প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মালফুজাতে বলেছে, “হ্যাঁ, ইহা ঠিক যে, নামায, রোযা উচ্চাঙ্গের ইবাদত; কিন্তু দ্বীনের সাহায্যকারী কাজ নয়।” নাঊযুবিল্লাহ! (মাওলানা ইলিয়াসের অমর বাণী/পৃষ্ঠা-১৮)
সে আরো বলেছে, “আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা যদিও মা’ছূম (নিষ্পাপ) এবং মাহফুজ (সংরক্ষিত) এবং ইলম ও শিক্ষা-দীক্ষা সরাসরি আল্লাহ পাক উনার তরফ হইতেই লাভ করিয়াছেন, তথাপি যখন তাঁহারা সেই তা’লীম ও হিদায়েতের তাবলীগের জন্য সাধারণ তবকার লোকের সহিত মিলামেশা করিতেন তখন তাঁহাদের মুবারক ও নূরানী অন্তরসমূহে সেই সাধারণ লোকদের অন্তরের ময়লা ও আবর্জনা প্রতিফলিত হইতো। অতঃপর নির্জনে বসিয়া জিকির-ফিকিরের দ্বারা সেই ময়লা আবর্জনা ধৌত করিয়া ফেলিতেন।” নাঊযুবিল্লাহ!
সে আরো বলেছে যে, “সূরায়ে মোজাম্মেল-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তাহাজ্জুদের জন্য হুকুম দিয়া যে বলা হইয়াছে, ‘হে রসূল! দিনের বেলায় আপনাকে অনেক চলাফেরা করিতে হয়’ ইহার মধ্যে এই কথার দিকেও ইশারা রহিয়াছে যে, নবীদের সাইয়্যিদ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও মানুষের ময়দানে ঘুরাফেরা করার দরুন রাত্রির অন্ধকারে নির্জনে বসিয়া ইবাদত করার প্রয়োজন ছিলো।” নাঊযুবিল্লাহ! (মাওলানা ইলিয়াসের অমর বাণী/পৃষ্ঠা-৬৬)
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আখিরী যামানায় কিছু সংখ্যক মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, তারা তোমাদের নিকট এমন সব (মিথ্যা-মনগড়া) কথা উপস্থাপন করবে, যা তোমরা কখনো শুননি এবং তোমাদের বাপ-দাদা অর্থাৎ পূর্বপুরুষগণও শুনেনি। সাবধান! তোমরা তাদের থেকে দূরে থাকবে এবং তাদেরকেও তোমাদের থেকে দূরে রাখবে। তবে তারা তোমাদেরকে গুমরাহ করতে পারবে না এবং ফিৎনায় ফেলতে পারবে না।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখে না যে, বিশ্বের সব মুসলমানকে প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক চিল্লাওয়ালা তাবলীগ জামাত হতে সতর্ক-সাবধান ও দূরে থাকতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


