somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প যদি শুনতে চাও, আমার কাছে এসো!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার স্ত্রী জেনি গত কিছুদিন ধরে তার ক্রমবর্ধমান স্থুলকায়া নিয়ে খুব চিন্তিত। সেদিন রাতে একটা কুইকির পরে আমার বুকে মাথা রেখে ছলছল চোখে জিজ্ঞাসা করেছিলো সেই আদিমতম দাম্পত্য শঙ্কার প্রশ্ন, সে যদি মরে যায় তাহলে আমি আরেকটা বিয়ে করবো কী না। আমিও গতানুগতিক একটা উত্তর দিয়ে তার কপালে চুমু এঁকে ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিলাম। কিন্ত তার প্রশ্নপর্ব শেষ হয়নি তখনও।
-আমি যদি খুব মোটা আর কালো হয়ে যাই, কুৎসিত হয়ে যাই তখন তুমি কী করবে?
মায়াই লাগে এমন সকাতর জিজ্ঞাসায়।
-কী আর করব? তোমাকে বস্তায় করে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসবো! হাহাহা!
পরিবেশটাকে হালকা করার জন্যে রসিকতা করি আমি। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়। বাধ্য হয়ে পরিচিত অন্যান্য স্থুলকায়া মহিলাদের উদাহরণ দেই, যারা আচম্বিতে প্রস্থে বেড়ে চললেও স্বামীসোহাগ থেকে বঞ্চিত হয়নি। উদাহরণগুলো বেশ যুৎসই ছিলো। আর আমি বলিও বেশ গুছিয়ে। সে আশ্বস্ত হয়ে আমাকে একটা চুমু দিয়ে বসে। কখনও কখনও একটা চুমুই শরীরকে জাগানোর জন্যে যথেষ্ট হয়। আমি তাকে কাছে টেনে নিয়ে উন্মাতাল চুমুতে ভরিয়ে দিই, কাঁধ খাঁমচে ধরি, পোষাকের বাঁধনগুলো আলগা করতে থাকি।
একটা তৃপ্তিকর সঙ্গমের পর সে সঙ্গমপরবর্তী উত্তাপ সমুদ্রের তীরে বসে রৌদ্রস্নান নেয়ার মত উপভোগ করবে তা না, আবারও শঙ্কিত মুখে তার শরীরবৃত্তিক ভবিষ্যতের উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্ন করে,
-আচ্ছা আমি যদি একসময় তোমাকে আর এখনকার মত দিতে না পারি? আমার শরীর যদি হঠাৎ খারাপ হয়ে যায় খুব, তুমি কিভাবে তোমার চাহিদা মেটাবে?
প্রশ্নটা ভাবার মতনই বটে! তবে এত ভাবার সময় নেই এখন। তাকে কোনরকমে একটা বুঝ দিয়ে ঘুমুতে যেতে হবে। আমার ঘুম পাচ্ছিলো খুব।
-কী করব? মাস্টারবেশন করব! হাহা। আরে এত ভাবছো কেন? বয়স কি শুধু তোমার একার বাড়ছে? আমারও তো বাড়ছে।
-আমার শরীর তোমার চেয়ে দ্রুত পড়ে যাবে।
-কার শরীর কখন কিরকম হয় কে জানে! ওসব চিন্তা বাদ দাওতো! ঘুমোও এখন।
কিছুক্ষণ পর তার নাক ডাকার শব্দ শুনতে পাই আমি। তাকে ঘুমোতে বললেও আমার ঘুম টুটে যায়। নতুন একটা গল্পের প্লট এসেছে মাথায়। সেটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।

আমি একজন লেখক এবং ব্লগার। বেশ কয়েকটা বই বের হয়েছে। তবে প্রচারণার অভাবে তেমন কাটতি হয়নি। ব্লগে আমার লেখা অবশ্য অনেকেই পড়ে। মূলত ব্লগের প্রতি অত্যধিক অবসেশনই আমাকে মুদ্রিত অক্ষরের জগতে ব্রাত্যজন করে রেখেছে। তবে দুঃখের বিষয়, আমার লেখালেখির প্রতিভা সম্পর্কে জেনি মোটেই ওয়াকিবহাল না। সে বড্ড বেশি মেয়েলী স্বভাবের। সাজগোজ, শরীর, আর বেড়ানো এসব নিয়েই তার চিন্তাভাবনা আবর্তিত। সে তার শরীরের মুটিয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত, অথচ দিনদিন যে মনের দিক থেকে ভোঁতা থেকে ভোঁতাতর হয়ে যাচ্ছে সে খেয়াল নেই। আমার গল্পের সব আইডিয়াই অবশ্য তার সাথে শেয়ার করি। সে মুগ্ধ হয়ে শোনার ভান করে, আর গঁৎবাঁধা কিছু প্রশংসা দিয়ে আমাকে খুশি করতে চায়। যেমন, "ওয়াও! ফিনিশিংটা তো অসাম!" কিংবা "খুব ছুঁয়ে গেল গল্পটা। আজকে আমার মন খারাপ থাকবে সারাদিন"।
বকোয়াজ সব! তবে এবার তাকে আমি যে গল্পের থিমটা বলবো, সেটা তাকে ভাবতে বাধ্য করবেই। এবার আর সিম্বল, মেটাফোর, সুররিয়ালিজম সংযোগে তার বুদ্ধিবৃত্তির মাধ্যমে নাগাল না পাওয়ার মত কিছু লিখবো না। আমাদের যাপিত জীবন নিয়েই একটা শীতল, ভয়ানক সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লিখবো। তার জবুথবু বস্তুবাদীতায় ক্লিষ্ট এবং আড়ষ্ট মনে কিছুটা হলেও একটা গতিজড়তা তৈরি করতে পারবে তা, আমার বিশ্বাস।

গল্পটার থিম নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমি খেয়াল করলাম, যে ঘটনা এবং কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতে গল্পটা মাথায় এসেছে, আমার স্ত্রীর মুটিয়ে যাওয়া, অনাকর্ষণীয় হয়ে যাওয়া বিষয়ক দুর্ভাবনা, ব্যাপারটি আমি আগে খেয়ালই করিনি। আমার চিন্তার জগতে জেনি খুব বেশি জায়গা অধিগ্রহণ করে থাকতে পারে না। আমার বেশিরভাগ চিন্তাই লেখা সংক্রান্ত। আর রাতের বেলায় কামনামদির সময়টাতে জেনিকে তো পাচ্ছিই! অন্য মেয়েদের মত সে "আজ থাক, খুব মাথা ধরেছে" জাতীয় অজুহাত দেখায় না। তাই তার মুটিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও সেভাবে চোখে পড়েনি আমার। একসাথে থাকার অভ্যস্ততায় চোখ মানিয়ে নিয়েছে ঠিক ঠিক। গল্পটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমি জেনির শরীর পরখ করতে থাকি। এখনও সে বেঢপ আকৃতি পায়নি, তবে এ তো কেবল শুরু! স্থূলতার গ্রাসে একবার যে পড়েছে তার কি নিস্তার আছে? বিশেষ করে সে যদি ডায়েট কন্ট্রোল এবং জিম না করে মাঝেমধ্যে রুটিন দুশ্চিন্তা করেই ব্যাপারটার নিস্পত্তি হয়েছে বলে ধরে নেয়!
সেদিন রাতে জেনির আহবানে উত্থিত হতে আলস্য পেয়ে বসে আমাকে। আমি বরং তাকে গল্পের থিমটা বলার সিদ্ধান্ত নেই। জেনির লুকায়িত বিরক্তি ধরতে অবশ্য আমার খুব একটু বেগ পেতে হয়না। তার সবকিছুই বড় স্থূল। চোখে পড়ে যায় সহজেই। এতে বরঙ আমার উৎসাহ বৃদ্ধি পায় আরো। গল্পটাকে অধিকতর সহিংস এবং রক্তাক্ত করার কথা বিবেচনা করে দেখি।
-শোন জেনি। গল্পটার মূল চরিত্র দুটো। একজন লেখক এবং ব্লগার, আর তার স্ত্রী।
-ঠিক আমাদের মত!
উৎফুল্লতা প্রকাশ পায় জেনির কন্ঠে।
-হ্যাঁ, ঠিক আমাদের মতই। একদম আমাদের মত।
-তারপর বল!
অন্য কোন গল্পের ব্যাপারে জেনির এমন শ্রবণেচ্ছা আগে চোখে পড়েনি আমার। মৃদু হাসি খেলা করে আমার ঠোঁটে। আমি বলে চলি,
-তারপর হল কী, একদিন রাতে মেয়েটি খুবই চিন্তাক্লিষ্ট স্বরে তার মুটিয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে লেখকের কাছে। আর লেখক তাকে সান্ত্বনা দেয়।
-আল্লা! চরিত্রের সাথে ঘটনাও দেখি মিলে যাচ্ছে!
জেনির উৎসাহ যেন আর ধরে না
-জীবন থেকেই তো গল্প বেছে নেয় লেখকেরা জেনি! বাস্তব জীবন থেকে একটু নিয়ে আরেকটু কল্পনার সংমিশ্রণ, দক্ষতার সাথে করতে পারলে এভাবেই একটা সার্থক গল্প রচিত হয়।
-আচ্ছা, তারপর কী হলো বলো।
-লেখক ব্যাটা মুখে তার স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিলেও তার মনে অন্য চিন্তা খেলা করে। মেয়েটাকে তার বদখত এবং অনাকর্ষণীয় লাগতে থাকে। সে অন্য ভূমিতে কর্ষণ করতে প্রবল স্পৃহা অনুভব করে।
-শেষের কথাটা বুঝলাম না। কী করে?
-মানে স্ত্রীর অসৌন্দর্য চোখে পড়ার পরে অন্য মেয়েদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক করতে চায় সে!
-কী শয়তান লোক!
-খুবই শয়তান লোক। সে ভাবে কী জানো? বউ যেভাবে মোটা হচ্ছে, কয়দিন পরে আর কোন আকর্ষণই অবশিষ্ট থাকবে না তার প্রতি। তখন সে কী করবে? বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা উচিত। তাই সে গোপনে অন্য একটা স্লিম, সুন্দরী মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে, আর তার বউকে মেরে ফেলার প্ল্যান করতে থাকে।
-ভয়ানক গল্প! আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে লোকটার ওপর। শেষে কী হয়?
-শেষটা নিয়ে এখনও ভাবি নি। তবে দ্রুতই কিছু একটা ভেবে লেখায় হাত দিবো। ব্লগে দেয়ার জন্যে তর সইছে না!
-এই ব্লগই তো তোমার সব! আমি কিছু না।
কপট রাগ দেখায় সে। এবার আমি কামাতুর হয়ে পড়ি। তার সৌন্দর্য এবং আকর্ষণ অবশিষ্ট থাকতে থাকতেই উপভোগ করা উচিত। সেদিন সে ঠিক প্রশ্নই করেছিলো। জেনি মোটা, বা রোগাক্রান্ত বা অনাকর্ষনীয় হয়ে গেলে আমি কী করব? মাস্টারবেট করে নিশ্চয়ই আমার চলবে না!

গল্পটা নামিয়ে ফেলি দ্রুতই। ব্লগে দেয়ার পরে ব্যাপক সাড়া পাই। এমনিতেই আমার জনপ্রিয়তা অনেক, তবে এই গল্পটা সম্ভবত সুবোধ্য এবং প্রচুর সেক্স ভায়োলেন্সের বর্ণনা থাকার কারণে আমার পাঠকগন্ডির বাইরে অনেক অব্লগারও পড়েন। শেষের দৃশ্যে বর্বোরচিতভাবে স্বামী এবং তার গোপন প্রণয়িনী কর্তৃক স্ত্রী হত্যার বর্ণনাটা বেশ আলোচিত হয়। গল্পের অপ্রত্যাশিত সাফল্যে আমার মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে ওঠে। আর আমাকে খুশি হতে দেখলে জেনিও আনন্দিত হয়। সে আমাকে আরো খুশি করার জন্যে ফেসবুকেও শেয়ার দিয়ে ফেলে গল্পটা।
-জানো তোমার গল্পটা শেয়ার দিয়ে না আমি অনেকগুলো লাইক পেয়েছি।
এমনভাবে বলে যেন গল্পটা সে'ই লিখেছে। আমি খুশি হতে গিয়ে খেয়াল করি তার গলায় জমা মেদ অনেকটা গলকম্বলের মত ঝুলে আছে। থলথলে বিশ্রী একটা আকৃতি। এ কদিন গল্প লেখা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলে খেয়াল করিনি। এত মোটা হয়ে গেছে! তার আশঙ্কাই তো সত্যি হতে চললো!

আজকে জেনি বাইরে যাবে তার বন্ধুদের সাথে একটা গেটটুগেদারে অংশ নিতে। আমাকে অনেক করে বলেছিলো যাবার জন্যে, সাফ না করে দিয়েছি। এমনিতেই ওসব ভীড়বাট্টা আমার ভালো লাগে না, তার ওপর আবার একরাশ অচেনা মুখ! ওদের নিজস্ব জগতের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার ঝক্কি পোহানোর কোন ইচ্ছেই আমার নেই।
-আমি কোন ড্রেসটা পরে যাবো বলতো?
আহা! কী প্রশ্ন! যেন তার ওয়ার্ডরোবের সুপারিন্টেনডেন্ট আমি। বিরক্ত হলেও আন্দাজে একটা বলে দিলাম,
-ওই লাল জামাটা পরো।
জানতাম তার কোন না কোন একটা লাল জামা থাকবেই!
-কোনটা? সাথী আপা যেটা নবরূপা থেকে কিনে দিয়েছিলো সেটা?
-হ্যাঁ ওটাই পরো।
-আচ্ছা!
পরতে গিয়ে সে খেয়াল করলো জামাটা তার আঁটছে না। কেঁদে ফেলার উপক্রম করলো প্রায়। আর আমি ত্যক্তবিরক্ত হয়ে মনে মনে বললাম, "আরো মোটা হয়েছিস মাগী! এত খাস কেন?"
তবে বিরক্তভাব বেশিক্ষণ থাকলো না। নতুন গল্প লেখার আইডিয়া মাথায় এসেছে!

এই গল্পটার থিম এবং চরিত্রায়নও আগের গল্পটার মতই রেখেছি। দুটি প্রধান চরিত্র। লেখক স্বামী আর তার মোটা স্ত্রী। এবার সেক্স-ভায়োলেন্স তেমন থাকবে না, তবে প্রচুর খিস্তি রাখবো। জেনি বাড়ি ফিরুক, তাকে শোনাতে হবে পুরোটা। তার মতামতের তোয়াক্কা করি না আমি, অবশ্য মতামত বলে কিছু থাকলে তো! পাঠকেরা অবশ্য সমালোচনা করতে পারেন রিপিটেশন হয়ে যাচ্ছে বলে। সে ব্যাপারটাও ভেবে রেখেছি। আমি একই থিমের পরপর কয়েকটা গল্প লিখে যাবো। রফিকউজ্জামান সিফাতের "যৌনাবেগ" সিরিজটার মত। আমার এই সিরিজটারও একটা নাম দেয়া দরকার ভালো দেখে। কী নাম দেয়া যায়? নামকরণটা আমার কাছে জরুরী না। গল্প লেখাটাই আসল ব্যাপার। অল্প একটু ভেবেই নাম ঠিক করে ফেললাম, "স্থূলতা এবং কামনার দিনগুলো"।

-তোমার চুল আঁচড়ানো শেষ হলে আমার কাছে এসো।
-তোমার কাছে আসবো না তো কার কাছে যাবো গো?
আহ্লাদ দেখে পিত্তি জ্বলে যায় আমার।
-নতুন কোন গল্পের কাহিনী শোনাবে বুঝি?
যাক, মাঝেমধ্যে সে মস্তিষ্কটা ব্যবহার করে এখনও!
-হ্যাঁ ঠিকই ধরেছো। তাড়াতাড়ি এসো তো। তোমাকে না শোনানো পর্যন্ত আমার স্বস্তি নেই।
তাকে এই গুরুত্ব দেয়াতে সে খুশি হয়ে অন্যদিনের চেয়ে দ্রুত ড্রেসিংটেবিলের পর্ব সমাপ্ত করে আমার কাছে এসে বসে।
-এই গল্পটার চরিত্র দুটোও আগের গল্পটার মত।
-আগের কোন গল্পটা যেন? কাহিনী ভুলে গেছি।
কাকে কী বলি! মাত্র দু সপ্তাহও হয়নি, সে ভুলে বসে আছে। গল্পটায় সে আর আমি এমন ওতপ্রোতভাবে জড়িত তারপরেও সে ভুলে গেছে। মাগী খালি ছিনালি শিখেছে ভালো! আচ্ছা! রাগ প্রকাশ করার সময় পরে পাওয়া যাবে। আপাতত তাকে গল্পটা শোনাই। আদুরে একটা ভাব মুখে এনে তাকে বলি,
-যাহ! এরই মধ্যে ভুলে গেলে? ওই যে সেই লেখক আর তার বউয়ের গল্প। লেখকটা তার বউকে মেরে ফেলে।
-ওহ আচ্ছা, মনে পড়েছে! হু বল।
-আমি একটা সিরিজ লিখছি বুঝেছো? এই সিরিজে প্রতিটা গল্পের চরিত্রগুলো একইরকম থাকবে। কাহিনীতেও সামঞ্জস্য থাকবে।
-কী থাকবে?
-সামঞ্জস্য-মিল, সিমিলারিটি।
-ও! কী সব কঠিন শব্দ ইউজ করো তুমি! আচ্ছা বলো।
-তো এই গল্পের কাহিনীটাও আমাদের জীবন থেকেই নেয়া। বিকেলের একটা ঘটনা থেকেই থিমটা মাথায় এলো।
-কোন ঘটনা?
-ওই যে, তুমি জামা পরতে গিয়ে দেখলে যে আঁটোসাঁটো হচ্ছে।
-এখান থেকে তুমি গল্প বের করে ফেলেছো! তুমি আসলেই একটা জিনিয়াস!
-হাহা! আচ্ছা শুরু করি তাহলে। গল্পটা এমন, লেখক স্বামী তার মোটা হতে থাকা স্ত্রীর প্রতি বিরক্ত এবং অনাসক্ত হতে থাকে ক্রমশ। সে চায় তার স্ত্রীকে কঠিন কোন আঘাত করতে। আঘাতে আঘাতে বিপর্যস্ত করে দিতে। কিন্তু সংকোচ কাটিয়ে উঠতে পারে না। তো একদিন তার বউ বাইরে যাবার সময় তাকে জিজ্ঞেস করে কোন জামাটা পরবে। লোকটাও আন্দাজে কিছু একটা বলে দেয়। তার কথামত জামাটা পরতে গিয়ে মেয়েটা দেখে যে সেটা টাইট হচ্ছে। তারপর থেকে লোকটা করে কী, তার বউয়ের জন্যে প্রতি সপ্তাহে দারুণ সব জামা কিনতে থাকে।
-সো কিউট!
-রঙ বেরঙের চটকদার সব পোষাক। দামের ব্যাপারেও কার্পণ্য করে না।
-বাহ দারুণ তো লোকটা!
-কিন্তু সে ইচ্ছে করেই মেয়েটার দেহের অনুপাতে সরু জামা কিনতে থাকে। যেন সে জামাগুলো পরতে না পারে।
-কেন কেন? এরকম করতে যাবে কেন?
ব্যাখ্যা করার প্রবৃত্তি হয়না আমার। আমাকে গল্প বলার নেশায় পেয়ে বসেছে।
-আর প্রত্যেকবার জামা উপহার দেবার সময় তার ব্যবহার রূক্ষ থেকে রূক্ষতর হওয়া শুরু করে। প্রথমদিকে সে তার মোটা শরীর নিয়ে খোঁটা দিয়েই ক্ষান্ত থাকতো। ধীরে ধীরে সে গালিগালাজ করা শুরু করে এরকম, "আর কত মোটা হবি মাগী?"। "তোর উরুতে আর পেটে যত চর্বি সুইপারদের মলখেকো শুয়োরের শরীরেও এত চর্বি নাই"। এমন খারাপ খারাপ সব কথা। সে জামা কিনে উপহার দিতেই থাকে, মেয়েটাও মোটা হতে থাকে। শেষপর্যন্ত মানসিক অত্যাচার এমন পর্যায়ে যায় যে মেয়েটা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
একটানে বলার পর আমি উত্তেজনায় হাঁপাতে থাকি। জেনি ব্যস্ত হয়ে পড়ে আমার অত্যাধিক ঘাম নির্গত হওয়াজনিত জটিলতা মোকাবেলায়।
-গল্প আর ব্লগ নিয়ে তুমি এত এক্সাইটেড হও কেন বলোতো!
অনুযোগের সুরে বলে সে।
"তা তোমাকে নিয়ে এক্সাইটেড হব নাকি ধুমসী রেন্ডি!"
মনে মনে বলার পর নির্মল আনন্দে ভরে যায় আমার মন।

গল্পটি ব্লগে প্রকাশ পাবার পরে অনেকেই এতে স্ল্যাংয়ের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ নিয়ে আপত্তি তোলেন। একটা বেশ দীর্ঘ তর্ক বিতর্ক হবার পরে আমি আপত্তিকারীদের বোঝাতে সক্ষম হই যে লোকটির মধ্যে যে ভীষণ বিবমিষা এবং বিকর্ষণ ছিলো তার স্ত্রীকে নিয়ে, এবং তার পরিকল্পনা যেমন ছিলো, মানসিক টর্চারের মাধ্যমে চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়া, সেক্ষেত্রে এমন ভাষা প্রয়োগের বিকল্প ছিলো না। এই গল্পটিও আশাতীত জনপ্রিয়তা পায় এবং অনেকেই অনুরোধ করে সিরিজটা চালিয়ে যেতে। এটা অবশ্য তাদের না বললেও চলতো! আমার জীবন এখন এমন পথে চলছে যে, তার চলার পথে হোৎকা সহধর্মিনীর শরীর নিঃসৃত চর্বিতে পা পিছলে পড়বেই। আর এই সিরিজের গল্পরাও তখন সদলবলে সদর্পে চলে আসবে আমার কাছে।

পরবর্তী গল্পের থিম পেতে মাত্র সাত দিন অপেক্ষা করতে হয় আমার। জেনির সাথে মিলিত হতে গেলে সে বিবাহিত জীবনে প্রথমবারের মত আপত্তি জানায়। অথচ তার মিনসট্রুয়েশন পিরিয়ড চলছিলো না তখন।
-কী হয়েছে তোমার?
-ভেজাইনার ভেতরে কেমন ড্রাই হয়ে আছে। কোনভাবেই ফ্লুইড বেরুচ্ছে না। এরকম অবস্থায় ব্যথা পাবো খুব।
এইতো হবার কথা! তুমি মোটা হতে থাকবে আর শরীরের কোনরকম সমস্যা তৈরি হবেনা তা কী হয়। নিশ্চয়ই হরমোনাল কোন প্রবলেম বাঁধিয়ে বসেছে। পিল খাবার কারণে অবশ্য এমন হতে পারে। তবে গল্পে এটার উল্লেখ থাকবে না। আমি তাকে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে সোজা কম্পিউটারের সামনে বসে ব্লগ লেখা শুরু করি। এই গল্পটা হিট হবে শিওর! প্রচুর পরিমাণ সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ আর সাইকোলজিক্যাল ক্রাইসিসতো থাকবেই, তায় শিরোনামে উল্লেখ করে দেবো "কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যে"। সারারাত জেগে একটানে গল্পটা শেষ করে ফেললাম আমি। ঘুম আসছিলো না মোটেও। পাঠকের প্রতিক্রিয়া কী হয় দেখার জন্যে ক্ষুধার্ত বাঘের মত ওৎ পেতে ছিলাম।

প্রথম মন্তব্যটা এলো এরকম,
প্রভাতকিরণ বলেছেন: গল্পটায় মাত্রাতিরিক্ত সেক্স এবং পারভার্শন ব্যবহৃত হয়েছে। যার কোন দরকারই ছিলো না। এ কোন লেখককে দেখছি আমরা? আমাদের পুরোনো সেই লেখক, যিনি তার লেখার শুদ্ধতার ব্যাপারে কোন আপোষ করতেন না সে? নাকি সস্তা জনপ্রিয়তার লোভে আরোপিত যৌনতা, খিস্তি, বিকৃতি ব্যবহার করে নিজেকে বিকিয়ে দেয়া নতুন একজন? স্ত্রীর ড্রাইনেস, তাকে অবহেলা করে তার সামনেই ল্যাপটপে পর্ণ ট্যাব খুলে রেখে দিনের পর দিন মাস্টারবেশন করে চলা, পুরোনো প্রেমিকাদের ছবি বের করে তাতে চুমু খাওয়া এসব আমাদের সমাজের ক্ষেত্রে কেমন প্রভাব ফেলবে লেখক ভেবে দেখেছেন কী? আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি।

এসব বয়ানবাজ শুদ্ধতাবাদীদেরকে দুচোখে দেখতে পারি না আমি। বেশ ঝাঁঝের সাথে জানিয়ে দেই যে সমাজের মঙ্গলপিয়াসু কোন সচেতনতাকর্মী আমি না। আমি লেখক, এবং মানবমনের অন্ধকার কোণে বিচরণ করে সেখান থেকে লেখার উপকরণ সংগ্রহ করতে আমার ভালোমানুষী দস্তানা পরে নিতে হয়না। তাকে আরো জানিয়ে দিই যে যা লিখছি তা অত্যন্ত বাস্তব, এমন ঘটে, ঘটবে এবং তিনি যদি অন্ধ সেজে থাকতে চান তাহলে আমার কিছু বলার নেই। মন্তব্য শেষ করি তার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতার নিরাময় কামনায়। পরে আমার সমর্থনে অনেক মন্তব্য এলেও প্রথম মন্তব্যের রেশটা রয়েই যায় আমার ভেতরে। আমি তা উগড়ে দিই জেনির ওপরে।
-আবালটার ওপর আমার এমন মেজাজ খারাপ হয়েছে যে কী আর বলবো! আরে, আমি একটা সিরিজ লেখছি, সেখানে একজন চরমভাবে ডিস্টার্বড মানুষের চরিত্র নিয়ে লিখছি, যে স্ত্রীর ওপর চরমভাবে নিরাসক্ত। যে স্থূল খুন-খারাপিতে বিশ্বাসী না। দীর্ঘ মানসিক অত্যাচারের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চরম পরিণতি মেনে নিতে বাধ্য করবে। তার আচরণ পারভার্টদের মত হবে না তো কার হবে? সে তার স্ত্রীর শুষ্ক শীতলতার অজুহাতে তাকে মানসিকভাবে পর্যুদস্ত করার জন্যে তার সামনে পর্নসাইট খুলে রেখে মাস্টারবেট করবে দিনের পর দিন, সিচুয়েশনটার শকিং ভ্যালু কেন বোঝেনা ওসব পায়াভারী পন্ডিতেরা? আবার বড় বড় কথা বলে!
-পায়াভারী মানে কী?
ঠিক এই জিনিসটাই আমি চাইছিলাম! আমাকে প্রবোধ দেবার জন্যে এটাই দরকার ছিলো! নির্বুদ্ধিতা আর ন্যাকামীর এমন যুগলবন্দী বিরল। সাথে যদি দৈহিক কদর্যতা আর যৌনসমস্যা থাকে তাহলে জেনির চেয়ে বিরক্তিকর আর কে হতে পারে? ক্রনিক বিরক্তি খুব খারাপ জিনিস। এটা মানুষকে খুন করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। আমি যদি এখন দেয়ালে জেনির কপাল ধরে ঠুকতে থাকি তাহলে আমাকে কি খুব দোষ দেয়া যায়? এতগুলো গল্প লিখলাম তার আচরণের জবাবে আমার মনোভাব জানাতে, তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে, লাভ কী হলো? লবডঙ্কা! সুতরাং তাকে মানসিক অত্যাচার করার শৈল্পিক উপায়ের ভাবনা জলাঞ্জলি দেয়া ছাড়া গতি দেখছি না। শারীরিক আঘাত, চরমতম শারীরিক আঘাতই শেষ উপায়...

*
জেনির মৃতদেহ পড়ে আছে আমার সামনে। মুখটা থেৎলে গেছে বিচ্ছিরিভাবে। ওকে কদর্য লাগছে আরো। আমার অবশ্য জেনিকে হত্যা করার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু মাথাটা একবার দেয়ালে ঠুকে দেবার সাথে সাথেই যেন ভায়োলেন্সের বারুদ জ্বলে উঠলো আমার ভেতরে। এতদিনকার পুষে রাখা অতৃপ্তি, বিরক্তি, রাগ সবকিছুর মিলিত রূপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিলো, আমি নিজেকে নিবৃত্ত করতে পারিনি, চাইও নি। মাথা ঠুকে দেবার পরে ঠোঁটে পা ঘষে ঘষে লিপস্টিক উঠিয়ে ফেলি। তারপর একটা ছুরি নিয়ে এসে হাতের শিরা কেটে দেই। সামান্থাকে আগে থেকেই এমন কিছু বলে রেখেছিলাম। ওর নীরব সায়ও ছিলো এতে। সামান্থাকে জেনি চেনে না। কখনও বলিনি ওকে তার কথা। খাপখোলা তরোয়ালের মত ধারালো ফিগার, আর বুনো হরিণের মত প্রাণপ্রাচুর্য্য। জেনির বিকল্প হিসেবে কাউকে ভাবতে গিয়ে আমাদের অফিসের রিসিপশনিস্টের কথাই প্রথম মনে আসে। তাকে কবজা করতে খুব একটু বেগ পেতে হয়নি। এখন সবকিছু ভালোয় ভালোয় হলে আমাদের নতুন জীবনের শুরু হবে। লাশ লুকোনোর অতি উত্তম ব্যবস্থা অনেক আগেই করে রেখেছি।
-এই কি লিখছো, নতুন গল্প বুঝি?
-হ্যাঁ জেনি। এসো। পড়ে দেখো।
জেনির নাম ব্যবহার করে এর আগে আমি কখনও গল্প লিখিনি। পড়তে গিয়ে দেখলাম ওর মুখ কেমন ফ্যাকাশে হয়ে উঠেছে। সেই বিরল ঘটনা কি ঘটতে যাচ্ছে এবার? সে তার ব্রেইনের ব্যবহার করছে তাহলে?
-আমার নাম এখানে কেন?
-নাম তো সবগুলো গল্পেই থাকতে পারতো জেনি। তখন দেয়ার প্রয়োজন ছিলো না। এখন হয়েছে।
-এখন কেন প্রয়োজন হলো?
-আরে নামে কী বা আসে যায়! পড়ো না গল্পটা!
-সামান্থা কে? সে কি সত্যিই তোমাদের অফিসের রিসিপশনিস্ট? তার ফিগার কি সত্যিই অনেক সুন্দর?
-ঠিক ধরেছো। বাস্তবকে গল্পের মত করে ফেলতে, স্যরি গল্পকে বাস্তবের মত করতে বাস্তবের যত কাছাকাছি থাকা যায় ততই ভালো। লেখক এতে গল্পের গহীনে প্রবেশ করতে পারে, পাঠকেরাও সহজে রিলেট করে।
জেনির ভেতর কেমন যেন দ্বিধা আর ভয় কাজ করছে। ভয় পেয়েছে অবশেষে! আমি ভেবেছিলাম দীর্ঘ মানসিক টর্চারের যে প্ল্যান হাতে করেছিলাম তা বোধ হয় শেষই হয়ে গেলো। কিন্তু না! কেবল শুরু এটা। জেনির শরীর কাঁপছে কেমন যেন।
-কাঁপছো কেন জেনিসোনা? দুষ্টুমি করছো, না?
রেডিওতে একটা পুরোনো দিনের গান বাজতে থাকে,
"গল্প যদি শুনতে চাও, আমার কাছে এসো
দুষ্টুমিটা ছেড়ে এবার লক্ষ্মী হয়ে বোসো!"

জেনিকে আমি গল্প শোনার জন্যে কাছে ডাকি। ছোট্ট তিন পর্বের ধারাবাহিকটাকে মেগাসিরিয়ালে রূপ দেবার জন্যে মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার প্রচারিত হবে এটা, মূল ভূমিকায় থাকবো আমরা দুজন, ভিআইপি দর্শক হিসেবে হোম থিয়েটারে আয়েশ করে দেখবো আমরা দুজনই। এখন জেনির মাথায় নতুন কোন গল্পের প্লট না এলেই হয়! বেশি বড় গল্প লেখার মত সৃজনশীলতা অবশ্য তার নেই। তার গল্পটি হবে এক পর্বের। স্থূল। কদর্য। বিভৎস। রক্তাক্ত। আমি জানি প্রত্যেকেই এমন গল্প লেখার ইচ্ছে পোষণ করে, এবং পারে। জেনিকে এই সুযোগ কোনভাবেই দেয়া যাবে না। গল্প শুনতে হলে আমার কাছেই আসতে হবে।

-জেনি শোনো...!

১১০টি মন্তব্য ১১০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×