♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধর্মীয় বিষয় কষ্ট দিলে আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে আমার লিখা এড়িয়ে যাবার।
(ছবি নেট হতে)
মন্তব্য শব্দটির মাঝে ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুটো ভাবই বিদ্যমান রয়েছে। মন্তব্য মানেই ইতিবাচক কিছু হবেই এমন আশা করাটা বোকামি। তাই নেতিবাচক মন্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে প্রসঙ্গ, মনন, এবং সৃজনশীলতার। অর্থাৎ মন্তব্য ইতি বা নেতি যেটাই হোক, তাতে কতোটা প্রসঙ্গ, মনন, এবং সৃজনশীলতা রয়েছে তাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়। নয়তো ইতিবাচক মন্তব্যও অর্থহীণ।
কোনো লেখা পড়ে যখন পাঠক মন্তব্য করেন তখন এর মধ্যে মূলত দুটো বিষয় উপস্থিত থাকা জরুরী। প্রথম হচ্ছে মন্তব্যকারীর কমনসেন্স, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ডেডিকেসন। মন্তব্যটি পড়লে যেনো বুঝা সম্ভব হয় যে মন্তব্যকারী ভদ্রসমাজে মিশে চলার মতো কমনসেন্স বা ব্যক্তিত্ব রাখেন, অপরদিকে মন্তব্যটি করা হয়েছে লেখককে উৎসাহ দান এবং সংশোধনের উদ্দেশ্যেই। মানুষ মাত্রই ভুল। আর লেখকও এর উর্ধে নয়। তাই যদি ভুল থেকে থাকে তা জানানো মন্তব্যকারীর জন্য জরুরী। কিন্তু সেই মন্তব্যের প্রকাশ ঘটতে হবে প্রসঙ্গ, মনন, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে।
সবাই ভালো লিখবেন, সবাই কবি হবেন, কিংবা সবাই শুধু জ্ঞাণগর্ভ আলোচনা প্রকাশ করবেন এমন চিন্তা করাটা বাতুলতা ছাড়া কিছুই না। তেমনি বলতে পারেন যে, সবাই সৃজনশীল মন্তব্য করবে এমন আশা করাটাও বাতুলতা। আপনার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু যখন কেউ অনবরত এমন মন্তব্য করতে থাকে যার কোনো প্রসঙ্গ, মনন, বা সৃজনশীলতা নেই, তখন সেই মন্তব্যকারীকে পাঠক নয়, বরং মানসিক রোগী বলাই শ্রেয়।
আপনার সুবিশাল লিখা পড়ে যদি কেউ মন্তব্য করে যে, "সুন্দর" তখন আপনার খুশিতে গদগদ হবার চাইতে চিন্তার সাগরে ডুব দেওয়াটা বুদ্ধির কাজ। কারণ, এই "সুন্দর" শব্দটি কেবল শুনতে বা পড়তেই সুন্দর। ভাব প্রকাশে রয়েছে এর বিবিধ অর্থ। এটি যেমনি উৎসাহের উৎস, পাশাপাশি ইয়ার্কিরও অনন্য আধার। আবার পাঠক কি না পড়েই উক্ত কমেন্টটি করেছেন কিনা, সেটাও ভাবার বিষয়। তাই সুলেখকগণের এমন মন্তব্যে মাথাঘুরে যাবারই কথা। কারণ এটি পূর্ণরূপে না প্রকাশ করছে প্রসঙ্গ, না প্রকাশ করছে ডেডিকেসন। এটি শুধু একপাক্ষীকভাবে মন্তব্যকারীর কমনসেন্সকেই তুলে ধরছে।
আবার পোস্ট পড়ে যদি কেউ বলে বসে যে "টুট টুট", তখন সেটি না হবে প্রাসঙ্গিক, না হবে মনন, না হবে সৃজনশীলতা। সেটা শুধুমাত্র মন্তব্যকারীর কমনসেন্সহীণতারই প্রতিনিধিত্ব করবে। যার ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে মন্তব্যকারীর ব্যক্তিত্বই। এতে করে এই ধরণের মন্তব্যকারীকে কেবল অপাঠক নয়, মানসিক রোগী বলাই উত্তম।
তাই, মন্তব্য করার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো আমাদের সবার খেয়াল রাখা উচিৎ। আমাদের মন্তব্য যেনো উপদেশমূলক হয়, অপমানমূলক নয়। কারো সঙ্গে ধারণা না মিললে কেনো অমিল তা যুক্তি দিয়ে নিজের মতামত পেশ করতেই পারি। তবে তা অবশ্যই সৃজনশীল এবং প্রাসঙ্গিক হতে হবে। সেইসঙ্গে হতে হবে লেখকের মতামতের সঙ্গে শ্রদ্ধা রেখে। আমি যা জানি বা বুঝি তাই স্বতঃসিদ্ধ এবং অন্য সবাই তা পালন করবে এমন হাম্বরাভাব পরিত্যাজ্য। সেইসঙ্গে হিউমারের মোড়কে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যেও বিরত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০