দেখতে দেখতে ঈদ উল ফেতর প্রায় সমাগত। ঈদকে ঘিরে মানুষের আয়োজন, প্রত্যাশা, আনন্দের কমতি থাকে না কখনো। ঈদের উৎসব ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্নভাবে পালিত হয়। আমাদের দেশের সংস্কৃতিতেও রয়েছে ঈদ উৎসব পালনের নিজস্ব ঐতিহ্য। আর নিজের দেশের ঈদ উৎসবের কথা মনে রেখেই প্রবাসী বাঙালিরা কখনো কখনো চেষ্টা করেন দেশে এসে ঈদ উদযাপনের। নিজেদের আত্মীয়স্বজনের মাঝে, নিজস্ব রীতিতে ঈদের আনন্দকে উপভোগ করতে চান।
লন্ডনে বাঙালি অধু্যষিত এলাকাগুলোতে ঈদ এলেই বোঝা যায় ঈদ এসেছে। এখানে আপটন পার্কে একটি বড় ভারতীয়দের মার্কেট আছে। সেখানে গেলেই দেখা যাবে অসংখ্য বাঙালি, ইন্ডিয়ান আর পাকিস্তানি মুসলমান কেনাকাটায় ব্যস্ত। শাড়ি, চুড়ি, সালোয়ার কামিজ কিনছে মেয়েরা ঘুরে ঘুরে। যা দেখতে খুব ভালো লাগে। দেশের কথা খুব মনে পড়ে তখন।
লন্ডনে বাঙালিরা ঈদের দিন নানা ধরনের বাঙালি খাবারের আয়োজন করে। সবাই সবার বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়, কখনো দল বেঁধে দূরে কোথাও বেড়াতে যায়। মোটামুটি দেশে যেভাবে ঈদ হয় সেভাবেই সবাই ঈদের উৎসব উদযাপনের চেষ্টা করে। তবে ঈদটা যদি ছুটির দিনে হয় তাহলে সত্যিকারভাবেই উৎসব জমে ওঠে। না হলে ততটা জমে না। তখন হয়তো উইক এন্ডে একদিন সবাই একসাথে জড়ো হয়, মজা করে, খাওয়া-দাওয়া করে। কিন্তু দেশের ঈদের তুলনা হয় না। এখানে ঈদ মানে ঈদ। সবকিছু বাদ দিয়ে ঈদটাই মুখ্য। সব আয়োজনও হয় ঈদকে ঘিরেই। তাই দেশে এসে ঈদ করার মজাটা সত্যিই আলাদা।
অনেক দিন পর হঠাৎ দেশে এসে অনেক কিছুই নতুন দেখা যায়। শপিং এর জন্য বসুন্ধরা সিটি দেখেতো তাজ্জব বনে না যেয়ে উপায় নেই। মানুষের চিন্তা-ভাবনায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এটি দেখতে আমার খুব ভালো লেগেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০০৬ রাত ৩:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



