এতদিন ভাবতাম আমি কিছুই পারি না। আজ আবিষ্কার করলাম আমি বেশ ভালো চা বানাতে পারি । অনেকেই ভাববেন এ আর এমন কি? ভাবাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিজের জন্য নিজে চা বানিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা । নিজের বানানো চা ভালো না হলেও মনে হয় এটাই বেষ্ট।
তবে, এই চা বানানোর রিসিপিটা আমি যদি ফুলিয়ে ফাপিয়ে পরিবেশন করি তাহলে আপনার মনে হতে পারে চা বানানো আমাদের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যদিও আমরা ছোট বেলায় অনেকেই পেরাগ্রাফ লিখেছিলাম হাউ টু মেক এ কাপ অফ টি । সেটা আবার মনে পড়ে গেল ।
চা বানানোর রিসিপি -
♦ উপকরণ - চা পাতা, চিনি, দুধ ( অবশ্যই গরুর) ।
♦ নিয়মাবলী -
প্রথমেই আপনার চা খাওয়ার তৃষ্ণা অনুভব করতে হবে । তারপর ঠিক করতে হবে আপনি একা খাবেন নাকি অন্য কারো সাথে খাবেন। একা চা খেয়ে মজা নাই। তাই দুই তিন জন বা বেশি পরিমানে চা বানান। আপনার যদি পানির আন্দাজ না থাকে তাহলে কাপ দিয়ে মেপে মেপে পানি নিতে পারেন। যত কাপ বানাতে চান তার থেকে বেশ কিছু পরিমান বেশি পানি নিন পাতিলে । পানিটা পরিষ্কার আর বিশুদ্ধ হওয়া চাই । পানি ফুটাতে দিন । তাতে পরিমান মতো চা পাতি ঢেলে দিন । দেখেন কি সুন্দর একটা ঘ্রাণ বের হয়েছে যা আপনি চা খেলে পেতেন না, যা শুধু চা বানানোর সময় পাওয়া যায় ।
চায়ের রংটা দেখুন । রং পচ্ছন্দ না হলে আর একটু চা পাতি ঢালুন। দেখুন রং পরিবর্তন হয়েছে। তারপর পরিমান মতো চিনি দিন। যাকে খাওয়াবেন বা আপনার ডায়াবেটিস এর সমস্যা থাকলে চিনিটা পড়ে দিলে ভালো হয় । দুধ ঢালুন । আগেই বলেছি, অবশ্যই গরুর দুধ । দেখবেন কিছু উগ্র মেয়েদের ভরা যৌবনের মতো চায়ের পানি ফুলে ফেপে উঠেছে। দেরী না করে তাড়াতাড়ি চামচ দিয়ে চা নাড়া দিন। কাজ না হলে চুলার আচটা একটু কমিয়ে দিন। তাতেও কাজ না হলে ঠাস করে চুলা বন্ধ করে দিন । সবশেষে পরিষ্কার কাপে পরিবেশন করুন । চায়ের সাথে টা মানে বিস্কিট টিস্কিট হলে ভালো হয়।
রিসিপিটা আরো বড় হতে পারত। কিন্তু আমার লিখতে বিরক্ত ধরে যাওয়ায় রিসিপি ছোট করে দেওয়া হল । হা হা হা. . .
চা বানানো একটা বিরাট শিল্প, একটা আর্ট তা আপনাকে এবার মানতেই হবে বস ।
সব কথার শেষে আপনার মনে হতে পারে ভাই সবই বুঝলাম কিন্তু ছবিতে চায়ের পিরিচ এতো বড় কেন?
তাদের বলতে চাই, আরে ভাই, পাভেল রইস । যে কিনা কিভাবে চা বানাতে হয় তার উপর চাইলে পি এইচ ডি করতে পারত, চা এর উপর একটা চান্তিনিকেতন খুলতে পারত সে যখন চা পরিবেশন করবে তখন তার পিরিচ এতো ছোট হলে কি মানায় !!! বুঝতে হবে. . .
.
© পাভেল রইস