♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট কর)
ভাই সাজিদ, (আমি সাজিদ লিখিনি অর্থ বিকৃত হবে)
গতকাল আপনার ব্লগ হতে বিদায় নেবার ১ মাস পূর্তি ছিলো। যেদিন আপনি ব্লগ ছেড়ে যাবার ঘোষণা দেন তখনই আপনাকে লিখতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনি মন্তব্যের অপসনও বন্ধ রেখে বুঝিয়ে দেন ব্লগে দেবার মতো সময় আপনার নাই। তাই, যারজন্যে লিখছি সেই যদি না পড়ে তবে লিখে লাভ কি? এই ভেবে লিখিনি। যদিও মন বলেছিলো আপনি ব্লগ ছেড়ে থাকতে পারবেন না, কারণ এর আগে আমিসহ অনেকেই ব্লগ ছেড়ে গিয়ে আবার ফিরে এসেছি। এ নেশা যে নিকোটিনের চাইতেও তীব্র! সম্প্রতি আপনাকে ব্লগে বিশেষ করে আমার পোস্টে এ্যাক্টিভ দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আর সেই ভালো লাগা হতেই এই লিখা।
ব্লগে সুদীর্ঘকাল থাকার পরও আমার সঙ্গে আপনার তেমন কোনো বিক্রিয়া নেই বলেই আমি জানি। আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, আমি যতোক্ষণ না কারো মাথাব্যাথার কারণ হই, ততোক্ষণ তাকে নিয়েও আমি মাথা ঘামাই না। তাই একজন এ্যাক্টিভ ব্লগার হিসেবে আপনার নাম এবং প্রোপিক সত্যিই আমায় ভীষণ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু বিক্রিয়া করার মতো পরিবেশ পরিস্থিতি হয়নি। এর আগে আপনার কোনো মন্তব্য কখনো পেয়েছি বলেও মনে করতে পারছি না। তাই আপনি ছিলেন আমার চোখে এক নির্ভেজাল ব্লগার। আপনার মতো আপনি ব্লগিং করে গেছেন। আমি কখনো আগ্রহবোধ করিনি আপনি কি ব্লগিং করছেন, কারণ আপনার ব্লগিংয়ের বিষয়গুলো আমার কাছে সেভাবে আকর্ষণীয় ছিলোনা।
কিন্তু সম্প্রতি আপনি আমার পোস্টে দু'টো মন্তব্য করার পর আপনার ধ্যান-ধারণা বুঝতে আপনার ব্লগে গিয়ে দেখি আপনি সব লিখা সড়িয়ে ফেলেছেন। তাই আপনার ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে তেমন কোনো আভাস পেলাম না। তাই আমার ধ্যান-ধারণায় আপনার প্রশ্নের উত্তর করছি। আর ভুল বুঝাবুঝির জন্যে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আপনি সর্বশেষ মন্তব্যে বলেছেন,
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
আমি সাজিদ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না। আমি অন্য একটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম। আপনার শেষ পোস্টে এক নারী ব্লগার মেয়েদের ষোল বছর বয়সে বিয়ে দিতে চান। আমি এই বিষয়ে আপনার মনোভাব জানতে চাই। কারণ এর প্রতিবাদ আপনি করেন নাই। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে এই ব্লগের অন্য কর্মজীবী নারী ব্লগারদের মনোভাবও জানতে চাই। কারণ বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। মেয়েদের বিয়ের বয়স ষোল বছর হওয়া উচিত কিনা? ষোল থেকে কমিয়ে কেউ তেরো বলে নাকি সেটাও তো জানা দরকার।
না, আমি কিছু মনে করিনি। তবে, “আপনার শেষ পোস্টে এক নারী ব্লগার মেয়েদের ষোল বছর বয়সে বিয়ে দিতে চান।” কথাটা নিতে পারছি না বলে দুঃখিত। কারণ হিসেবে আসুন উনার মন্তব্যটি দেখি-
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর একটি পোস্ট। বাংলাদেশের বাল্য বিবাহ রোধ আইনে ১৮ এর নীচে বিয়ে নয়। বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে মানিয়ে বিয়ের জন্য ১৬ করাটাই যুক্তিযুক্ত। কারণ দেশের সাথে মানিয়ে যৌক্তিক কারণে কিছুটা হেরফের করলে ক্ষতি কি। এখন অবাধে স্কুলে যা হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চাই নৈতিক উন্নয়নশিক্ষা এবং আইন। আর সেই আইনের বাস্তবায়ন ও সঠিক মনিটরিং। সুন্দর একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
উপর্যুক্ত মন্তব্যে দেখা যাচ্ছে যে, আপা সহমত পোষণ করেছেন বিষয়টিতে। উনার কাছে বিষয়টি যৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই বলে নিশ্চই এটি করার তিনি কোনো অথরিটি নন। সার্বিকভাবে করার বা দেবার রাইট নিশ্চই উনার না। তবে ব্যক্তিগতভাবে করতে চাইলে তখন সেটাও কিন্তু ব্যক্তি স্বাধীনতায় চলে যাবে। তখন স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কি স্বাধীনতার অংশ হবে?
যদি সেই পোস্টে আপনার মতামতটি দেখি,
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৫
আমি সাজিদ বলেছেন: ১৮ বছরে বিয়ে করাবেন? এরপর? সামু এখন বাল্যবিবাহও প্রমোট করে জানতাম না। এই লেখাটা আপনার আসল নিক থেকে লিখে দেখা যায় কি, কেমন সাড়া পান? যারা ১৮ তা বিয়ে করে নাই তারা ২৫/২৬ এ করেছে। কোন সমস্যা তো হয় নাই৷ সবসময় worst case scenario নিয়ে কেন ভাবেন? যেটার সম্ভাবনা ৩-৫ %?
পোস্টটি নিশ্চই সামু আমাকে ফরমায়েশ দিয়ে লিখায়নি। তাহলে, “সামু এখন বাল্যবিবাহও প্রমোট করে” বলাটা কতোটা যৌক্তিক? তবে কি সামুতে যে হরহামেশেই স্ববিরোধী পোস্ট আসে, সেসবও কি সামুর ফরমায়েশি লিখা? তবে আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়টা কোথায় থাকে ভাই? আবার, “এই লেখাটা আপনার আসল নিক থেকে লিখে দেখা যায় কি, কেমন সাড়া পান?” কথাটির দ্বারা কি আমাকে অপমান করা হলোনা যেখানে আমার জানা মতে আমার আসল নিক বলতে কিছু নেই? নাকি এগুলোর নাম স্বাধীন মত প্রকাশ? তবে পরে যখন বললেন, “যারা ১৮ তা বিয়ে করে নাই তারা ২৫/২৬ এ করেছে। কোন সমস্যা তো হয় নাই৷ সবসময় worst case scenario নিয়ে কেন ভাবেন? যেটার সম্ভাবনা ৩-৫ %?” এটাকে অবশ্যই এ্যাপ্রিসিয়েট করতে হবে। কারণ, এটা আপনার স্বাধীন মতামত। আপনি আপনার মতো করে ভাবতেই পারেন। এখানে নিশ্চই আমি বলতে পারিনা এই আধুনিক যুগে আপনি চান সবার উপর ২৫/২৬ বছর বয়সে বিয়ে চাপিয়ে দিত? নাকি বলেন? আসলে ভাই আমার মনে হচ্ছে আপনি কোনো কারণে ট্রমাটাইজড্। বিষয় না, মাঝেমধ্যে এমন হয়। এসব কাটিয়ে আবার পুরোদমে ব্লগিং-এ ফিরে আসুন এই কামনা করি।
আবার সেখানেই ভাই নতুনের মন্তব্যটা দেখেছেন?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯
নতুন বলেছেন: আমি সাজিদ ভাইয়ের সাথে সহমত। একজন মেয়ের মানুষিক ম্যচিউরিটি দরকার আছে। প্রেম করলেই যে সংসার করার মতন ম্যচিউরিটি চলে আসে এটা ঠিক না। ধনী পরিবার ছেলে কে যথেস্থ টাকা পয়সা দেয় যাতে বেকার হলেও স্ত্রী নিয়ে চলতে পারে। যারা বেকার ছেলের বিয়ের কথা বলে তারা বিয়ের পরে স্ত্রীর খচরা বাবার কাছে চেয়ে নিতে হবে এই সিনারিওটা ভেবে দেখেছেন কি?
এখন যদি বলি আপনি আর নতুন মিলে বুড়ো বয়সে বিয়ে চাপাতে চাচ্ছেন তবে নিশ্চই সেটা আহাম্মকি হবে। যুক্তি হিসেবে বয়স বেশি হলে গর্ভ ধারণের সমস্যা, অকাল বৈকাল্যদশা, মেন্টাল আন্ডার্স্ট্যান্ডিংসহ অনেক সাইন্টিফিক বিষয় আনা যাবে। কিন্তু তাতে আপনার বা নতুনের মতামতকে অবহেলা ছাড়া আরকিছু করা হবে কি? কিন্তু এটাতো আমাদের কাম্য নয়। আপনারা বিষয়টা একপাশ হতে দেখছেন, আমরা অপরপাশ হতে। তাতে নিশ্চই বলা চলেনা যে আমি বা আপনি ভুল। যৌক্তিক আলোচনায় লক্ষ্যে পৌঁছানোই আপনার বা আমার অভিন্ন লক্ষ্য।
এবার আমার কথা বলি। আমি বিষয়টা সাইন্টিফিক, মানবিক, সামাজিক, ধর্মীয় সকল দিক হতে বিবেচনা করে বুঝি, বয়সের চাইতে বড় বিষয় পরিপক্কতা। আর এই পরিপক্কতার কোনো নির্দিষ্ট বয়সীমা নেই। একসঙ্গে বেড়ে উঠা দুজনের পরিপক্কতা দুই সময়ে আসতে পারে। তাই পরিপক্কতার বিবেচনায় বিয়ের বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতেই পারে। ইসলামও বলে বালেগ হলেই বিয়ে দিতে। মানবিক দিক হতে ভাবুন। আপনার যখন ক্ষুধা তখন খাবার দরকার? নাকি ক্ষুধা লাগার ১০ বছর পর? ক্ষুধায় খাবার না পেয়েই মনুষ ভাত চুরি হতে আরো ভয়ংকর অপরাধে জড়িয়ে যায়। আর সমাজ? সেটা আপনার-আমার তৈরী। ধরুন আপনার এক ছেলে। হন আপনি ধনী বা গরীব। এখন যদি আপনার আরেকটি মেয়ে থাকতো, তবে কি না খাইয়ে রাখতেন? সেক্ষেত্রে ছেলে বেকার হলেই বউ না খেয়ে থাকবে কেনো? আর যদি পুত্রবধূকে মেয়ে না ভাবতে পারি, তবে এ কেমন মানবিকতা? আপনি-আমি মেনে নিলে, শুরু করলে, দু’দিন পর এটাই সামাজিকতা হয়ে যাবে। আর বিজ্ঞান এখন প্রতিনিয়তই বলছে, মেয়ে-ছেলেদের বয়স বৃদ্ধির সাথে-সাথে কিভাবে তাদের জনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যদি বিজ্ঞান মানি, তবে সন্তানের ক্ষমতা হ্রাসের দায় কি আমার উপরেও আসেনা? আর ধর্মের দিক হতে বিষয়টা শাস্তিযোগ্যও হয়ে যায়। কিন্তু আমরা এতোটাই মূর্খ যে, আগের যুগের মতো ধরে আছি মা-বাবা দোষের উর্ধে!
এই যে হ্যাচারির মাছ, বয়লার মুরগী, শাক-সব্জি এসব কি বিজ্ঞানের হাতে পরে মাসের স্থলে দিনেই আমাদের খাবার হয়ে ফিরে আসছে না? তবে ছেলে-মেয়ের বিয়ের বয়স এগিয়ে এলে সমস্যা কি? গবেষণা এটাও বলছে, মাছ-মাংসে যে উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হচ্ছে তা মানবদেহে গিয়ে মানবদেহেও ছড়ি পরে অকাল বার্ধক্য টেনে আনছে। তারপরও বয়স না টেনে আনা আমার নিকটে বোকামি মনে হয়। যদিও এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। এতে নিশ্চই কিছু পরিবর্তন হবেনা। তাই আমার কথাগুলোকে এতো গুরুত্বের সাথে না দেখার জন্যে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি। আপনি জানতে চেয়েছেন, তাই এতোকিছু লিখে ফেললাম। সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অচিরেই আবার পুরোদস্তুর ব্লগার হয়ে ফিরে আসুন। “আমি সাজিদ” নাম এবং ছবি আবার এ্যাক্টিভ ব্লগার লিস্টে জ্বলজ্বল করুক এই প্রত্যাশায় এখানেই বিদায় নিচ্ছি। জটিলবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

