somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুষার শুভ্রের ন্যায়!!!!

২৮ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৩শে জানুয়ারী
রাত ১১ টা ১৮ মিনিট

পড়তে পড়তে, পড়ার টেবিলে ঘুম ঘুম চোখে। হঠ্যৎ মুঠো ফোনটির আলো জ্বলে ভাইভ্রেট হলো। ছোট একটি খুদে বার্তা পরিচিত নম্বর Hello, how r u? what about ur exam preparation.
মুখে স্মিত হাসি দিয়ে Hi im fine, how r u? পড়াশুনা শুরু করলাম গতকাল রাত থেকে। দেখা যাক কি হয়। গতকাল সারাদিন হোপলেস ছিলাম। পরে রাতে প্ল্যান করলাম। ইনশাল্লাহ আমি পারবো। আপনার কি অবস্থা সব ভালো তো?

তারপর থেকে প্রতিদিন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত বলা যায় গানের সুরে 'তোমার হল শুরু, আমার হল......'
জীবনের অস্থির অথবা নিরবতা অথবা বিষন্ন সময় কিংবা মন খারাপের দিন গুলোতে অন্য রকম সুন্দর শুভ কামনা-উইশ আর শুভ সকাল-শুভ রাত্রি!

সারাদিন ভেবে ভেবে নয় বরং সারাক্ষণ কিছু কিছু করে কথা গুলো থেমে থেমে বর্ণ হয়ে প্রশ্ন-ঊওর, জানা-শোনার গল্প হয়ে কখনো কথা গুলো অনেক স্বপ্ন, কখনো হাজার শুভ কামনা, কখনো বা থাকে হা হা হি হি। এগুলো তো খুদে বার্তার সকাল-দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা-রাত ঘুরে ফিরে চক্রাকারে।

সকাল টা ছিল শুভ সকাল। কোন দিন ছোট করে কয়েক অক্ষর পদ্য আসলে ওটা পদ্য নয় শব্দ মিলানো ছন্দ। কোন দিন ভোর কে পবিত্র, স্বপ্ন কে সুন্দর, দিনটি হবে শুভ, শুরু ছিল বরাবর শুভ কামনায় পূর্ণ।
বাড়ন্ত সকালে থাকতো খেয়েছো, গিয়েছো,পড়েছো অথবা পৌছেছি,করেছি, যাচ্ছি অথবা ছোট্ট করে কি করছো। প্রথম দিকে বাজার নিয়ে বেশ হাসা-হাসি হতো। বিপরীত প্রশ্ন ছিল মজা লাগছে তোমার? তারপর উওর যেত মজা করে, না তো লাগছে না!

দুপুর টা ছিল কিছু টা ক্লান্ত তাই চ-ছ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ, কখনো বা ছোট করেই ফোন।

বিকেলের প্রশ্ন কি হবে-করবো-কোথায় ইত্যাদি।

সন্ধ্যায় হলো বাড়ি ফেরার গল্প। কোন দিন কিছু পথ হাটতেই মাঝে মাঝে ফিরতে ফিরতে মনে করা, কখনো বা ফোন করে খোঁজ নেওয়া। কোন দিন খাওয়া নিয়ে লোভ দেখানো সাথে ছোট করে মান অভিমান। মাঝে কথার প্রসঙ্গ বদলে অন্য স্মৃতিচারণ। হতে পারে চাঁদ দেখা, হতে পারে আইস্ক্রিম খাওয়া, হতে পারে একাকিত্বতা।

কখনো দুঃখ স্মৃতি কখনো সুখ অনুভূতি। বিষন্ন মন খারাপের স্বপ্ন হবে দু'টো মানুষ দু'জন দুজনার হাত ধরে অনেক অনেক দূর যাবে। আর যত দূর যাবে ততোই তাদের দুঃখ গুলো বিলীন হতে থাকবে!

রাতে ক্লান্ত দেহে ঘুম ঘুম চোখে অথবা জেগে থাকা তারা হয়ে ছোট করে বার্তা বুলি হুম-গুড-ভালো লাগল অথবা কি করছো আবার হয়তো ছোট্ট করেই জেগে আছো কি? মাঝে মাঝে বিশাল খুদে বার্তা অবশ্য ও প্রান্ত থেকে নয় তা এ প্রান্ত থেকেই যেতো...
স্বপ্ন থেকে শুরু করে বাস্তবতা। অপূর্ণ কিছু বায়নার মাঝে রাগে বসের মাথায় ১০১ টা নারকেল ফাটানো বা কোন পূর্নিমার রাতে নির্জন নদীর পাড়ে বসে থাকার স্বপ্ন অথবা জীবনের বিচিত্রতার গল্প!

খুদে বার্তা গুলো পড়তে পড়তেই নিভু নিভু অভিমান মনের কোণের ছোট প্রশান্তি হয়ে শান্ত করে তোলে। কখনো সম্বোধন হয় মেয়ে বলে অথবা কি করছো বালিকা? রাগ করলে, থাক আর বলব না, দূর মুড টা দিলে নষ্ট করে, আমার কথাই ঠিক অথবা মেয়েরা সব এমন; এই এমন কথা শুনে গাল দু'টো কে ফুলিয়ে জোর আবেদন মোটেও সবার মত নই, অদ্বিতীয়া বুঝলেন? ও প্রান্ত থেকে হাসি কখনো বুদ্ধিমতি কখনো অপ্রত্যাশিত বাক্য শুনে আকাশ থেকে পড়া আর প্রশ্ন করা বলেছে আপনাকে? বেশি বুঝলে যা হয় আর কি!


এই তো খুদে বার্তার মাঝে সকাল থেকে রাত। এই তো মনে হচ্ছে কিছুদিন আগের সুপ্রভাত থেকে রাত শেষ টুকুনে শুভ রাত্রি!
কেটে যায় সময় থেমে থাকে না জীবন বদলে যায় চারপাশ মন, হারিয়ে যায় ঝাপসা স্মৃতি। জীবনের মিছিলে সূর্য উদয়ের মধ্য দিয়ে নতুন আরো একটি দিন.......

শেষ টুকুতে এসে শেষ না হয়ে শেষের অপর প্রান্তে না থাক ও কিছু নয়!! এখনো ফুরায়নি কথার ঝুড়ি তবে যে আজ আর নয়, বোধ হয় আর কোন দিন নয়!
তাই তো নতুন যাই হোক যাই আসুক, কিছু সময় থেমে যায় নিজস্বতায়। যে আসে যে চলে যায় তার শূর্ণ্যতার পূর্ণতা কেউ করে না। কোন সুখ অনুভূতিতে অথবা খুদে বার্তার শব্দ গুলোতে যদি সব হারিয়েও যায় সে রয়ে যায় মন স্মৃতির ওপ্রান্তে!

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:৪২
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×