স্পার্টা আর ট্রয়ের মধ্যে যুদ্ধের অবসান
ঘটিয়ে সন্ধি করতে স্পার্টা যায় ট্রয়ের দুই রাজপুত্র
হেকটর আর প্যারিস। সেখানে সুদর্শন প্যারিসের
সাথে পরিচয় হয় রানী হেলেনের, পরিচয় রূপ নেয়
প্রণয়ে।স্পার্টা থেকে চলে আসার আগের
রাতে প্যারিস- হেলেনের কথোপকথন
প্যারিসঃ হেলেনকে একটা মুক্তোর মালা দিয়ে,
এটা প্রপোনটাস সাগরের মুক্তো দিয়ে তৈরি।
হেলেনঃ খুব সুন্দর, কিন্তু এটা আমি পড়তে পারব না।
মেনেলাউস (হেলেনের স্বামী, স্পার্টার রাজা)
আমাদের দুইজনকেই মেরে ফেলবে।
প্যারিসঃ ওকে ভয় পাওয়ার কিছু নাই।
হেলেনঃআমি মৃত্যুকে ভয় পাচ্ছি না! আমি ভয়
পাচ্ছি কালকে। ভয় পাচ্ছি তুমি আর স্পার্টায়
আসবে না জেনেও কালকে তোমাকে সাগরে পাল
উড়াতে দেখব কিভাবে। তুমি আসার আগে আমার কোন
অস্তিত্বই ছিল না। আমি হাটতাম, গাইতাম, খেতাম,
সাঁতার কাটতাম কিন্তু আমার কোন অস্তিত্বই ছিল না।
প্যারিসঃকালকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার
সাথে চল।
হেলেনঃ এভাবে বল না, প্লিজ।
প্যারিসঃ শোন, যদি তুমি আস, তাহলে আমরা কখনোই
আর নিরাপদ থাকতে পারব না। এখানকার সবাই
আমাদের মারার জন্য খুঁজতে বের হবে। দেবতারাও
আমাদের অভিশাপ দিবে। কিন্তু আমি তোমায়
ভালবাসবো। মৃত্যু নয়, আমার লাশ পুড়িয়ে ছাই
হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত তোমায় ভালবাসবো।
ফলাফলঃ হেলেন প্যারিসের সাথে ট্রয়ের
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
হাউ রোমান্টিক! তাই না? কিন্তু কথা হইল গিয়া,
হেলেন এত তাড়াতাড়ি পইটা গেলি? আরও অনেক
মেয়ের মতই সামান্য একটা হার উপহার পেয়ে আর কিছু
রোমান্টিক কথাবার্তায়ই পইটা গেলি? বিশ্বের
সবচেয়ে সুন্দরী নারীর কাছ থেকে আমি সত্যিই আর একটু
বেশি কিছু প্রত্যাশা করেছিলাম।