সামুর অফিসের নিচে গোপন ছাগশালার কথা অনেকেই জানে। আবার অনেকেই জানে না। এটি গোপন বেসমেন্টে অবস্থিত। প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ব্লগের নরওয়েজিয়ান অংশীদার আরিল ইহা স্থাপন করে।
প্রশ্ন হচ্ছে আরিল ভাই আর জানা আপা কেন এই ছাগলদের পেছনে কোটি কোটি ক্রোনার (নরওয়েজিয়ান মুদ্রা) খরচ করে? একথা জিজ্ঞেস করেছিলেন মডুর পরম বন্ধু অমুক ইবনে তমুক। অমুক ইবনে তমুক ছিলেন সামুর বিখ্যাত ব্লগার। তিনি প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে কপিপেস্ট করে পোস্ট করতেন ব্লগে। এভাবে তিনি ব্লগের ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করতেন।
একবার ব্লগ কর্তৃপক্ষ অমুক ইবনে তমুককে ব্লগের নরওয়ের অফিসে ডাকেন। সেখানে তিনি পাহাড়, পর্বত, অরোরা ইত্যাদি দেখালেন। অমুক ইবনে তমুক আমি তো এসব দেখেছি। আমাকে এমন কিছু দেখান যা আগে দেখি নি।
অমুক ইবনে তমুকের অনুরোধ রাখতে ব্লগ কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে গেলো নরওয়ের দুর্গম অঞ্চলে। সেখানে গিয়ে তাকে দেখালো অত্যাধুনিক সেই ছাগশালা। এটি একটি অত্যন্ত উন্নত মানের ছাগশালা। এখানে ছাগলদের জন্যে অত্যাধুনিক খইল, ভূষি এবং ঘাসের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও ছাগলের বিভিন্ন রোগ, যেমন তড়কা, ওলানপাকা ইত্যাদির জন্যে আছে চিকিৎসার সুব্যবস্থা। ছাগলগুলি ছিলো অত্যন্ত স্বাস্থ্যবান। মাথা ভর্তি লাদি, আর ওলান ভর্তি দুধ। অমুক ইবনে তমুক ভাবলো ইহাদের কাচ্চি পাকানোর জন্যে তৈরি করা হয়েছে। দেখে তার চোখে জল এসে গেলো।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ছাগলরা শুধুমাত্র খইল খাওয়া আর লাদি ফেলার মধ্যে নিজেদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখে নি। তাকে অবাক করে দিয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ বললো যে এদের কাউকে কাচ্চি বানানোর জন্যে তৈরি করা হয় নি। এরা আসলে ব্লগার। এদেরকে শেখানো হয় কীভাবে কপি পেস্ট করতে এবং গাঁজাখুরি পোস্ট লিখতে হয়। অনলাইনে যেসব ব্লগারকে নিয়মিত পোস্ট এবং মন্তব্য করতে দেখা যায়, তাদের অনেকেই এই ছাগশালা থেকে উচ্চ প্রশিক্ষিত।
প্রশিক্ষণ শেষ হবার পর এদেরকে বিভিন্ন নামসর্বস্ব অনলাইন পোর্টাল এবং ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ফেসবুক গ্রুপে পোস্টের মাল-মশলা সংগ্রহ করতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরা এসব ব্লগে এসে পোস্ট করে ব্লগারদের ছাগত্ববাদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কিছু ব্লগার এর প্রতিবাদ করলে ব্লগে ক্যাঁচাল বাধে। ফলে মজমা বসে, ট্রাফিক বাড়ে, এ্যাড আসে।
(সূত্র: প্রতিবেদনটি ছাগলাদেশের ছাগ সাময়িকী উর্দু "ম্যা ম্যা মযা পকাত" এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুবাদ। আজকাল দেখবেন, হঠাৎ নতুন নতুন অনেক ব্লগার গজিয়ে যায়। তারা এমন সব কথা বলে, এমন সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা দেখায়, যা সাধারণ ব্লগাররা পারে না। তারা এমন সব নতুন নতুন তত্ত্ব দেয়, যা ব্লগের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। ইনিয়ে-বিনিয়ে নতুন নতুন কথা বলে মানুষ নতুন পথে পরিচালিত করতে চায়। কিন্তু সে সকল স্কলার ব্লগারগুলি কোথা থেকে আসলো ?
তারা কি সত্যিই ব্লগার ? নাকি নরওয়ের ঐ গোপন ছাগশালা থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছাগল?।"
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭