সেদিন সবগুলো কথা তোমায় হয়নি বলা।
কিছু না বলা কথা আজও বুকের বামপাশে চাপা পড়ে আছে।
এখন আর আমি চাইলেও কথা গুলো কষ্টের স্তুপ থেকে বের করতে পারবো না।
সেই স্থান কাল আর পাত্র এখন আর নেই।
রাত্তিরে কুয়াশার কান্না শেষে শীতের সকালে সবুজ ঘাসের বুকে জমে থাকা শিশির গুলো রোদের আলোয় যেমন বিকিরিত হয়, ঠিক তেমন করে মাঝে মাঝে চাপা থাকা কথাগুলো বিকিরিত হয়ে তোমার কানে বেজে উঠতে চায়।
কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না।
কথা গুলো আমার কন্ঠে না এসে চোখের কোণে ভাসে।
তখন সেগুলো চোখের গভীরে জমে বরফ হয়ে যায়।
হঠাত্ কোনো এক গভীর রাতে তোমার দেওয়া চির সজীব কষ্টের সুপ্ততাপে আমার চোখ থেকেও বরফ গলে শিশির ঝরে।
শিশিরের প্রতিটি শব্দে তোমাকে না বলা কথা গুলো বেজে উঠে।
আর কত কাল এভাবে শিশির ঝরবে?
আর কত কাল শুনবো শিশিরের শব্দ?
হ্যাঁ, পথ একটাই।
আমার প্রথম মৃত্যুতে যে কষ্টের শুরু হয়েছিল,
দ্বিতীয় মৃত্যুতেই তার শেষ হবে।
তাই এখন আমি দ্বিতীয় মৃত্যুর অপেক্ষায়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৪