সিগারেট এক প্রকার আসক্তি। যারা সিগারেট খায় না অনেকেই চায় জোর করে তাকে সিগারেট ধরিয়ে দিতে। প্রয়োজনে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হলেও তাকে সিগারেট কিনে দেয়। এছাড়া আরো বলে "এক টানে - দুই টানে কিছু হয় না"। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত সিগারেট এক প্রকার আসক্তির বস্তু। কিন্তু আমাদের সমাজে এটি বৈধ। একটি সিগারেটের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য।
প্রাথমিক অবস্থায় সিগারেট খেলে সিগারেটের রাসায়নিক উপাদান গুলো শরীরের রক্তের সাথে মিশে যায় এবং মস্তিস্কে এর চাহিদা সৃষ্টি করে। এবং নির্দিষ্ট সময় পর এর ক্রিয়া শেষ হয়ে যায় এবং মস্তিস্ক এই ঘটতি পূরণের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এর নামই আসক্তি। এভাবেই ধীরে ধীরে একজন ব্যক্তি সিগারেটে আসক্ত হয়ে পরেন। তাই কৌতূহল বশতও সিগারেট শুরু করা উচিত নয়। কারন ফাঁদে একবার পা দিলেই বাকি কাজ ঐ রাসায়নিক উপাদান গুলোই করবে। একটি সিগারেটে কি কি রাসায়নিক উপাদান থাকে এবং তার ক্ষতি সমুহ জানতে এই পোস্টটি দেখুন।
অনেকেই হয়তো বা বলবেন আমার টাকায় আমি সিগারেট খাই তা নিয়ে আপনার অসুবিধা কী ?
কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখুন কি ক্ষতি করছেন?
সিগারেট পান কালীন সময়ে আপনার বর্জিত ধোঁয়া আশপাশের লোকজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সিগারেট গ্রহনের ফলে আপনি তো নিজের বিপদ ডেকে আনবেনই যারা সিগারেট খায় না তারাও আপনার বর্জিত ধোঁয়া দ্বারা অসুস্থ হয়ে পরবে। আপনি যদি সচেতন হন তবে আপনার দ্বারা অন্নকে কষ্ট দেয়া কি শোভা পায়?
বড় বড় অগ্নিকান্ডও সিগারেট এর কারনে সংঘটিত হওয়ার নজির রয়েছে। এর ফলে লোকসান হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
একটি বার ভেবে দেখুন সিগারেট গ্রহনের ফলে যদি আপনি অপ্রত্যাশিত ভাবে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান তাহলে আপনার পরিবারের কি অবস্থা হবে। আপনার পরিবারের কি আপনার কোনো প্রয়োজন নেই ?
সিগারেট গ্রহনের ফলে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম এর কষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। গবেষণায় জানা গেছে সিগারেট পানকারীর সন্তান মানসিক বা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হতে পারে। এবার চিন্তা করে দেখুন সিগারেট পান করে আপনি তো বেঁচে গেলেন ঠিকই কিন্তু এই অপরাধের কষ্ট ভোগ করার দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন আপনার সন্তানের উপর।
আমিতো সিগারেটের অপকারিতার অনেক ব্যাখ্যা করলাম। কেউ কি আমাকে সিগারেট এর একটিও উপকারিতা উপস্থাপন করতে পারবেন?
সিগারেট নিঃসন্দেহে একটি ক্ষতিকারক বস্তু। আসুন আমরা এই ক্ষতিকারক বস্তুটিকে বর্জন করি।
মনে রাখবেনঃ
সচেতন ব্যক্তি কখনো ধুমপান করে না।
আমার এই পোস্টটিতে কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকলে আমাকে ক্ষমা করবেন। কারন এই পোস্টটি কাউকে হেয় করার জন্য নয়। তবুও আমার এই পোস্টটি যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকে তবে তার কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৬