somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরানের যুদ্ধ-যেভাবে শুরু হবে! তথা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশংকা

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখক- আর্ল অব স্টারলিং

http://rense.com/general83/irwar.htm

অনুবাদক- ডাঃ বশীর মাহমুদ ইলিয়াস

আমি উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী তিনটি কোম্পানীতে পেশাদার অস্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজে করেছি। আমার কর্মক্ষেত্র ছিল সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের কলা-কৌশল সম্পর্কে ধারণার বিস্তার। ইরানের সাথে একটি যুদ্ধের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া উদঘাটন করতে গিয়ে চরম ভীতিকর এমন সব ঘটনা সমষ্টির সমাবেশ দেখছি যা আমি জীবনে দেখিনি। হ্যাঁ, আমি বিগত কুঁড়ি বছর যাবত অত্যাধুনিক যুদ্ধের কৌশল প্রণয়ণ এবং ডিজাইনের সাথে জড়িত।


হতে পারে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পরে, ইরানের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ পরিচালিত হবে। যুদ্ধটি শুরু হতে পারে ইসরাইলের অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ; হতে পারে ন্যাটো/ইউরোপীয় ইউনিয়ন/আমেরিকার অবরোধের মাধ্যমে অথবা কিছু ভুয়া হামলার মাধ্যমে। মোট কথা যেভাবেই হোক এটা শুরু হবে এবং এই বিশ্বটাকে যেখানে নেওয়ার নিয়ে যাবে।


যুদ্ধটি হোক না ইরানের সামরিক বাহিনী এবং পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে গুটিকয়েক বিমান হামলার মাধ্যমে কিংবা হাজার হাজার টার্গেটকে লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলার মাধ্যমে, কিন্তু সেটি প্রথম দিন থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে নব্বই ভাগ কিংবা তারও বেশী।


ইরানীরা স্বাভাবিকভাবেই বড় ধরণের পাল্টা হামলার মাধ্যমে তাদের ভূখন্ডে ইসরাইলীদের অথবা আমেরিকানদের আক্রমণের জবাব দিয়ে থাকবে। ফলে ইসরাইলের ওপর অথবা এতদ্‌ অঞ্চলের কোন আমেরিকান ঘাটিতে বড় ধরণের প্রতিশোধমূলক ইরানী হামলা হলে তাদের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলাও হবে তদপেক্ষা কঠোর।


ইরানীরা লেবাননে (হিজবুল্লাহকে) লক্ষ্যভেদী এবং লক্ষ্যহীন দুই ধরণে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করেছে, অর্থ জুগিয়েছে এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে (মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহত্তম বেসরকারী বাহিনীরূপে)। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সুরক্ষিত আছে ভাগ্য নির্ধারণী শেষবিচারের দিন ব্যবহারের জন্য। (এই ভয়ঙ্কর হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে সেনাবাহিনীকে বেশী বেশী ব্যবহার না করে শত্রুকে তাদের ভেতর থেকে আঘাত হানার জন্য।) লেবাননে মওজুত এই রকেট এবং মিসাইলের সংখ্যা আনুমানিক ৪০,০০০ হাজার থেকে ১১০,০০০ মতো হবে। এদের অধিকাংশ লক্ষ্যহীন কেটিওশা রকেট এবং অনেকগুলো অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা হিজবুল্লাহর বিশেষ উৎক্ষেপণকারী টিমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।


হিজবুল্লাহর এই বিশেষ বাহিনীটি প্রকৃতপক্ষে উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং পযার্প্ত অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত একটি ক্ষিপ্রগতিসম্পন্ন ইরাণী কমান্ডো বাহিনী যার আকার হবে একটি ব্রিগেডের সমান। এদের মওজুত করা এবং হেফাজতে আছে বিশেষত কেটিওশা প্রজাতির লক্ষ্যহীন এবং ক্রুড ১২২ মিলিমিটার আর্টিলারী রকেট, যাদের পালস্না ৩০ কিলোমিটার এবং এগুলো ৩০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম। পাশাপাশি হিজবুল্লাহর সংগ্রহে আরো উন্নত প্রযুক্তির এবং অপেক্ষাকৃত দীর্ঘপাল্লার মিসাইল যথেষ্ট সংখ্যক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ২০০৬ সালের যুদ্ধে হিজবুল্লাহ উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক বহনকারী প্রায় ৪০০০ রকেট ইসরাইলের ভেতরে নিক্ষেপ করেছিল (যাদের অধিকাংশ ছিল কেটিওশা)। ইরাণের তৈরী ফজর-৩ এবং রা’দ-১ নামের তরল জ্বালানী চালিত কিছু ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। অপেক্ষাকৃত বড় এবং দীর্ঘপাল্লার মিসাইলগুলো সরাসরি সিরিয়ান এবং ইরানী সেনা অফিসারদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় বলে সাধারণভাবে বিশ্বাস করা হয়।


ইসরাইলকে লক্ষ্য করা লেবাননের স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার সম্মিলিত রকেট এবং মিসাইলসমূহ, সিরিয়ার দীর্ঘপাল্লার গাইডেড মিসাইলসমূহ, পশ্চিম তীর এবং গাজা অঞ্চলের অল্পসংখ্যক রকেট ও মিসাইলসমূহ, এবং ইরানের দীর্ঘপাল্লার লক্ষ্যভেদী মিসাইলসমূহ ইসরাইলকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে।


২০০৬ সালের ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ (যাকে ইসরাইলীরা দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ বলে অভিহিত) ছিল এই পাল্টা চোরাগুপ্তা হামলাকারী কমান্ডো বাহিনীকে নির্মূল করার একটা প্রচেষ্টা। কিন' সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সিরিয়া বিপুল সংখ্যক রাশিয়ার তৈরী এটি-১৪ নামের জঘণ্য, অপেক্ষাকৃত কম দামের, করনেট কঠিন জ্বালানীতে চলে ট্যাংক বিধ্বংসী লক্ষ্যভেদী মিসাইল ক্রয় করে (হিজবুল্লাহকে সরবরাহ করেছে) এবং ইরানীদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হিজবুল্লাহ কমান্ডো বাহিনী অনেকগুলো কংক্রিটের বাঙ্কার খনন করেছে (ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের স্থান হিসেবে)।


৫০ টি মারকিভা ট্যাংক ধ্বংস হওয়ার পর এবং আমেরিকার তৈরী সর্বাধুনিক জঙ্গীবিমান থেকে নিখুঁত বোমাবর্ষণ ব্যর্থ হওয়ার পর ইসরাইলীরা লেবাননে একটি দেয়াল লিখন দেখেছিল, যাতে লিখা ছিল “হিজবুল্লাহর হুমকি নির্মূল করার জন্য হয় নিউট্রন বোমা ফেলো অথবা বিপুল সংখ্যক ইসরাইলী সেনার মৃত্যুকে মেনে নাও। অথবা শান্তিচুক্তি করে আপাতত কেটে পড়ো”। হ্যাঁ, ইসরাইলীরা সর্বশেষটাকে বেছে নিয়েছিল।


এখন মনে হয় লেবানন থেকে ভূড়িভূড়ি রকেট আর মিসাইল নিক্ষেপকারীদের বিদায় করার জন্য স'ল হামলার চিন্তা ইসরাইলীরা মাথা থেকে মুছে ফেলেছে। একজন সিনিয়র ইসরাইলী জেনারেল “লেবাননে যুদ্ধ করার জন্য সেনাবাহিনীকে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নাই” অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন। এখন বিকল্প আছে বায়ুমণ্ডলকে বিষাক্তকারী জ্বালানী বিস্ফোরক প্রযুক্তির অস্ত্রসমূহ এবং নিউট্রন বোমা (এক ধরণের পারমাণবিক বোমা যাতে মানুষ মরে বেশী কিন্তু বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হয় কম)।


হিজবুল্লাহর ওপর ইসরাইলীদের এই ধরণের ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহারের ফলে তারাও তাদের হাতে থাকা রকেট/মিসাইলসমূহে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র সংযোজন করে ইসরাইলের ভেতরে নিক্ষেপ করা বৈধতা পেয়ে যাবে। যদি ইসরাইলীদের বা আমেরিকানদের দ্বারা ইরানের ওপর প্রথম আক্রমণের সময়েই এসব ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার হয়ে যায়, তবে তো কথাই নাই।
মোটকথা হলো লেবানন থেকে ইসরাইলকে বিপুল রকেট এবং মিসাইল আক্রমণের মুখে পড়তে হবে, যাদের সাথে ব্যাপক বিধ্বংসী প্রচুর তেজস্ক্রিয়, রাসায়নিক, জীবাণূ এবং বায়ুম-ল আচ্ছন্নকারী জ্বালানী বিস্ফোরক যুদ্ধাস্ত্র থাকবে। তদুপরি, এই ধরণের অস্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পশ্চিম তীর এবং গাজা থেকেও নিক্ষেপিত হবে। সর্বোপরি সিরিয়া এবং ইরান থেকেও এসব ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের হামলা আরো ব্যাপক আকারে বৃষ্টির মতো ইসরাইলের ওপর বর্ষিত হতে থাকবে। এসব থেকে আত্মরক্ষার জন্য ইসরাইলীরা তাদের গ্রীন পাইন রাডার সিস্টেম এবং ইসরাইলী-আমেরিকান যৌথ মিসাইল বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাা চালু করবে। এভাবে তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বহিরাগত রকেট-মিসাইলকে বিকল/ধ্বংস করতে সক্ষম হবে কিন্তু সীমাহীন এই রকেট-মিসাইলের ধ্বংসস্তুপে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাার অর্ধেকটাই বিকল হয়ে যাবে।


ইসরাইলের অধকাংশ এলাকা তেজস্ক্রিয়তায় সংক্রমিত হয়ে পড়বে (কোন কোন ক্ষেত্রে যাদের ক্রিয়াকাল হবে দশ হাজার বছর); যাদের সাথে থাকবে রাসায়নিক, বায়ুমণ্ডল আচ্ছন্নকারী বিস্ফোরক অস্ত্র এবং দুঃস্বপ্নের মতো জীবাণূ অস্ত্রসমূহ। যা উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ইসরাইলের ওপর নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এতে মোট মৃত্যুর পরিমাণ দাঁড়াবে ইসরাইলের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেকে এবং তাহারও অতিরিক্ত এক বিপুল সংখ্যক মানুষ আহত হবে।


ইহার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলীরা এটম বোমা মেরে সিরিয়া, ইরান এবং লেবাননের অংশবিশেষ মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে যাতে এক কোটি মানুষ নিহত হবে। আমরা ছোট-বড় প্রতিটি শহরের ধ্বংস দেখার আশা করতে পারি। সিরিয়া, ইরান এবং লেবাননের অংশ বিশেষে মৃতদের দাফন করার জন্য যথেষ্ট লোক পাওয়া যাবে না। এটম বোমার রেডিয়েশান সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।


ইরানী সেনাদের গুপ্তদলসমূহ উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপে জনগণের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ভয়ানক জীবাণূ অস্ত্রের বীজ বপন করবে ব্যাপক আকারে। সাধারণত সিনেমা হল, গীর্জা, সিনাগগ, শপিং মল, সাবওয়ে স্টেশান, এয়ারপোর্ট ইত্যাদিতে থাকা লোকেরা তাদের অজানেত্মই এসব প্রাণনাশী ভাইরাসে আক্রানত্ম হবে। প্রায় নয় থেকে দশ দিন পরে পাশ্চাত্যের কমপিউটার সিস্টেমে অদভূত অদভূত রোগ-ব্যাধির খবর দিতে থাকবে। এই রোগের বিরুদ্ধেধ ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হবে কিন্তু দেখা যাবে যথেষ্ট দেরী হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য কাযর্করভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে। জনগণকে নির্দেশ দেওয়া হবে অফিসে এবং স্কুলে না গিয়ে বাসায় অবস্থান করার জন্য। একমাত্র ইমারজেন্সী কর্তব্যে নিয়োজিতদেরকেই কেবল রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।


হাসপাতালসমূহ মৃত এবং অসুস' লোকদের ভিড়ে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়বে। ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিষ্ট ইত্যাদি চিকিৎসা পেশার লোকেরা মরবে সর্বপ্রথম। স্কুল, কলেজ, জিমনেশিয়াম এবং অন্যান্য স্থানে অস্থাায়ী হাসপাতাল খোলা হবে। জেনেটিক্যালী ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাসের ক্রস ইনফেকশান অস্থায়ী হাসপাতালের প্রত্যেকের মৃত্যুকে নিশ্চিত করবে।


এই পযার্য়ে (ধর্ম সচেতন) নিউকন জাতিসমূহ জর্জিয়ায় রাশিয়ান সৈন্যদের ওপর নতুন করে হামলা করার মাধ্যমে অথবা কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সাথে হাঙ্গামা বাধিয়ে জর্জিয়ার যুদ্ধকে দ্রুত বিস্তৃতি ঘটিয়ে সর্বব্যাপী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে শতকরা ৫০ ভাগ, যাতে রাশিয়া এবং ন্যাটো পরস্পরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে। রাশিয়া যদি বিশ্বযুদ্ধে জড়িত নাও হয়, তথাপি কৃষ্ণ সাগর থেকে ন্যাটোর রণতরীগুলোকে বিতাড়িত করার যুদ্ধে উভয় পক্ষের ব্যাপক লোক ক্ষয় হয়ে থাকবে।


সারা দুনিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিবে; যেহেতু অত্যাধুনিক জীবাণু অস্ত্রের বিস্তারের ভয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অন্তত পক্ষে কয়েক মাস বন্ধ থাকবে। ইসরাইল যদি আরবদের টার্গেট করে তৈরী করা তাদের জীবাণু যুদ্ধের (ভাইরাস) অস্ত্রগুলো ছেড়ে দেয়, তবে সৌদিরা তাদের চাইনিজ মাঝারি পাল্লার মিসাইলগুলো ইসরাইলের ওপর নিক্ষেপ করতে পারে এবং তাদের সংগ্রহে যে অল্প কিছু এটম বোমা আছে, সেগুলোসহ তাদের অত্যাধুনিক বিমান বাহিনীকে ইসরাইল আক্রমণে পাঠাতে পারে। (সৌদিরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচীতে অর্থ যোগান দিয়েছে এবং বিনিময়ে পাকিস্তানের তৈরী কিছু এটম বোমা পেয়েছে বলে ধারণা করা হয়।) ইহার পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরাইল উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার হাতে অবশিষ্ট যে কয়েকটা এটম বোমা আছে, তা সৌদি আরব এবং অন্যান্য আরব দেশের ওপর বর্ষণ করবে।


উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে জীবাণু যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রাণঘাতী অসুখ-বিসুখে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ - প্রায় ২০ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করার ঝুঁকি আছে। পৃথিবীর সকল জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টার পরেও, এই ভয়ঙ্কর নরঘাতী মিউটেন্ট ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং সম্ভবত ১০০ কোটি বা তারও বেশী মানুষের মৃত্যু ঘটাবে।


এত সব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আরো অনেক নতুন নতুন যুদ্ধের সূচনা ঘটতে পারে ; যেহেতু নন-নিউকন জাতিসমূহ তাদের নাগরিকদের ব্যাপক হারে মৃত্যুর মতো অন্যায়ের প্রতিবাদে এমনই ক্রুদ্ধ হয়ে উঠবে যে, শেষে যুদ্ধ থামানোই অসম্ভব হয়ে পড়বে।


ডাঃ বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
লেখক, ডিজাইন স্পেশালিষ্ট, হোমিও কনসালটেন্ট
চেম্বার ‍ঃ জাগরণী হোমিও হল
৪৭/৪ টয়েনবী সার্কুলার রোড (নীচতলা)
(ইত্তেফাক মোড়ের পশ্চিমে এবং স্টুডিও 27 এর সাথে)
টিকাটুলী, ঢাকা।
ফোন ঃ +৮৮০-০১৯১৬০৩৮৫২৭
E-mail : [email protected]

Website : http://bashirmahmudellias.blogspot.com

১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×