somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাব্বি রহমান
যে কাব্যে ছন্দ নেই,যে সাহিত্যে রস নেই,যে প্রবন্ধে শিক্ষনীয় কিছু নেই,যে দর্শনের নিতীগত দিক নেই,আমি উহাসমগ্রের পাঠক।বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলাচল করে আসছি।আমি নকল সায়ানাইডের ফাদে পরে পার পেয়ে যাওয়া এক যুবক !!!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম : আগ্রাসন নাকি পরিবর্তন

২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে জনবসতি স্থাপিত হবার পরেকালের পরিক্রমায় হাজারো ঐতিহাসিক ঘটনা,দুর্ঘটনা পার হয়ে আজকের বাংলাদেশ। সভ্যতারক্রমবিকাশের ধারায় আমাদের দেশও পরিবর্তিত হয়েছে সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটেছে আমাদেরজাতিসত্তায়ও। এই সুদীর্ঘ ইতিহাসের সব চেয়ে সমৃদ্ধ, গতিশীল এবং তথ্যনির্ভর সময়টাশুরু হয়েছে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের আগমনের পরে। যে নতুনজগতের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা বাঙালি জাতি সভ্যতার বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবেইবিবেচিত। সভ্যতার এই নতুন দ্বার আধুনিক প্রজন্মকে আবদ্ধ করেছে অদৃশ্য এক সামাজিকবন্ধনে। আর এই বন্ধনের মুল বন্ধন শক্তি হিসেবে যে মাধ্যমটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভূমিকা পালন করেছে সেটি হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া। নব গঠিতএই জগৎটিকে বলা হয় ভার্চুয়াল জগৎ। ভার্চুয়াল জগতের আচার,আচারণ,কথাবর্তা অর্থাৎসামগ্রিক কার্যক্রমকে বলা হয়ে থাকে ভার্চুয়াল লাইফ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিতসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, গুগল প্লাস, ভাইবার, ইনস্টাগগ্রাম,ব্লগ ও ফোরাম প্রভৃতি।এর মধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষের ওপরে ব্যবহারকারী নিয়ে বাংলাদেশেসবচেয়ে বড় ভার্চুয়াল সোসাইটি গঠন করেছে মার্কিন তরুণ মার্ক জুকারবার্গ আবিষ্কৃতফেসবুক। এছাড়া টুইটার ও ব্লগে রয়েছে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী।বাংলাদেশেইন্টারনেটের বিস্ময় সোস্যাল মিডিয়ার জগৎ এ সবথেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করছে তরুনপ্রজন্ম। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পর্যন্ত তরুন-তরুনীরাই সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে বেশি আসক্ত তবে বয়স্কদের সংখ্যাও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয় এবং তাও দিনদিন বেড়েই চলেছে। প্রজন্মের ভার্চুয়াল ঐকতানে প্রতিনিয়তই মুখরিত হচ্ছে ভার্চুয়ালপৃথিবী। এই ভার্চুয়াল পৃথিবীতে নতুন সম্পর্কের জন্ম হচ্ছে আবার তা ভেঙ্গেওযাচ্ছে,রাজনৈতিক আন্দোলন,সংগ্রাম,বিক্ষোভ,প্রেম,ভালোবাসা,সমালোচনা,আলোচনা,সাহিত্যচর্চাসব কিছুই হচ্ছে এখানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রধানত লিখিত বর্ণে ভাবপ্রকাশ করা হয়। এছাড়াও অডিও, ভিডিও বার্তা এবং বিভিন্ন ধরনেরআবেগাশ্রিত সংকেতও ব্যবহার করা হয়। ছবি আদানপ্রদানও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।
আমাদেরবর্তমান বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তরুনদের আসক্তিকিংবা অংশগ্রহন বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সমাজের মধ্যে এক ধরনের বিবেধ দেখা দিয়েছে। একপক্ষ একে মাত্রই সময়ের অপচয় বলে দাবী করছে আরেক দল বিশ্বায়নের পৃথিবী যুক্ত হবারপ্রধান দ্বার হিসেবে দেখছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে। দুটি দৃশ্যপট তুলে ধরছিএখানে, প্রথমটি ভার্চুয়ালাইজেশনের পূর্বের এবং পরেরটি বর্তমান ভার্চুয়াল পৃথিবীনিয়ে।


ভার্চুয়ালাইজেশনের পূর্বে-

আবগী জাত হিসেবে বাঙ্গাল জাতটার পরিচয় বিশ্বস্বীকৃত একইসাথে জাতিটা ঐতিহ্য গতভাবে বিপ্লবীও। ব্যক্তিজীবনে সেই বিপ্লব কিংবা আবেগেরবহিঃপ্রকাশ বাথরুমের দেয়ালে প্রতিবাদ মুখর লেখালিখি থেকে শুরু করে সাফল্য দিয়েবিশ্ব জয় পর্যন্ত সবকিছুতেই বিস্তৃত। আগে বাংলাদেশে কোন আলোচিত ঘটনা ঘটলে কিংবাকোন তরুন বিশ্ব অথবা বাংলাদেশকে তাক লাগিয়ে দেয়া কোন কাজ করলেও তাদের কাছেরলোকগুলো অথবা নির্দিষ্ট বলয়ের মানুষগুলো ছাড়া তেমন কারো কাছে তাদেরস্বীকৃতি,কর্মজজ্ঞের সংবাদ পৌছাতো না। তখনকার মেইন স্ট্রীম ছিলো প্রকৃত বীরেরাসবার অলক্ষে থেকে যাবে। সচেতনতা কিংবা দেশপ্রেমের প্রশ্নে আগেকার তরুন প্রজন্মছিলো সত্যিকারেরস্বদেশপ্রেমী পুরোপুরি নন্দলালের মতোই ইস্পাত-কঠিন ছিলো তাদেরপ্রতিজ্ঞা। ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত না হানলে তখনকার তরুন প্রজন্মখুব বেশি একটা আন্দোলন সংগ্রামেও জড়িত হত না। তবে বৃহৎ কিংবা জাতিগত স্বার্থেরপ্রশ্নে তাদের সমালোচনা-আলোচনা এখানে প্রসাংগিকও না। পাড়া,মহল্লা কিংবাবিশ্ববিদ্যালয়ের চায়ের দোকানে বিবিসি বা ভয়েস অফ আমেরিকা শুনে চা খেতে খেতেপশ্চিমা আগ্রাসন, মধ্যপ্রাচ্যের একনায়ক, বিশ্বরাজনীতি, দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকঅবস্থা, ধান-চালের দাম,ম্যারাডোনা-পেলে ইত্যাদি নিয়ে ব্যপক আলোচনার পরে বাড়িফিরতেন রাজ্জাক-শাবানা কিংবা উত্তম-সুচিত্রার নতুন ছবির খবর নয়তো ইংল্যান্ডের রাণীর পুত্রবধূরচরিত্রবিশ্লেষণ করতে করতে। এই দল বন্ধুমহলে জ্বালাময়ী কথাবর্তা বলেই ক্ষান্ত হতেন।তবে তখনও কিছু মাথানষ্ট-আবেগী ছাত্র-যুবক রাস্তায় নেমে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে,পাড়ায়-পাড়ায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো-আত্নাহুতি দিতো। কিন্তু তাদের আন্দোলন সংগ্রামকয়েক জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। নন্দলালের দলের বোধোদয় কিংবা সংগ্রামীচ্ছুমফস্বলে বসবাসকারী দলকে তাদের দলে ভেরানোর মতো প্রচারনার সুযোগ তখন তেমন একটা ছিলোনা। নাম মাত্র কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকায় শুধু মাত্র সাড়া জাগানো তরুন কবিসাহিত্যিকের লেখাই প্রকাশ হতো। আর নিজের ডায়েরীতে লেখা অখ্যাত তরুনের কবিতাপ্রেমিকাকে শোনানো পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকতো। দেয়ালে চীকা মেরে, পোষ্টার সেঁটে অথবামাইকিং করে সবার কাছে জাতীয় কোন ইস্যুতে আয়োজিত মানববন্ধনে সর্বোচ্চ সংখ্যক তরুনেরঅংশগ্রহণ নিশ্চিতকরা আসলেই অসম্ভব ছিলো। রাজনৈতিকপরিভাষা ব্যবহারেও বাংলাদেশের তরুণেরা তেমন এগিয়ে ছিল না। বিশাল একটা গোষ্ঠি I hatepolitics নিতীতেই বিশ্বাসী ছিলো। সচেতনাতাবোধ জাগ্রত করতে একটিসংবাদ সকলের কাছে পৌছে দিতে রেডিও,টেলিভশন কিংবা সংবাদপত্র চাইলেও একশ শতাংশ সফলতাঅর্জন করতে পারতো না কারন একটা গোষ্ঠী সংবাদ বলতেই বিমুখ ছিলো।


ভার্চুয়ালাইজেশনের পরে-

বাঙ্গালির আবেগটা চিরন্তন সেটা কোনো ভয়ঙ্কর প্রাদুর্ভাবেও পরিবর্তিত হবার নয়সাথে সাথে বৈপ্লবিক মানসিকতাও একই রকমেরই চিরকাল। দিন বদল হওয়ার সাথে সাথে বিপ্লবেরআকাঙ্ক্ষা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, হয়েছে আরও বেশি প্রকাশ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরসুবাদে বিপ্লব জনে জনে ছড়িয়ে দেয়া এখন অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন একটাবিপ্লবের ডাক দেয়া অনেক বেশি সহজ ফেসবুক ব্লগে অহরহ বিপ্লব হচ্ছে। ২০১৩-এরফেব্রুয়ারিতে ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ এরপ্রকৃত উদাহরন।
যেহেতুপ্রশ্নটি প্রজন্মের অবক্ষয় এবং তারুন্য নিয়ে আর এরাই ভার্চুয়াল পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দা সুতারং একটি বাস্তবিক উদাহরন দিয়ে প্রকৃত প্রেক্ষাপট পরিস্কার করাযাক। সময়টা ২০০৫ কিংবা ২০০৬ সাল; বরিশালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া রহিমের মাঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে ভর্তি। তার একটি জরুরী অপারেশন হবে এবং সে জন্যে তিন-চার ব্যাগরক্ত দরকার। ব্লাড ব্যংক খুজে খুজেও রক্ত পাওয়া গেলো না। অপরিচিত শহর ঢাকায় রহিমেরকোন আত্নীয়ও নেই যে সে কোন ভাবে রক্ত জোগার করবে।রহিমের মা রক্তের অভাবে.........এবার ২০১৫ সালে রহিমকে কল্পনা করা যাক রহিমের মা হাসপাতালে ভর্তি , জরুরী রক্তদরকার। কোথাও রক্ত খুজে না পেয়ে রহিম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলো জরুরী রক্ত দরকার একইভাবে কয়েকটি ব্লাড ডোনেট ফেসবুক গ্রুপে পোষ্টও দি। এক-দুই না অনেক ব্যাগ রক্ত দিতেরহিমের কাছে তারুন্যের ভীড়।

যদিস্বাধীনভাবে মত প্রকাশের কথা বলা হয় সে জন্যে এখন ফেসবুক কিংবা ব্লগের বিশালদুনিয়া খোলা রয়েছে। এখন আর সাহিত্য পত্রিকার সল্পতায় সাহিত্যিকের অপমৃত্যু ঘটে না।ফেসবুক, ব্লগে শত-শত কবি, সাহিত্যিক অহরহই দেখা যাচ্ছে। দেশীয় কিংবা আন্তর্জাতিকইস্যুতে এখন চাইলে ফেসবুকে একটা ইভেন্ট খুলেই হাজার-হাজার তরুন একত্রিত হয়েআন্দোলন করছে, বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে আবার কোন দুস্থদের সাহায্যে এগিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে ও ব্লগে রাজনীতি নিয়ে প্রচুর আলোচনাহচ্ছে। একইসঙ্গে কঠিন ও আক্রমণাত্মক ভাষায় দেশের দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের সমালোচনা চোখে পড়ার মতো।


কতটা আগ্রাসন ?


‘আগ্রাসন' শব্দটি যথার্থ কিনা তা তর্ক সাপেক্ষ। তবে যেটা বাস্তব তা হলো- একজনের পছন্দেরওপরে আরেক জনের পছন্দকে কৌশলগতভাবে এমনভাবে চাপিয়ে দেয়া যাতে একজন পর্যায়ক্রমে তাতেপ্রভাবিত হয় এবং একসময় আরেক জনের পছন্দকে গ্রহণ করে। এটা একটা দিক। দ্বিতীয় বিষয়হলো যুব এবং তরুণ সম্প্রদায়ের শিক্ষা মাধ্যমে এমন কিছু বিষয় সংযুক্ত করা এবং এমনকিছু বিষয় কৌশলে বাতিল করা যাতে তাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন সাধিত হয় এবং প্রভাববিস্তারকারীর পছন্দকে নিজের পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করে। এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, যিনি তার পছন্দকে অন্যের মধ্যে প্রভাবিত করেন সেই প্রভাবিত ব্যক্তিটিপছন্দ বিস্তারকারীর ফ্যান হয়ে যায়। ‘ফ্যান' শব্দটি সাংস্কৃতিক বা ফিল্মী শব্দ। বাংলারূপ হচ্ছে ‘ভক্ত' বা ‘অত্যুৎসাহীসমর্থক'।সোজা কথায় আমরা যাকেমানসিক গোলাম বা দাসশ্রেণি অথবা আরো স্থুলোভাবে বলতে গেলে দালাল হিসেবে অভিহিতকরি।

এখন আধুনিকসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও কাজ হচ্ছে ভক্ত কিংবা ব্যবহারকারী বৃদ্ধি করা। আরএজন্যে তারা জীবন যাত্রা যাতে স্বাভাবিক হয় কিংবা বিনোদনের পরিমিতিবোধ লোপ পেয়েবিস্তৃত বিনোদনের দিকে যাতে তরুনরা অগ্রসর হয় এমন সব নতুন-নতুন ফিচার যুক্ত করে। ফেসবুক আসক্ত একদল তরুন-তরুনী তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে কাটিয়ে দিচ্ছে হেলায় ফেলায় । শুধু তরুন-তরুনীরা নয় বরং সব বয়সের ফেসবুক ব্যবহারকারীরাই কম বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছে এক ধরনের নেশায় । দিনের অন্যান্য কাজগুলো রুটিন অনুযায়ী না হলেও ফেসবুক ব্যবহার ঠিকই নিয়ম মাফিক হচ্ছে । ফেসবুকের পেইজে ঠিক সময়ে ঢোকা হলেও ঠিক সময়ে বের হওয়া অনেকের জন্যই অসাধ্য। খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, পতিতাবৃত্তিসহ সকল অপরাধের একাংশ ফেসবুকের মাধ্যমে হচ্ছে । ফেসবুকের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিরন্তর হুমকি দেয়া হচ্ছে । বিভিন্ন মহল সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্র হিসেবেও ফেসবুক প্রধান মাধ্যম ।
সম্প্রতি ব্লগে লেখালিখিকে কেন্দ্রকে সংগঠিত অভিজিৎ হত্যাকান্ড,রামুর সাম্প্রদায়িক সহিংসতাও আমাদের মনে করিয়ে দেয় ভার্চুয়াল সোসাইটিও কতটা রুক্ষআচারন করতে পারে। যেখানে মত থাকবে সেখানে দ্বি-মত থাকাটাই বাস্তবতা তাই প্রতিনিয়তসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে অনেক সহিংসতা যদিও হচ্ছে কিন্তু একই ভাবেমেধাবীদের মেধা চর্চায়ও গড়ে উঠছে সাহিত্য,বিজ্ঞান,খেলাধুলা,রাজনীতি নিয়ে বিভিন্নব্লগ। যেখানে তরুনেরা একত্রিত হচ্ছে। বড় বড় জার্নাল তৈরি করছে। নিজেদের প্রতিভাপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করছে।

তারুণ্যের উদ্দীপনায় সোস্যাল মিডিয়ায় যে নতুন ভার্চুয়ালসমাজের জন্ম হয়েছে সেটিকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতেহবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেন নিজেদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, রক্তের বিনিময়েঅর্জিত ভাষা, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং দেশের বৃহত্তর কল্যাণকেবিকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মন্তব্য লিখন, বার্তা প্রদান, ছবি প্রকাশের সময় সর্বোচ্চসতর্ক থাকতে হবে। কারণ যা প্রকাশ বা শেয়ার করা হবে সেটিই প্রকাশকারীর পরিচয়।জাতিগত বিবেধ সৃষ্টি করে এমন কোন কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। ভার্চুয়লটিরভালো দিকটিকে গ্রহন করে পরিচ্ছন্ন এবং কল্যাণমুখী জীবন গড়ে তোলাই হবে জরুরী। আর বিস্তৃর ভার্চুয়াল লাইফে দার্শনিকওযেবস্টার এর উক্তিটি মনে রাখতে হবে — You are, what you share.



[চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির ২০১৫এর প্রকাশনায় প্রকাশিত]
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:২১
১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×