১৯৯২ সাল ছিল পর্তূগীজ নাবিক ক্রিষ্টোফার কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের ৫০০ বছর পূর্তী। তার উপলক্ষে ক্রিষ্টোফার কলম্বাসকে আউট ল বানিয়ে ঐ পোষ্টার টাঙ্গানো হয়। আমেরিকা হতে কিভাবে এর আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের উচ্ছেদ করে ইউরোপীয়রা দখল করেছিল তা আমরা কম বেশী জানি। ঠিক একই ঘটনা অষ্ট্রেলীয় মূল আদিবাসী মাউরীদের ক্ষেত্রেও। এই মাত্র ৩/৪ বছর আগে অষ্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড তাদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে ভাই-বোন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অথচ ক্যাপ্টেন কুকের অষ্ট্রেলিয়া আবিস্কারের পর হতে ব্রিটিশদের খুনী দাগী আসামীদের সাজার বদলে সেখানে কিভাবে চরম অত্যাচারের শাসন করেছে তা আর নতুন করে বলার দরকার নাই। তবে কথায় বলে চন্দ্রের উজ্জলতার বিপরীতে যেমন আধার আছে, ঠিক তেমনি এই দুটি মহাদেশের উজ্জল তথা প্রখর বিশ্বব্যাপী চরম ইর্ষণীয় উন্নতি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তথাপি ইতিহাস ইতিহাসই। আজকে রেড ইন্ডিয়ান ও মাউরীরা মুসলমান হলে তাদের নিয়ে আরো বেশী রব শোরগোল উঠত। মুসলমানদের বাইরে অন্যরা কি মানুষ নয়?
ব্রিটিশের বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী কুটিলতার পারদর্শীতা থাকা সত্ত্বেও আরব নেতারা এই নাছারাদেরকে তাদেরই মুসলিম ভাই তুর্কীর ইসলামী শরীয়া সম্মত খেলাফতকে উচ্ছেদ করল এ নিয়ে আমার চিন্তার অন্ত নেই। ১৯১৬ সালের আগেই ব্রিটিশরা মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালানি তেলের গন্ধ পায়। বেকুব, অশিক্ষিত, বেদুইন মূর্খ আরবরা যারা আক্ষরিক অর্থেই গর্দভ ছিল। যার খেসারত হল এক আরব রাষ্ট্রকে সিরিয়া, লেবানন, জর্দান, ইসরাইল, কুয়েত সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত করা। কিন্তু ইহুদী ও বহিরাগত ই্হুদীর অজুহাতে তাদের বিরুদ্ধে শুরু হল যুদ্ধ বিগ্রহ। অথচ নাছারা ব্রিটিশদের ডেকে আনাইতো সবচেয়ে বড় অপরাধ। তারা কি আর আরবদের পুরো স্বার্থ দেখবে নাকি সেই ডিভাইড এন্ড রুল পদ্ধতি অবলম্বন করবে? তাই আরব নেতা সহ অন্যান্য মুসলমানদের উচিত ছিল শুরুতেই ইসরাইলকে মেনে নেওয়া। তাহলে প্রায় লক্ষ লক্ষ আরব ফিলিস্তিনিদেরকে ইসরাইল নিজ ভুখন্ড হতে উচ্ছেদ করতে পারত না। ইসরাইলের অভিযোগ হল এরা ইসরাইলের বিলোপ চায়। অর্থাৎ এই সকল ফিলিস্তিনি ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকার করে নিলেই তারা ফিরতে পারবে। কিন্তু সন্ত্রাসী হামাস-হিজবুল্লাহ এবং ইরানের কট্টরপন্থীরা তা মানতে নারাজ। অথচ হামাস সরকার ছিল ১৯৯৩ সালের অসলো প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির ফসল। সে যাই হৌক লরেন্স অভ আরাবিয়ার খেসারত হিসেবে ইসরাইলের অস্তিত্ব মেনে না নিলে মধ্যপ্রাচ্য সহ গোটা তৃতীয় বিশ্ব, বড় ধরণের যুদ্ধের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পরবে। আজকে যদি আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়া উন্নত হতে পারে তবে ফিলিস্তিনও পারবে। ইসরাইলের সাথে সুসম্পর্কের কারণে মিশর এবং জর্দান অনেক এগিয়ে গেছে। জর্দানে মাথাপিছু আয় ৩২৮৯ মার্কিন ডলার আর মিশরের ৬১২৩ ডলার। ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের স্বার্থেই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


