পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার ‘নূর মুবারক’ সৃষ্টি করেন এবং আমার ‘নূর মুবারক’ থেকে সবকিছুই সৃষ্টি করেন।” (মাদারিজুন্ নুবুওওয়াত শরীফ)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হয়ে যাক। আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বললেন, “হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ‘নূর মুবারক’ সৃষ্টি করেছেন অর্থাৎ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম সৃষ্টিই হচ্ছেন নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতঃপর সেই নূর মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছানুযায়ী কুদরতীভাবে ঘূর্ণীয়মান ছিলো। আর সে সময় লওহো- কলম, বেহেশত-দোযখ, ফেরেশতা, আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানুষ ও জিন কিছুই ছিলো না।” (মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক শরীফ, দালায়িলুন্ নুবুওওয়াত শরীফ, আফদ্বালুল কুরা শরীফ, মুতালিউল মার্সারাত শরীফ, মাওয়াহেব শরীফ, শরহে যুরকানী শরীফ, মাদারিজুন্ নুবুওওয়াত শরীফ)
উল্লেখিত হাদীছ শরীফদ্বয় থেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে যে, খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ‘নূর মুবারক’ থেকেই বেহেশত-দোযখ, আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, মানুষ-জিন, ১২টি মাস, পবিত্র আশূরা শরীফ অর্থাৎ এক কথায় খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলায় গোটা কুল-কায়িনাতের সৃষ্টি হয়েছে।
আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থেই পবিত্র আশূরা শরীফ উনার এতো ফযীলত, বরকত, রহমত এবং এতো সম্মান। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে যে ব্যক্তি যত বেশি নিছবত, সম্পর্ক, মুহব্বত রাখতে পেরেছে, তার মর্যাদা-মর্তবাও ততো বেশি। সুবহানাল্লাহ! কাজেই ‘পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম’ শরীফ সেই হিসেবে বেমেছাল, বরকতময়, রহমতপূর্ণ ও ফযীলতপূর্ণ। সুবহানাল্লাহ!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


