somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউ: The Kingsman (2021)

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



Kingsman: The Secret Service এবং Kingsman: The Golden Circle নামে আরও দুটি মুভি এর আগে বেশ সাড়া ফেলেছিল। সম্প্রতি এই সিরিজের তৃতীয় মুভিটি বের হয়েছে। মুভির মূল কাহিনীতে যাওয়ার আগে 'কিংসম্যান' সম্পর্কে একটু বলে নেই। কিংসম্যান মূলত একটি প্রাইভেট সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সী। সমগ্র বিশ্বব্যাপী এদের এজেন্ট এবং শাখা অফিস ছড়িয়ে আছে। ইংল্যান্ডের 'কিংসম্যান' নামের এক স্যুটের টেইলারের দোকান এদের হেডকোয়ার্টার। দোকানের ভেতর ঢুকলে দেখা যায় বিশ্বসেরা স্যুটের কাপড় সাজানো। কিন্তু ভেতরে আছে এদের গোয়েন্দা সংস্থার হেড অফিস। অনেকটা জেমসবন্ড কিংবা মাসুদ রানার স্বাদের ছোঁয়া পাওয়া যায় এখানে।

যাই হোক, মুভির মূল কাহিনীতে ফিরে আসি। এই মুভিটি আগের দুটি মুভির প্রিক্যুয়েল, অর্থাৎ কিংসম্যান এজেন্সী কেন এবং কিভাবে গঠিত হলো সেটি এখানে দেখানো হয়েছে। কিংসম্যানের এই তৃতীয় মুভিটির কাহিনী প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ঘিরে। মুভির শুরুতে দেখবেন অক্সফোর্ডের ডিউক অরল্যান্ডো দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ভিজিট করতে যায় রেডক্রসের হয়ে। ব্রিটিশদের সাথে বোয়েরদের তখন যুদ্ধ চলছে। ক্যাম্প ভিজিটের এক পর্যায়ে স্নাইপার আক্রমণে অলর‍্যান্ডোর স্ত্রী মারা যায়। অরল্যান্ডোর একমাত্র ছেলে কনরাড তখন ছোট। ছেলেকে আগলে রাখার প্রত্যয় নিয়ে বাকি জীবন চলার প্রতিজ্ঞা করে।

কনরাড আস্তে আস্তে বড় হয়। ধীরে ধীরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজতে থাকে। অলর‍্যান্ডো ততদিনে 'কিংসম্যান' খুলে ফেলেছে। যার কাজ ব্রিটিশ এম্পায়ারকে রক্ষা করা। তার দুই পরিচারক শোলা এবং পোলি বিশ্বস্তভাবে সে কাজ সামলে চলেছে। সিনেমার ভিলেন হিসেবে আছে শেফার্ড নামের এক ব্যক্তি। সিনেমায় দেখানো হয় বিশ্ব থেকে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রদের পথে বসিয়ে দিতে সে তার বিশ্বস্ত অনুচরদের মাধ্যমে দেশে দেশে বিদ্রোহ ঘটায়। তার অনুচরদের মধ্যে আছে রাসপুতিন, লেনিন থেকে শুরু করে এমনকি হিটলার পর্যন্ত। যে ফ্রান্জ ফার্ডিনান্ডকে হত্যার মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা, তার পরিকল্পনাও করে শেফার্ড।

ইংল্যান্ড প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সদ্য যৌবনে পা দেয়া কনার্ড তখন যুদ্ধে যোগ দিতে অস্থির হয়ে যায়। বাবা অরল্যান্ডো নিজেও ব্রিটিশ এম্পায়ারের হয়ে বিভিন্ন কলোনীতে যুদ্ধ করেছিলেন এককালে। যুদ্ধের সেই ভয়াবহ স্মৃতি, নির্মম মৃত্যু এবং ছেলে হারানোর শঙ্কায় তিনি কনরাডকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিতে চান না। আঠারো পেরুনো ছেলে নিজেই সেনাবাহিনীতে নাম লেখায়।

বাবা এদিকে ছেলে হারানোর শঙ্কায় অস্থির। আর কনরাড অস্থির তার ট্রেনিং শেষে ফ্রন্টে যাওয়ার দিন ঘনিয়ে এসেছে দেখে। লেফটেন্যান্ট কনরাড ফ্রন্টে কমান্ডিং অফিসারের কাছে রিপোর্ট করতে যায় ফ্রন্টে তার দায়িত্ব বুঝে নিতে। গিয়ে শোনে তাকে লন্ডনে পোস্টিং দেয়া হয়েছে এবং ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কনরাডের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার বাবার কাজ এটা। শেষে কনরাড এক কর্পোরালের সাথে তার ইউনিফর্ম বদল করে সেই কর্পোরালকে দিয়ে তার বাবার কাছে একটি চিঠি পাঠায়। লেফটেন্যান্ট কনরাড যুদ্ধে যায় কর্পোরালের স্থলাভিষিক্ত হয়ে গোপনে। আর কর্পোরাল যায় কনরাডের বাবার কাছে।

এরপরে কি হয় সেটি বললে স্পয়লার দোষে দুষ্ট হতে পারে। সেজন্য এরপরের ঘটনা জানতে এবং দুর্দান্ত একটি একশন সিনেমা উপভোগ করতে হাতে ২ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় নিয়ে দেখে ফেলতে পারেন এই চমৎকার মুভিটি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০০
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×