুল্লচিত্তে শীষ দিতে দিতে কাঁচের বাক্সে ওগুলো সাজিয়ে রাখি। ক্রেতাদের মনোরঞ্জনের জন্যে সঙ্গীতের ব্যবস্থা রয়েছে। থাকেনা, ছোট্ট কিন্তু আধুনিক বিপণীবিতানগুলোতে যেরকম? মৃদুলয়ে গান বাজতে থাকে আর ক্রেতারা শ্রবণানন্দে ঘুরেফিরে পণ্যের মান যাচাই করতে থাকে? অবশ্য আমার ব্যতিক্রমী ব্যবসাটার মত সঙ্গীত নির্বাচনও একটু বিশেষ। সেকথা পরে বলি।

আজকের দিনটা মনে হয় খুব ব্যস্ত যাবে। দুপুরে বাইরে খেতে যাবার ফুরসৎও বোধহয় পাওয়া যাবেনা। আমি তাই টিফিন ক্যারিয়ার ভর্তি করে খাদ্য নিয়ে এসেছি।আমার আবার খুব ক্ষিধে পায়। আপনাদেরও পায় নিশ্চয়ই? ক্ষুধাকে এড়িয়ে চলতে পারে কে!

ধীরে ধীরে লোকজন আসা শুরু করেছে দোকানে। দুজন সমবয়সী যুবক, বন্ধু হবে হয়তো, তাদের নখ বড় হয়ে চীনের প্রাচীরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, হাহাহা! তারা এগিয়ে আসে আমার দিকে। আমি তাদের বিশালাকার একটি নেইলকাটার এগিয়ে দিই। বললে অহংকার মনে হতে পারে, কিন্তু নিজেকে একজন দক্ষ ব্যবসায়ী'ই দাবী করি আমি। সবরকমের মাল মজুদ রেখেছি। ওরা নেইলকাটারটা পরখ করে দেখছে।
এই মুহূর্তে আমার দোকানের মিউজিক সিস্টেমটা কাজ করছেনা। তাই টিভি ছেড়ে দিয়ে রেখেছি। ওখানে খুব আজগুবী একটা অনুষ্ঠান দেখাচ্ছে। দুজন যুবক তাদের প্রেমিকাকে পাবার অভিপ্রায়ে, অবাক হবেন না, একজনকে দুজন ভালোবাসতেই পারে। হাজারজনও ভালোবাসতে পারে, এবং আমাদের এখানে যে কেউ চাইলেই তাকে পেতে পারে! যা হোক, তারপর সে কি ভীষণ রক্তারক্তি ব্যাপার! তরুণীর বাবা-মাকে তারা নখ দিয়ে খোঁচাতে লাগলো। এটা অবশ্য আমার দোকানের জন্যে ভালো একটা বিজ্ঞাপন হতে পারে। নখের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্যে যথার্থ।
"এটা নিতে পারেন" আমি আমার ক্রেতাদের দিকে নজর দিই।
"নখ যতই বড় আর শক্ত হোক, এটা দিয়ে আপনি চমৎকার একটা আকৃতিতে নিয়ে আসতে পারবেন, ছেটে ফেলতে পারবেন।" বলি আমি।
"কিন্তু নখ তো আমাদের দরকার। বড় নখ দিয়ে আমরা রক্তাক্ত করতে পারি সহজেই। আমাদের অভিজোযন প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন, এখন ছুরির বদলে আমরা নখ ব্যবহার করতেই সাচ্ছ্যন্দ বোধ করি। আর...."
"আরে শুনুন শুনুন...." অভিযোজন বিষয়ক জ্ঞান দেয়াতে বিরক্ত হলেও আমি ধৈর্য হারাইনা। ঝানু সেলসম্যানের মত মুখে হাসি লেপটে রেখে তাদেরকে বোঝাই,
"অতি ব্যবহারে নখ ভোঁতা হয়ে যেতে পারে। আপনাদের বিশালাকার নখের আমি প্রশংসা করি, কিন্তু তা সূচালো নয় যথেষ্ঠ। একটু যত্ন-আত্নি করা দরকার না এই অমূল্য সম্পদের? আর আমার এই নেইলকাটারে শুধুমাত্র যে কর্তনের ব্যবস্থা আছে তা না, ধারালো করার ব্যবস্থাও আছে। নিয়েই দেখুন!"
আমি তাদেকে নেইলকাটারের যান্ত্রিক কলাকৌশল বোঝাতে থাকি। ধারালো করার সুবিধেটা দেখে তারা সন্তুষ্ট হয়।
আমার আজকের দিনের প্রথম বিক্রী!
এবারে আমি অন্য খদ্দেরদের দিকে নজর দিই।
"আমি অনেক দূর থেকে এসেছি, আপনার নখ ধারালীকরণ প্রক্রিয়াটা কিরকম একটু দেখানতো? বিজ্ঞাপনে যা দেখেছি সেটা স্রেফ ধাপ্পাবাজি কিনা কে জানে!"
আমি মনে মনে আমার ব্যবসাবুদ্ধির তারিফ করি। বিজ্ঞাপনটা নেহায়েৎ মন্দ হয়নি! দূর থেকে মানুষ আসছে। বেশ কয়েকজন আছে এই দলে, দেখলাম। কারও বয়স ১৪-১৫'র বেশি হবেনা। ওদেরতো কেবল নখ বড় হবার সময়, এখনই ধারালো করার প্রয়োজন পড়ল!
"আর বলবেননা"
ওদের একজন বলে ওঠে। মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই।
"এটা প্রায়ই ব্যবহার করতে হচ্ছে, ভোঁতা হয়ে গেছে। একটু ধার না দিলেই না!"
আমার মিউজিক সিস্টেমটা চালু হয়ে গেছে আবার। চমৎকার একটা মিউজিক বাজছে। ঠিক মিউজিক না অবশ্য..
সেই মুহূর্তে কোথা থেকে একটা বিশাল কুকুর চলে আসলো হম্বিতম্বি করতে করতে। তার ক্রুদ্ধ মুখ থেকে সারি সারি দাঁত বের হয়ে এসেছে গর্জনের ফলে। তার ক্রোধের কারণটা বুঝতে পেরেছি। কারণগুলো যা হতে পারে,
১। যে সঙ্গীতটা বাজছিলো, সেটা ছিলো কিছু মানুষের, নিদৃ্ষ্টভাবে বলতে গেলে আমার বর্তমান কাস্টমারদের বয়সী কয়েকজনের কুকুরের অনুকরণে চিৎকার, উল্লাস এবং দূর্বল নখহীন প্রতিপক্ষ একজনের প্রতি আক্রমণের অডিও টেপ। বিনা অনুমতিতে কুকুরজাতির অনুকরণ এবং তা প্রচার স্বাভাবিকভাবেই সে ভালোভাবে নেয়নি।
২। তারও হয়তোবা একটা নেইলকাটারের প্রয়োজন পড়েছে, এবং সে তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তা চাইতে এসেছে।
প্রথম প্রসঙ্গে আমি তাকে বলি,
"দেখুন, সংস্কৃতি এখন কোন ঘেরাটোপে বন্দী নয়। আমাদের উচিৎ পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখা। আমরা আজ আপনাদের উন্নততর সংস্কৃতি অনুকরণ করে পরিশূদ্ধ হচ্ছি, এতে আপনার খুশীই হওয়া উচিত। পরবর্তীতে আমরা সবাই মহামান্য হায়না জাতির সংস্কৃতি অনুসরণ করার কথা ভাবছি। আশা করি বুঝতে পারছেন যে আপনাদের ব্যঙ্গ করার জন্যে এসব নয়, বরং শ্রদ্ধাবোধ থেকেই উৎসারিত"
একটানে কথাগুলো বলার পরে আমি একটু দম নিই। তারপর দ্বিতীয় প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা দেয়া শুরু করি,
"দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, আমাদের বর্তমান চালানে যে নেইলকাটারগুলো আছে, সেগুলো শুধুমাত্র মনুষ্য ব্যবহারের জন্যে। আপনাদের কাছে বিক্রীর জন্যে নয়। যেদিন আমরা আপনাদের সমপর্যায়ে যেতে পারবো, আমরা অভিযোজিত হব, সেদিন নতুন নেইলকাটার আনা হবে, যা সবার জন্যে উন্মুক্ত। আশা করি বুঝতে পারছেন শ্রদ্ধেয়.."
শ্রদ্ধেয় কুকুরটি আমার ব্যাখ্যায় তুষ্ট হয়। সে তর্জন গর্জন থামিয়ে মৃদু ঘরঘর শব্দ করতে করতে লেজ নাড়িয়ে চলে যায়।
আমি উনাকে বোঝাতে পেরে খুশী হই। কুকুর সম্প্রদায়ের সাথে ভাষাগত দূরত্বের কারণে আগে আমাদের যোগাযোগ করতে বেশ সমস্যা হত। কিন্তু এখন আমরা পরস্পরের বেশ কাছে এসে গেছি, সহজেই ভাব বিনিময় করতে পারি।
এবার আমি আমার কাস্টমারদের দিকে নজর দিই।
"কম বয়সেই আপনাদের নখ যেরকম বেড়ে উঠেছে, তা প্রশংসনীয়।"
"কি যে বলেন!" তাদের মধ্যে একজন ভদ্রতা করে লজ্জা দেখায়।
"না সত্যিই, এরকম নখ দিয়ে আপনারা হাজার কিশোরের শরীর রক্তাক্ত করতে পারবেন"
"ধন্যবাদ" তারা কৃতজ্ঞতা জানায়।
"তো, যা বলছিলাম" ভদ্রতাসূচক বাক্যাবলী বিনিময়ের পরে তাদের একজন কাজের কথায় আসে।
"আমাদের চাই আরো ধারালো নখ। ইদানীং একটু সমস্যা হচ্ছে আঁচড় কাটতে বা ছোবল মারতে"
তাদের অসুবিধার কথা শুনে আমি উদ্বিগ্ন হই।
"আপনাদের যা বয়স, তাতে তো এই নেইলকাটার কিনতে গেলে শহরের মহান দেখভালকারীর ছাড়পত্র লাগবে, জানেন নিশ্চয়ই? সেটা এনেছেন কি?"
তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে বেশ কিছু নেইলকাটার নিয়ে চলে যায়।

আমি আরও বেশ কিছু বেচাকেনা করি। এখন আমার দুপুরের খাবার সময়। দোকান বন্ধ করে আমি খেতে বসি। লম্বা নখের কারণে নখের ভেতরে খাদ্যকণা আর পিঁপড়ে ঢুকে যেতে থাকে। আমি দংশিত হই। অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আমার অস্বস্তিবোধ চলে যায়। আমি নখের ভেতর থেকে খাদ্যকণা বের করে ফেলে দিই, আর বেয়াক্কেল পিঁপড়া সহ যাবতীয় কীটপতঙ্গ গুলোকে চেটেপুটে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলি। ব্যাস! আমার নখ পরিস্কার! আচ্ছা, পিঁপড়েদেরও কি নেইলকাটার লাগে? নিজের আজগুবী চিন্তায় আমি নিজেই হোহো করে হেসে উঠি। অবশ্য ব্যবসায়ী মানুষদের যে রসবোধ আর দার্শনিকতা থাকতে পারবেনা তা নয়।

দুপুরের এই সময়টায় দোকানটা একটু নিরিবিলি। এসময় ব্যবসাপাতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে না ভেবে ভবিষ্যতের জন্যে মহাপরিকল্পনা করা যেতে পারে। আমার এই বিশেষ ধরনের নখ ধারালীকরণ নেইলকাটারের চাহিদা খুব একটা খারাপ হবে বলে মনে হচ্ছেনা। আমি আমার ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি। বাজারে অনেক কিছুর দরপতন হয়, চাহিদা কমে যায়, কিন্তু এই নেইলকাটারের ক্ষেত্রে এমন অবস্থা হবেনা এটা বলতে ঝানু অর্থনীতিবিদ হতে হয়না।
হু, আমার অনুমান মিথ্যে না। শেষ দুপুরের দিকে তো ভীড়-ভাট্টা সমালাতে রীতিমত হাবুডুবু খেতে হল।

সন্ধ্যার দিকে যখন দোকান বন্ধ করে বাড়ী ফিরতে যাবো, তখন ভীত চেহারার এক লোক তার শিশুকণ্যাকে নিয়ে ইতস্ততভাবে প্রবেশ করল। তার মেয়েটি রক্তাক্ত। বয়স কত হবে? তিন বছর? ওরকমই হবে। আমার অনুমানশক্তি খুব ভালো।
"এখানে নাকি কৃত্রিম নখ পাওয়া যায়?" তার কন্ঠে কেমন যেন একটা আকূতি।
"জ্বী না, আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন। এটা নেইলকাটারের দোকান। যাদের নখ আছে, ধারালো এবং বৃহৎ, তাদের পরিচর্যার জন্যে এ জায়গা।"
আমি লোকটাকে আরেকবার ভালোমত জরিপ করে নিই।
"হাহাহা! আপনারতো নখই নেই দেখছি! খামোখাই এসেছেন"
তার কণ্যার শরীর থেকে টপটপ করে রক্ত ঝরতে থাকে। তার অস্ফুট আর্তনাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। আমি যারপরনাই বিরক্ত হই।
"আর শুনুন, সবার নখ থাকতে নেই। সবার আঁচড় কাটার অধিকার নেই। কেউ কেউ থাকবে শুধু আক্রান্ত হবার জন্যে। আপনি এবং আপনার মেয়ে তাদেরই দলে। আমাদের মহামান্য দেখভালকারী এমনটাই বলেছেন"
লোকটা বোবাদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, আর মেয়েটার চিৎকার ক্রমশঃ বেড়ে চলে।
"ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে"
"ছিঁচকাঁদুনে কোথাকার!" আমি ধমকে দিই।
"তবে আমি আপনাদের জন্যে যা করতে পারি, তা হল, আপনাদের দ্রুতবর্ধমান নখগুলো কেটে দিতে পারি। যেন আর কখনও না গজায়।"
বলেই আমি আর প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করে রক্তাক্ত শিশুটিকে কাছে টেনে নিই।
ওর তো আর নখ নেই, তাই আঙুলগুলোই কাঁটতে থাকি। মেয়েটির চিৎকারের সাথে চলতে থাকা রেডিওর ধারাভাষ্যে চমৎকার এক ফিউশন তৈরী হয়। ইতঃমধ্যেই নখবাজি যথেষ্ঠ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নখবাজদের সাফল্যের খবর যত্নের সম্প্রচারিত হচ্ছে। নখহীনেদের একদল, যারা আক্রান্ত, তারা ভয় পায় এতে, তাদের অন্যদলটি বেমক্কা বিস্মিত হয় এবং অতিদ্রুত ভুলে যায়।

"ব্যতা করে গো মা, ব্যতা করে!"
শিশুটি চিৎকার করতে থাকে। তার বয়স তিন বছর। তার মা এখানে নেই। খামোখাই চেচাচ্ছে।
অতঃপর সফলভাবে কাজটি সম্পন্ন করে আমি নির্বাক হয়ে থাকা লোকটির দিকে অগ্রসর হই। তার হাস্যকর ছোট নখগুলো আমার প্রবল নেইলকাটার দিয়ে একদম নিকেষ করে দিতে হবে।

অনেক কাজ হয়েছে আজকে। এখন দোকানপাট বন্ধ করে খেতে যাবার সময়। আমার বড় বড় নখে লেগে থাকা রক্ত পরিস্কার করতে আলস্য লাগে। থাকুকনা! রাতের খাবারের সময়, নখের ভেতর খাদ্যকণা আর পিঁপড়েরা ঢুকে বিরক্ত করে। কিন্তু তাতে কি এসে যায়! একটু অস্বস্তি লাগে অবশ্য বেয়াকুফ পিঁপড়েগুলোর সঞ্চালনে। কিন্তু ওগুলোকে ঝেরে ফেলা এক মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:২৪
১২৯টি মন্তব্য ১২৯টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×