আজ যারা জাহিরীভাবে দ্বীন ইসলামের নামে প্রচলিত ছয় উছূলভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ করছে, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতীমখানা ইত্যাদি ভালো কাজও করছে। অপরদিকে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ-এ গণতন্ত্র, ভোট-নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া, ভোট দেয়া, নারী নেতৃত্ব মানা, ভোটার কার্ড করা, ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র করা, জীব-জন্তু তথা প্রাণীর ছবি তোলা-তোলানো, বেপর্দা হওয়া, গান-বাজনা করা, খেলাধুলা করা ইত্যাদি হারাম ঘোষিত অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার কথা না বলে চুপ থেকে বোবা শয়তানের ভূমিকা পালন করছে। তারা মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে দিচ্ছে। যদিও এদেরকে জাহিরীভাবে মুসলমানদেরকে ঈমান-আমল, নামায-রোযা, হজ্জ-যাকাত ইত্যাদি নেক আমলের দিকে আহবান করতে দেখা যায়। আসলে এরা চরম স্তরের গুমরাহ এবং ৭২ বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক রাজনীতি হারাম। কিন্তু প্রচলিত তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরা কখনো প্রকাশ্যে বলে না যে, ইসলামের নামে গণতান্ত্রিক রাজনীতি হারাম।
বিগত নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য প্রচলিত তাবলীগ জামাতীরা তাদের স্ত্রী, কন্যা, মা-বোনদেরসহ নিজেদের ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ড করেছে। অথচ এই বিষয়গুলো দ্বীন ইসলামে পরিপূর্ণরূপেই হারাম; যা বলার কোনো অপেক্ষাই রাখে না। এ সব নামধারী মুসলমানকে উদ্দেশ্য করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফির হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফির হয়েছে এবং কুফরীতেই নিমজ্জিত থেকেছে; মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে না ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।” হক্ব তালাশীদের জন্য ইশারামূলক অল্প নছীহতই যথেষ্ট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


