somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের সূর্যসন্তান :: আচার্য ইউরী বজ্রমুনি

০২ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আচার্য ইউরী বজ্রমুনি শুধু আত্মউন্নয়ন ও ধ্যানের তিন দশকের শিক্ষক নন, বরং একজন মানুষ ধ্যান ব্যবহার করে জীবনে কতটা বিচিত্র অর্জন করতে পারে তার বাস্তব প্রমাণ।
তিনি ব্যুত্থান মেডিটেশন, বজ্রপ্রাণ ও ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের জনক।



আসিয়ামা বান্ডো’র সপ্তম ডিগ্রি ব্ল্যাকবেল্ট, বান্ডোতে উত্তরাধিকারী গ্র্যান্ডমাস্টার।
বার্মায় থান শিন পা- শতবর্ষে ফোটা একটি ফুল।
ভূটানে সোনালি নখরওয়ালা শান্তি ড্রাগন।
ভারতে বজ্রমুনি, আসান।


ছবি: ডিসকভারি চ্যানেলের সুপারহিউম্যান প্রোগ্রামে তাঁর পা নানাভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়। তিনি পাঁচ সুপারহিউম্যানের মধ্যে সবচে কম ওজন সম্পণ্ন। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে এই পা দিয়ে এক টন ভরবেগ কীভাবে তৈরি হয় তা নিয়ে ঘেঁটেছেন।

ডিসকভারি চ্যানেলে বিশ্বের পাঁচ অতিমানব-ক্ষমতাধরের একজন। জাপানে সোকে। পাঁচটি আলাদা আলাদা গ্র্যান্ডমাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে বার্ষিক অথবা বিশেষ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত। চারটি আলাদা বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। পশ্চিমা বিশ্বে থান্ডার শিনম্যান। পায়ের পেশীকে সর্ব্বোচ্চ ব্যবহার করার বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। শরীর ও মনের সর্ব্বোচ্চ নিউরো কানেক্টিভিটির বাস্তব উদাহরণ এক্ষেত্রেও বিশ্বরেকর্ডধারী। আশির দশক থেকে ধ্যান ও আত্মউন্নয়ন শেখান, তিনি আচার্য বজ্রমুনি।

মনোদৈহিক উন্নয়নে তিনি গ্লোবাল আইকন। আচার্য বজ্রমুনিকে বলা হয় প্রাচীণ ভারতীয় মনোদৈহিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতির আধুনিক জনক। জীবনের পুরোটা সময় বজ্রমুনি কাটিয়েছেন মন ও দেহের সংযোগ গবেষণায়; ভারসাম্য ও আত্মিক আলোকায়নে। ঘুরে বেড়িয়েছেন একের পর এক দেশ। অর্ধশতাধিক। মহাদেশ থেকে মহাদেশে ভ্রমণ শুধু নয়, শিখেছেন তিনি প্রাচীণ অঞ্চলগুলোতে লুকিয়ে থাকা প্রাকৃতিক জ্ঞান-প্রজ্ঞা-কৌশল।


ছবি: লুপ্তপ্রায় বিদ্যা ভার্মা কালাইয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আসান প্রয়াত ভাষ্করণ টিচারের সাথে আচার্য ইউরী বজ্রমুনি। ভাষ্করণ টিচার ভার্মা কালাই শিখেছিলেন অন্তত পঁচিশজন শিক্ষকের কাছে। এখন ভার্মা কালাই সারা পৃথিবীতেই প্রায় বিলুপ্ত। কারণ, ভার্মা কালাইয়ের মত প্রাণঘাতী এবং নিরাপদ মার্শাল আর্ট সম্ভবত আর একটিও নেই। অসাধারণ সব গল্প রয়েছে ইউরী টিচারের শিক্ষকদের সাথে। মার্শাল আর্টের জন্মদাতা ও চ্যান জেন জেজেন তথা প্রচলিত ধ্যানের জন্মদাতা বোধিধর্মার গ্রাম কাঞ্চিপুরাম থেকে শুরু করে শাওলিন টেম্পলে ইউরী টিচারের কীর্তিগুলো রূপকথারই মত। সময় করে একটু একটু করে বলব।

দূরপ্রাচ্য থেকে প্রতীচ্য- সরাসরি হাতে কলমে শেখায় ছাত্রের ধীশক্তি পরিণতিতে একজন সম্মিলিত অভিজ্ঞাময় শিক্ষকের জন্ম দিয়েছে। গবেষণা করেছেন বহুমুখী বিষয়ে, চল্লিশটিরও বেশি আত্মউন্নয়ন ও মার্শাল আর্টে। প্রাচীণ জ্ঞান, আবহমান মরমীবাদ, দর্শন ও মানসিক অগ্রগতির শিক্ষা-গবেষণা পরিণতিতে উপহার দিয়েছে একজন মরমী, দার্শনিক ও সেল্ফ- হেল্প অথর। লক্ষ কোটি বছরের এই বিশ্ব প্রকৃতির সাথে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে পারলে, প্রকৃতিকে প্রাকৃতিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে, কৃত্রিম ওষুধ-বিহীন সুস্থ সফল জীবন কাটানো সম্ভব, বলেছেন বজ্রমুনি।

মনোপ্রশিক্ষণে তিনি খ্যাতি ও সাফল্যের পথে অগ্রণী। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও শরীর-মন উভয় ক্ষেত্রে কার্যকর মেডিটেশনের সফল উদাহরণ আচার্য বজ্রমুনি ডিসকভারি চ্যানেলে অভিহিত হয়েছেন সুপারহিউম্যান হিসাবে। এ গ্রহের শীর্ষ পাঁচ অতিমানবের মধ্যে একজন। অনেক মার্শাল আর্টের মাস্টার। ডেভলপ করেছেন ব্যায়াম পদ্ধতি বজ্রপ্রাণ। মানব-রূপান্তরের অতি প্রাচীণ এই আত্মরক্ষা-ধ্যান-যোগব্যায়াম-খাদ্যগ্রহণ-চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোকে নিয়ে এসেছেন আধুনিক মানুষের প্রয়োজনের আপেক্ষিকতায়।

বজ্রমুনির চতুর্থ বিশ্বরেকর্ড ছিল পেশী চালনায় মস্তিষ্ককে সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ ব্যবহার করা। ডিসকভারি চ্যানেলের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এ পরীক্ষাটি করেন। অন্যদিকে তিনি এ পৃথিবীর সবচে শক্তিমান শিন-কিকার। পায়ের সামনের এই হাড় দিয়ে তাঁরচে বেশি শক্তিশালী লাথি আর কেউ দিতে পারেনি। রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট মিউজিয়ামে আছে তাঁর অবিশ্বাস্য কাজের অন্তর্ভুক্তি।

বজ্রমুনি বাংলাদেশের প্রথম নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রেঞ্জার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠা করেছেন গ্লোবাল এক্সিটিউটিভ প্রোটেকশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেইনিং এজেন্সি, ইউ এস এ। আচার্য বজ্রমুনি ধ্যান ও আত্মনির্মাণ, নিরস্ত্র আত্মরক্ষা এবং সশস্ত্র নিরাপত্তা- এই তিন ধরনের ক্ষেত্রেই একজন প্রফেশনাল মাস্টার ট্রেইনার। আচরণ পুন:নির্মাণ এবং অতীত মানসিক ও শারীরিক আঘাত-বিপর্যয় কাটানোর ক্ষেত্রে তিনি বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশের প্রায় সব আইন, নিরাপত্তা ও সামরিক এজেন্সিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাকাডেমির সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট কমিশন্ড অফিসার্স কোর্স, প্রাইভেট ইনভেস্টিগেশন সহ বহু কোর্সে তিনি প্রশিক্ষক পর্যায় অর্জন করেন। ব্রিটিশ আর্মি রয়াল ইঞ্জিনিয়ার্সের সাথে ডিপ্লোমা করেন ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস সার্চ অ্যান্ড রিকগনিশন এ। লাটভিয়ান স্পেশাল ইউনিটসের সাথে মিলিটিরি ওয়েপন অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ ট্রেইনিঙ কোর্স, ইংল্যান্ডের ফায়ার ট্রেইনিং অ্যাকাডেমি থেকে ফায়ার মার্শাল কোর্স, আইরিশ কারেকশন ডিপার্টমেন্ট সহ আরো বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি কাজ করেছেন।

ধ্যান ও প্রাচীণ জ্ঞান শিখেছেন দক্ষিণ ভারতের কালারিপাইট, মধ্য ভারতের বজ্রমুষ্ঠি, বার্মার আন্ডারগ্রাউন্ড আর্ট স্কুলগুলো থেকে।

গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সামরিক-আধা সামরিক ও বেসামরিক সংস্থা, বহুজাতিক কোম্পানি, জনপ্রতিনিধি, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ও নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা-কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

চল্লিশটি ভিন্ন মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষণ, লুপ্তপ্রায় বিদ্যা ভার্মা কালাই শেখা এবং আন্ত:সাংস্কৃতিক অন্তর্জ্ঞান তাঁকে পরিণত করেছে অগুণতি মানুষের জন্য উদ্দীপনাময় লেখকে। আচার্য বজ্রমুনি দেশে থাকাকালীন সময়ে তারুণ্যের উন্নয়ন, কর্মমুখীতা ও মানুষের মনোদৈহিক উন্নয়নের কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করছেন।


অর্জনময় জীবন



১৯৮০’র দশক আত্মরক্ষা কলা বা মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষক।

১৯৯০’র দশকের শুরু থেকে ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের শুরু। নতুন বাংলাদেশি মার্শাল আর্টের জন্ম। ব্যুত্থানে দর্পণ, বিশ্রাম সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় একক ও যৌথ ধ্যান এবং বজ্রপ্রাণ ব্যায়ামের শুরু।

১৯৯১-১৯৯৩। বান্ডো মার্শাল আর্ট সেভেনথ ডিগ্রি ব্ল্যাক বেল্ট। এশিয়া বান্ডো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গ্র্যান্ডমাস্টার খিং মং জি কর্তৃক। অব্যবহিত পরেই আসিয়ামা বান্ডোতে বজ্রমুনিকে সারা পৃথিবীতে তাঁর উত্তরাধিকারী এবং গ্র্যান্ডমাস্টার মনোনীত ও স্থলাভিষিক্ত করেন।

২০০৫। থান শিন পা- শতবর্ষে ফোটা একটি ফুল। থাইন (মার্শাল আর্ট) ফেডারেশন ইয়াংগুনে সারা মায়ানমার থেকে ৩২ জন সেরা মার্শাল আর্ট মাস্টার ও বেশিরভাগ গ্র্যান্ড মাস্টার সহ বজ্রমুনি’র সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। থাইন একাডেমির প্রিন্সিপাল ও প্রেসিডেন্ট তাঁকে জামা পরিয়ে দিয়ে এ উপাধী দেন। অর্ধ শতাব্দীতেও কাউকে এমন সম্বর্ধনা এবং উপাধী দেয়া হয়নি। থাইন অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ বলেন, আমরা, আমাদের সকলের পক্ষ থেকে আমাদের সকল বিষয় আপনার হাতে তুলে দিচ্ছি। একে বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন।
বজ্রমুনি ও আসান উপাধী লাভ। দক্ষিণ ভারতের ভার্মা কালাই গ্র্যান্ডমাস্টার ভাষ্করণ তাঁর স্কুল অভ ভার্মা কালাই অ্যান্ড সিদ্ধা মেডিসিনের পক্ষ থেকে আচার্যকে এ উপাধী দেন। বজ্র অর্থ বিদ্যুৎ অথবা হীরা। মুনি অর্থ সাধক, সিদ্ধ। বজ্রমুনি অর্থ যিঁনি বজ্রের মত শক্তিশালী, গতিশীল এবং অমোঘ; একই সাথে সাধনায় সফল।

২০০৬। সোনালী নখরের শান্তি-ড্রাগন। রাজকীয় ভূটান দূতাবাসে ভূটান সরকারের পক্ষ থেকে এ উপাধী দেন বাংলাদেশের বিদায়ী ভূটানী রাষ্ট্রদূত। তিনি ভূটান রাজ পরিবারের সদস্য। বর্তমানে বিরোধী দলীয় প্রধান।

২০০৭। হল অভ ফেইম গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দ্য ইয়ার, ওয়ার্ল্ড মার্শাল আর্টস হল অভ ফেইম, যুক্তরাষ্ট্র

২০০৭। গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দ্য ইয়ার, ইউনিভার্সাল মার্শাল আর্টস হল অভ ফেইম, যুক্তরাষ্ট্র

২০০৮। শাওলিন টেম্পল ভিত্তিক গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দি ইয়ার, ওয়ার্ল্ড ব্ল্যাকবেল্টস মার্শাল আর্ট হল অভ ফেইম। ইন্টারন্যাশনাল মার্শাল আর্টস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, কুচিন, মালয়েশিয়া।

২০০৯। গ্র্যান্ডমাস্টার অভ দি ইয়ার, মার্শাল আর্টস হল অভ ফেইম, ইংল্যান্ড।

২০০৯। ওয়ার্ল্ড সোকেশিপ কাউন্সিল, জাপান। জাপানের সব মার্শাল আর্টের স্কুল ও গ্র্যান্ডমাস্টাররা তাদের জগতে আপন করে নিয়েছেন ব্যুত্থান ও এর গ্র্যান্ডমাস্টার আচার্য ডক্টর ইউরী বজ্রমুনিকে।

২০০৯। গ্র্যান্ডমাস্টার পিনাকল অ্যাওয়ার্ড, ওয়ার্ল্ড গ্র্যান্ডমাস্টার্স কাউন্সিল, ইউএসএ। এটা পৃথিবীতে সবচে বড় গ্র্যান্ডমাস্টারদের অ্যাসোসিয়েশন।

২০১০। প্রথম ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। বার্মিংহাম ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টার ইন্টারন্যাশনাল মার্শাল আর্ট শো তে। এক শিন কিকে সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক বেসবল ব্যাট ভাঙার রেকর্ড। রেকর্ডহোল্ডার্স রিপাবলিক, রেজিস্ট্রি অভ অফিশিয়াল ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

২০১১। সেখানেই অর্গানাইজিং কমিটির দেয়া মোস্ট আউটস্টান্ডিঙ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ট্রফি। সিলভার কাপ।

২০১২। ডিসকভারি চ্যানেল, পৃথিবীর সেরা পাঁচ সুপারহিউম্যানের একজন।

২০১২। সর্ব্বোচ্চ সংখ্যক বেসবল ব্যাট ভাঙার রেকর্ড এক শিন কিকে (এবার তিনটি)। এনইসি।

২০১৩। বিশ্বের সবচে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা ও অবস্থা, রিপলি’জ বিলিভ ইট অর নট মিউজিয়াম, ক্যালিফোর্নিয়া।

২০১৩। সচেতনভাবে মনের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ পেশী ব্যবহার করার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।



গতদিনের পত্রিকায়:


যুক্তরাষ্ট্রে সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি সুপারহিউম্যান ইউরী

২৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের বেনকোয়েটের রিগো পার্ক জয়া হলে বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসেস (বিএসিডিওয়াইএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘সুপারহিউম্যান’ এম এ কে ইউরীকে বিশেষ সম্মাননা পদক দিলেন নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর রক্সানি জে পারসুয়াড ও স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান মাইকেল মিলার।

অনুষ্ঠানে ড. ইউরীর পাশাপাশি সম্মাননা পদক পেলেন এলবা মেলেনডায়েজ, ড. মহাবির ও ড. বিষ্ণু মহাদেব। এ অনুষ্ঠানে বিএসিডিওয়াইএস-এর চেয়ারম্যান জন সি হোয়াইটহেড ও সচিব ওয়াল্টার ক্যাম্পবেল উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ডিসকভারি চ্যানেলে প্রদর্শিত বিশ্বের সেরা পাঁচ শক্তিধর ব্যক্তির একজন সুপারহিউম্যান ড. ইউরী। মনোদৈহিক অসাধারণ ক্ষমতার স্বীকৃতিস্বরূপ তার রয়েছে একাধিক বিশ্বরেকর্ড।

নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভাষাগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিসেস। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও নানারকম প্রতিবন্ধকতার শিকার অভিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ২০১১ সাল থেকে।

উল্লেখ্য ড. ইউরী ইন্টারন্যাশনাল ব্যুত্থান ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা। এর প্রধান কার্যালয় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে অবস্থিত। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ব্রুনাই, ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে ব্যুত্থান প্রসার লাভ করেছে।

এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে মনোদৈহিক উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনায় তরুণ প্রজন্মের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬
১৩টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×