somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিভুজ

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধর্মীয় বিষয় কষ্ট দিলে আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে আমার লিখা এড়িয়ে যাবার।


(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)

প্রিয় ভ্রাতাদ্বয়,
দুজনকেই এক খামে এইজন্যে লিখছি কারণ জানিনা কেনো যেনো আমার কাছে আপনাদের দুজনকেই এক মনে হয়! প্রায়ই আপনাদের গুলিয়ে ফেলি। এ এক অদ্ভূত ভাল লাগা। মনে হয় আপনাদের আচার-আচরণে কোনো পার্থক্য নেই। দুটি ভিন্ন রঙিন পানি যদি একপাত্রে ঢালা হয় তবে যেভাবে মিশে একাকার হয় যাবে, আপনাদের ভিন্নতাটা কেনো জানিনা আমার কাছে ঠিক এমনই লাগে। অনেক খুঁজেছি এর কারণ। কিন্তু কিছুতেই মনে ধরা দেয় না। বুঝিনা এটা কি আপনাদের নীরব ভদ্রতা আর সরলতার জন্য? নাকি অন্যকিছু? আপনারা কি এর কারণ বলতে পারেন?

হে প্রিয় ব্লগনক্ষত্রদ্বয়,
আপনাদের মন্তব্যগুলো ভীষণভাবে মন ছুঁয়ে যায়, কিন্তু আমি তার সঠিক মূল্যায়ণ দিতে পারিনা বলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। গেঁয়ো ভূত ভাইয়ের কতো মন্তব্যসহ পোস্ট যে গায়েব হয়েছে প্রতিউত্তর ছাড়া সে হিসেব আমি দিতে পারবো না। কিন্তু অবাক হয়েছি পুনঃ পুনঃ প্রতিউত্তর না পেয়েও কোনো মন খারাপ না করে আবারও সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর ভেবেছি, কি করে একজন মানুষ এতোটা ভদ্র আর অমায়িক হতে পারে? পদাতিক ভাইয়ের ক্ষেত্রেও তেমন। আমার একটা বড় দোষ হচ্ছে আমি সিরিজ লিখা পড়ি না। কারণ, সিরিজের পরে কি হলো বা হবে এই বিষয়টা আমাকে বড্ড প্যারা দেয়। অনেক সময় এ নিয়ে ভেবে সব কাজে গোলমাল লাগিয়ে দেই। আর পাগল মন লেখকের আগেই কল্পনায় সেই সিরিজগুলোর যে কতো ছবি এঁকে ফেলে তার ঠিক নেই। তখন মনে হয় লেখকের চাইতে বুঝি মাথাব্যথাটা আমারই বেশি। এজন্য নিশ্চই শ্যামাপি আমার উপর বেশ রেগে আছে ঊনার "সে কোন বনের হরিণ ছিলো আমার মনে" এর নিয়মিত পাঠক নই বলে। ঠিক সেই একইভাবে ইচ্ছে থাকলেও প্রিয় পদাতিক ভাইয়ের "আঁধারে আলো" এর পাঠকও হতে পারিনি। তবুও এ নিয়ে কখনো পদাতিক ভাইয়ের মাঝে কোনো অভিমানের ছাপ পর্যন্ত চোখে পরেনি। তিনি অবলীলায় নিয়ে চলেছেন আমার খবরা-খবর যা আমাকে ভীষণভাবে ঋণী করে তুলেছে। এতো ভালোবাসেন কেন এই অধমেরে? কি দিয়ে শোধ করবো এই ঋণ?

প্রিয় দ্বিতারকা,
আপনাদের এই ভালোবাসাটা আরো বেশি করে উপলব্ধি করেছি ব্লগ ছেড়ে থাকার পর। সত্যি বলতে এই আপনাদের মতো যাঁরা ভালোবাসেন তাদের কারণেই ফিরবোনা করেও ফিরে আসা। নয়তো প্রতিবার যাবার আগে চরম পণ করে যাই আর না ফেরার। কোনো কয়েদিই চায় না পুনরায় কারাবদ্ধ হতে। কিন্তু তবুও অপরাধীর মতো আবার এই কারাগারে ফিরে আসি শুধু এই ভালবাসার মায়াতে। শত অবজ্ঞা অবহেলা হার মানে ভালবাসার কাছে। আর যার হাতে একবার কলম উঠেছে সেতো না চাইলেও কলম নিজেই খুলে যায়, আর লিখে ফেলে মনের কথা। তাইতো এভাবে প্রাণখুলে লিখছি। সত্যি বলতে বারবার ধাক্কা খেয়ে লিখার আগ্রহ অনেক হারিয়ে ও দমিয়ে ফেলেছি। লিখাটা এখন আর আগের মতো নেশা নেই। বরং না লিখে থাকতে চাওয়াটাই এখন নেশা। দু'দিনের দুনিয়ায় কি হবে এতো লিখে? মহামানবগণ এতো যে লিখে গেলেন, তার বাস্তবায়ন আমরা কতটা করতে পেরেছি? কতোটুকুইবা জানতে ও চিনতে পেরেছি তাঁদের?

হে দুই নয়ন,
আমার মত লেখকদের আরেক শক্তি হচ্ছে ধর্ম। কারণ, ধর্ম এমনভাবে আমাদের নিঃস্বার্থ সব বিষয়ে গাইড করে যা না থাকলে হয়তো কোনটার পর কি করবো বা কিভাবে করবো সেই সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই জীবন পার হয়ে যেতো। কিন্তু ধর্মের গাইড লাইনের জন্য অনেক নিশ্চিন্তভাবে চলতে পারি। তাই লিখাতেও কিসের পর কি লিখতে হবে তার গাইড এই ধর্ম হতেই চলে আসে। নিজের মস্তিষ্ককে অনেক চাপ মুক্ত রেখে কলম চালোনা সম্ভব হয় ঠিক যেমনি নিশ্চিন্তে মুক্ত বিহঙ্গ পারে আকাশে দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে। কিন্তু আজ যে অনেক পাঠক মাঝে ধর্মে অরুচি ধরে গেছে! চারিদিকে চাপিয়ে দেবার বেশাতি। এরমাঝে মুক্ত বিহঙ্গমন কিভাবে পারবে উন্মুক্তভাবে লিখতে? তাইতো লিখার মাঠে আর খেলতে মন সায় দেয়না।

হে প্রিয় উন্মুক্ত হৃদয়দ্বয়,
ব্লগ ছাড়ায় আপনারা বিভিন্ন সময় ব্লগে নিয়মিত হতে বুঝিয়েছেন। তাই আজ আপনাদের প্রতি এই নিবেদন। জানিনা কতোটা বুঝাতে পারলাম। দয়া করে সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে আবারো মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দেবেন। আপনাদের অনেক মূল্যবাণ সময় নষ্ট করার জন্য আবারো নির্লজ্জের মতো ক্ষমা চাই। আপনারা সপরিবার সুস্থ্য থাকুন, সুখে থাকুন এই প্রত্যাশায় আমাকে একটু হলেও বুঝবেন আশা নিয়ে লিখার ইতি টানছি।
ভাল থাকুন সবসময়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩০
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×