
সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি সম্পন্ন, তাই দেশের মাটিতে পা রাখলেন। কথাগুলো আমার না, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার সাপেক্ষে রাজনীতি মহলের কথা। অনেকেই বলছেন নেট পাড়ায়, আওয়ামী-লীগের অসম্পূর্ন কাজ সম্পন্ন করতেই বিএনপি এখন মাঠে খেলবে ভারতের হয়ে। বড় ভাই ভারতের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে নির্বাচনে তারেকের তথা বিএনপি'র বিজয় ঘটাতে। সেই আশ্বাসে দেশে ফেরা।
আমরা সবাই জানি, মুক্তিযুদ্ধে ভারত লোক দেখানো সহযোগিতা করেছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই পাকিস্তান কে আলাদা করা। সেভেন সিস্টারের জায়গায় ভবীষ্যতে ৮ সিস্টার বানানো। হাসিনা ভারতের সাথে বন্ধুত্বের নামে কি করেছিল, তা আমরা সবাই জানি। এখন দেখতে হবে তারেক জিয়া হাসিনার অসমাপ্ত কাজ কি ভাবে করে।
যাইহোক, তারেক জিয়া গত মাসেই বলেছেন, দেশে নির্বাচনের চেয়ে আলু এক্সপোর্টের ব্যবস্থা বেশি গুরুত্বপূর্ন। সেই তারেক মাকে না দেখতে এসে, এলেন নির্বাচন করতে। ক্ষমতা পাওয়ার লোভ ভালবাসার চেয়ে বড়।
কোন অভাগা দেশে জন্ম হইছে্ আমার। আফসোস!!! দুই দুই বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পরেও দেশ বিক্রি / সার্বভৌমত্ব / পতাকার অপমান রোধ করা গেল না।
খবরের লিঙ্কটা এখানে: খালেদা-পুত্রের সম্বল নয়াদিল্লির বন্ধুত্ব, মুক্তিযুদ্ধও
যারা লিঙ্কে যাবেন না, তাদের জন্য প্রতিবেদনের মূল বিষয়সমূহ নিচে দিলাম:
নতুন রাজনৈতিক কৌশল: দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফেরার প্রাক্কালে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তিনি এখন মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে তার রাজনীতির প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছেন ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা: সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে দেওয়া বিভিন্ন বক্তৃতায় তারেক রহমান বারবার মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন এবং স্বাধীনতা-বিরোধী শক্তির সমালোচনা করেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি ভারতের সন্দেহ দূর করতে এবং দেশের ভেতরে নিজের জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তিকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন ।
ভারতের সাথে সম্পর্কের বার্তা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারেক রহমান ভারতের সাথে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন যে, বিএনপির কূটনীতি হবে "বাংলাদেশ ফার্স্ট" বা বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখা
উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণে তারেক রহমানের এই অবস্থানকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের সাথে সম্পর্কের একটি 'রিসেট' বা নতুন সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



