সিঙ্গাপুরের মত সমৃদ্ধশালী দেশের অর্থনীতির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দেশটিকে এই অবস্থানে নিয়ে গেছে। কিন্তু এই সিঙ্গাপুর এক সময় মালয়শিয়ার অন্তর্ভূক্ত ছিল। সেই ১৯৬৩-৬৫ সালের দিকে মালয়শিয়া হতে এই বিচ্ছিন্ন হওয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়। অবশ্যই এটা ব্রিটিশের কূটকৌশল। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মালয়রা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করাতে এই সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সিঙ্গাপুরীরা মূলত চাইনিজ বংশদ্ভুত এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। আজকে যদি মালয়রা আরবীদের মত মাথা গরম করত তো ঐ অঞ্চলে আজও যুদ্ধ বিগ্রহ, হিংসা-হানাহানি লেগে থাকত। সিঙ্গাপুরতো বটেই মালয়শিয়াও আজকে এতদূর উন্নত হতে পারত না।
আজকে আরবী হামাস, ইসলামিক জিহাদ, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইরানের কট্টরপন্থীরা সেই ১৯৪৮ সালে না হৌক ১৯৯৩ সালেই ইসরাইলকে মেনে নিত। তো ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন উভয়েই অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারত। ইসরাইলের আছে বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, ইলেকট্রনিক্স, রসায়ন, মেডিসিন, রেডিও-মোবাইল-ওয়ারলেস-দ্রুত গতির ইন্টারনেট পদ্ধতি, অপ্টিকাল, স্যাটেলাইট সহ অনেক কিছু। আর ফিলিস্তিনের আছে জনবল। মিশর, জর্দান যারা ইসরাইলের সাথে যৌথ উদ্যোগে উপরের কিছু বিষয়ে সরকারী-বেসরকারী শিল্প তথা ইন্ডাষ্ট্রি আছে। আজকে ফিলিস্তিন একটা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারত যদি ইরান ও তার আশ্রায়িত আরবী উপদল গুলো শান্তির পথ অবলম্বন করত।
আজকে সিঙ্গাপুর খাওয়ার পানি পর্যন্ত মালয়শিয়া হতে আমদানী করে। তারা ASEAN ভূক্ত সদস্য রাষ্ট্র। যদি তারা হিংসা-হানহানির পথ ধরত কখনই অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হতে পারত না। বিষয়টি আমাদের মুসলমানদের গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


