somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ইসিয়াক
একান্ত ব্যক্তিগত কারণে ব্লগে আর পোস্ট দেওয়া হবে না। আপাতত শুধু ব্লগ পড়বো। বিশেষ করে পুরানো পোস্টগুলো। কোন পোস্টে মন্তব্য করবো না বলে ঠিক করেছি। আমি সামহোয়্যারইন ব্লগে আছি এবং থাকবো। ভালো আছি। ভালো থাকুন সকলে।

ধারাবাহিক গল্পঃ পরভৃতা - ৫

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
৪র্থ পর্ব


(৫)
সাল ১৯৯১, এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ। সময়টা গ্রাম্য জনপদে জন্য এমনিতেই আনন্দের।নতুন ধান কাটা পড়েছে,চারদিকে উৎসব মুখর পরিবেশ।বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য বেশ বড় আকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাঁচা পাকা ধানের অন্য রকম গন্ধ চারপাশে ।সিদ্ধ ধানের মাতাল ঘ্রান, কৃষাণ কৃষাণীর ব্যস্ততা, গরুর গাড়ির ছন্দোবদ্ধ ক্যাঁচর কোঁচড় আওয়াজ, ঢেকিতে রাত কী দিন বিরামহীন ধাক কুড় কুড় পাড়ের শব্দ গ্রামীন জনপদে নতুন প্রাণের জোয়ার এনেছে ।ঘরে ঘরে নবান্ন। পিঠা পুলির আয়োজন। দারুণ খুশির সময় সকলের জন্য ।

তবে মোল্লাবাড়িতে খুশির মাত্রা একটু বেশি। কাশেম মোল্লা অবস্থা সম্পন্ন গৃহস্থ। তার ছোট ছেলের বিয়ে আসন্ন। এটাই তার শেষ কাজ। তাই আড়ম্বরটাও বেশি।

বিয়ে উপলক্ষে বাড়ি ভর্তি লোকজন গিজগিজ করছে , তিল ধারণের ঠাই নাই কোথাও।
হৈ হুল্লোড় ,বাজি, পটকা, রঙ, কাঁদামাটি মাখামাখি কি বাদ আছে এ সময়ে তাই ভাবনার বিষয়।
অন্দরমহলে চলছে ভিন্ন আয়োজন। মেয়েরা কে কোন পোষাক পরবে,গায়ে হলুদ আর বিয়েতে, কোন গহনা কার সাথে মানাবে তাই নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত ।

এদিকে শহর থেকে মাইক ভাড়া করে এনেছে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ছেলে ছোকড়ার দল । সেই মাইকে চলছে বাংলা সিনেমার গান। মাইক বাঁধা হয়েছে সবচেয়ে উঁচু শিমুল গাছটার মাথায়।দুরবর্তী কয়েকগ্রাম পর্যন্ত সেই গান বাতাসে বেড়াচ্ছে।

সাথে টুনি বাল্ব,জেনারেটরের ব্যবস্থাও আছে ।এসবে কাশেম মোল্লার আপত্তি ছিল কিন্তু তাঁর আপত্তি এক্ষেত্রে ধোপে টেকেনি। ছেলে ছোকরারা দলে ভারি,সাথে গুটিকয়েক মুরুব্বিও যোগ দেওয়াতে কাশেম মোল্লার কথা বেনো জলে ভেসে গেছে।

এত আড়ম্বর তার মধ্যে একটা খবর জানতে পেরে কাশেম মোল্লার কপালে দুশ্চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছে। আকাশ ঘন মেঘে ছেয়ে আসছে। বাড়ি ভর্তি লোকজন,এত লোকের দায় দায়িত্ব , তার মধ্যে শোনা যাচ্ছে উপকূলের দিকে দারুণ শক্তিশালী এক ঝড় ধেয়ে আসছে।
সাবধান হতে হবে দ্রত নয়তো বড় আকারের ক্ষতি হয়ে যাবে কিন্তু কেউ ই কথা কানে তুলছে না।
বাড়িতে অতিথি প্রায় সকলে চলে এসেছে অনেকের সাথে অনেকের বহুদিন পরে দেখা। হৈ হুল্লোড় পরস্পর ভাব বিনিময় পুরোদমে চলছে। কারো সাথে ঝড় নিয়ে কথা বলতে গেলেই সে মহা বিরক্ত হচ্ছে। উটকো ঝামেলা মনে করছে, বড় জোর স্বান্তনা দিয়ে বলছে আল্লাহ ভরসা এত ভাবেন কেন মুরুব্বি? ইনশাআল্লাহ সমস্যা হবে না। ঝড় বৃষ্টি তো আল্লাহর নেয়ামত।

কাশেম মোল্লা অভিজ্ঞ মানুষ তিনি বিপদ বেশ খানিকটা আঁচ করতে পারছেন।কিন্তু অন্যরা এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছে না কেন তা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। তারা ব্যস্ত আনন্দ উৎসব নিয়ে। মাত্রা ছাড়া আনন্দ ফুর্তি কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না।কে বোঝাবে কাকে?

২৭ এপ্রিল সকাল থেকে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়তে লাগলো সেই সাথে বাতাসের গতিবেগ দেখে কাশেম মোল্লা সহ বয়স্কদের টনক নড়ল অচিরেই। কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তখন আর নেই।কারণ আশ্রয় কেন্দ্রটি অনেকটা দুরে, বাড়ি ভর্তি শ’দুয়েক লোক। এত লোক...

তারপর আলোচনা করে ঠিক করা হলো মেয়ে আর বাচ্চাদের না হয় পাঠিয়ে দেওয়া যাক আশ্রয়কেন্দ্রে।
কিন্তু উথাল পাতাল ঝড় চারপাশটা দুমড়ে মুচড়ে ফেলছে ঝড়ের গতি বাড়ছে খুব দ্রুত । হুশ হাশ শব্দে গাছের ডাল উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে এক ঝটকায়। বৃষ্টি আর সেই সাথে শো শো ভয়ংকর আওয়াজ। অচিরেই আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার ভাবনা বাদ দিতে হলো। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলো খুব শিঘ্রি।

এতক্ষণে সবাই কমবেশি পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হবার তা তো হয়েই গেছে। এখন ভরসা নিয়তির উপর। এছাড়া কিছু করার নেই সম্ভবত ।
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে
মেয়ে আর শিশুদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ঘরে রাখা হলো আর পুরুষেরা আলাদা ঘরে। বাতাস এত জোরে বইতে লাগলো যে দশ ইঞ্চি পুরু পাকা দেওয়াল গুলো থরথর করে কাঁপতে লাগলো বাড়ি খেয়ে।
ঘর সংলগ্ন টিনের চালগুলি প্রতি মুহুর্তে মনে হতে লাগলো এই বুঝি উড়ে গেলো।বাড়তি সাবধানতার জন্য টিনের চালগুলো গরু বাধা মোটা মোটা দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হলো। জানালার কপাটের খটখট ভীতিকর আওয়াজ সহজেই ভয় ধরিয়ে দিলো ছোট বড় সকলের। কিভাবে যেন একটা জানালার পাল্লা খুলে নিমেষে বাতাসে ভাসতে ভাসতে উড়ে চলে গেল আর ঘরের মধ্যে ঝড়ো হাওয়া হু হু করে ঢুকতে লাগলো প্রচন্ড গতিতে।
বাচ্চারা হাঁউ মাঁউ করে কাঁদতে লাগলো।অনেক মহিলাও ভয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। মুরুব্বিরা দোয়া দরুদ পড়তে লাগলেন জোরে জোরে। কাশেম মোল্লা সুউচ্চ স্বরে আযান দেয়া শুরু করতে পাশের পাড়া থেকে কেঁপে কেঁপে বাতাসের তালে তালে শঙ্খধ্বনি বেজে উঠলো।
মহাবিপদ! মহা বিপদ!!
অনেক দিন এমন ঝড় দেখেনি তারা কেউই।তাই ঝড় আসছে জেনে গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি প্রথমটায়।
পারিবারিক জরুরি কাগজ দলিল দস্তাবেজ, গহনা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস কয়েক স্তরের পলিথিন মোড়কে মুড়িয়ে মাটির গভীরে পুঁতে রাখা হলো।
রাতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে সেজন্য এই ব্যবস্থা।
টর্চ,ব্যাটারি প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স নিরাপদে রাখা হলো।
এর মধ্যে ঝড়ের গতি আরো ভয়ঙ্কর হলো সন্ধ্যার পর পর নদী ফুলে উঠলো।
মেয়েরা যে ঘরে ছিল, যে ঘরটিকে অপেক্ষাকৃতভাবে সবচেয়ে নিরাপদ মনে হয়েছিল সেটির চাল এক ঝটকায় উড়ে চলে গেলো সন্ধ্যার কিছুটা পরে । ভয়ে আতঙ্কে মেয়েরা এদিকে ওদিকে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগলো,শিশুদের অবস্থা আরো্ খারাপ। ভালো করে খেয়াল করলে সে সময় দেখা যেত আকাশে গাছের মোটা মোটা ডাল,টিনের চাল ঘরের তৈজসপত্র এমনকি মানুষও উড়ে যাচ্ছে।
মোল্লা বাড়িতে অবস্থানকারী অনেককেই এ সময় মারাত্মক ঝড়ো বাতাস ও জলোচ্ছ্বাসে উড়িয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সারারাত ধরে চলল দূর্বিষহ তান্ডব।

প্রতিটি প্রণিই ক্ষতি গ্রস্ত হলো নির্মমভাবে। মাঠ ফসল , পশু পাখি গাছ লতাপাতা কেউ রক্ষা পেল না।

পরের দিনটা ছিল আরো ভয়াবহ।, চারিদিকে শুধু প্রাকৃতিক তান্ডবলীলার চিহ্ণ আর মৃত্যু। এত মৃত্যু দেখেনি কেউ আগে। কোন কিছু আর আস্ত নেই, ভেঙেচুরে তছনচ করে,কাদা পানিতে মাখামাখি মানুষ গৃহপালিত পশু, বনে পাখি পশু সব, যত্র তত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে মরে পড়ে আছে। কোথাও কোন সাড়া নেই, আকাশে শকুণেল দল ঝাকে ঝাকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সময়টা এখন তাদের।
যারা বেঁচে আছে তারাও যেন নিস্প্রাণ অসাড়।
তবুও জীবনের ধর্ম বয়ে চলা। দিন শেষে আবার বাঁচার তাড়নায় একটু একটু করে প্রাণের স্পদন ফিরে আসতে লাগলো সমস্ত চরাচরে। আবার কর্ম চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলো জনজীবনে। প্রকৃতিতে।
অনেকটা পরে জানা গেলো মোল্লা বাড়ি থেকে মোট নয়জন হারিয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাসে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ মেয়ে আর শিশু। কাশেম মোল্লার ছোট ভাইকে দুই পা ভাঙা অবস্থায় তিনদিন পরে পাওয়া গেলে পাঁচ মাইল দূরে জগন্নাথপুর গ্রামে। বাকিদের বিস্তীর্ণ মাঠ,বাড়িঘর,গাছের মগডাল কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। তারা যেন উবে গেছে।
কাশেম মোল্লার ছোট নাতনি কামরুন্নাহারেরও আর কোন খোঁজ পাওয়া গেল না।
কামরুন্নাহারের মা জুলেখা বানু পাগল প্রায় হয়ে গেলেন মেয়ের শোকে। সেই সাথে রওনক শিকদারও।রওনক শিকদারের নিকার বউ জুলেখা বানু অতি আদরের তার কষ্টে এই দোর্দন্ড প্রতাপশালী রওনক শিকদারের জীবনে শোকের ছায়া নেমে এলো অচিরেই। তিনি ঘোষণা দিলেন জীবিত বা মৃত যে কামরুন্নাহারের খোঁজ এনে দিতে পারবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
চলবে
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
ছবিঃ গুগোল
ফুটনোটঃ পরভৃত ১. /বিশেষণ পদ/ পরপুষ্ট, পরের দ্বারা প্রতিপালিত। ২. /বিশেষ্য পদ/ পরের দ্বারা প্রতিপালিত এইজন্য. কোকিল। /পর+ভৃত/। /বিশেষণ পদ/ স্ত্রীলিঙ্গ. পরভৃতা।
গল্পটি সাত পর্বে সমাপ্ত। আশা করি সবাইকে পাশে পাবো। শুভকামনা।

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×