somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ চারুলতার গোয়েন্দাগিরি

২৩ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :






(১)
শেষ বৈশাখের দারুণ রৌদ্র উজ্জ্বল দিন। সমগ্র চরাচর জুড়েই আগুন গরম।

পীচ ঢালা পথ! সে তো আরো গরম। তাপ বুঝি সূর্য থেকে নয় পীচ ভেদ করে উপরে উঠে আসছে।

সংগত কারণে রাস্তায় লোক চলাচল একদমই কম।
এই প্রচন্ড রোদ গরমে এক মহিলা নিরন্তর হেঁটে চলেছেন, মহিলাটি বেশ জীর্ণ শীর্ণ, দেখে মনে হয় কতকাল রোগে ভোগা। তবে বয়সের ভারে নূজ্য নয়।

তার চলার ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছে এই প্রতিকুল পরিবেশেও সে অনেকটা পথ হেঁটে এসেছে।

একটা ছোট ফাঁকা মাঠের একপাশে একটা বড় বটগাছ। একটু ছায়াতে স্বস্তি খোঁজার আশায় সে যাত্রা বিরতি নিলো, একটু দাড়িয়ে তারপর শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুখটা মুছলো, সাথে রাখা পানির বোতল খুলে সেখান থেকে কয়েক ঢোক পানি খেল।

আশেপাশে একটু দেখে নিয়ে চুল খুলে আবার দ্রুত হাত খোপা বেঁধে নিল।

এর ফাঁকে সে রাস্তার বিপরীত দিকে বাড়িটার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকালো বার কয়েক। কাউকে খুঁজছে কিনা কে জানে।

(২)
চারুলতা আজ বাসায় একা। এতক্ষণ টিভিতে কার্টুন দেখছিল।কিন্তু বেশ কিছুটা সময় হলো বিদ্যুৎ চলে গেছে।
ঘরের ভিতর খুব বেশি গরম। তার মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসবে।

বাসায় মা নেই, বাবা নেই, দাদুও নেই। দাদু রয়েছে হাসপাতালে। খালি বাসায় কারই বা ভালো লাগে একা একা থাকতে।

ভীষণ একঘেয়েমিতে চারুর বিরক্ত লাগছে। মাকে বলেছিল সেও তার সাথে হাসপাতালে যাবে। মা নেয়নি। হাসপাতালে নাকি ছোটদের যাওয়া ঠিক না।

কারেন্ট চলে যাওয়ার পর থেকে তার কেমন জানি ভয় ভয়ও করছে। মা কখন আসবে কে জানে?

আগে সে বেশ সাহসী ছিল। গত মাসে বাসায় চুরি হবার পর থেকে তার মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় এসে জড়ো হয়েছে। সে এই ভয়কে জয় করতে চায়।

সে সব সময় সাহসী হতে চায়। চারু ঠিক করে রেখেছে বড় হলে গোয়েন্দা হবে, না হয় পুলিশ অফিসার হবে। এটা তার অনেকদিনের ইচ্ছা।

গরম থেকে বাঁচতে সে ব্যলকনিতে এসে দাড়ায়। এখান থেকে আকাশটা খুব ভালো দেখা যায়।

আকাশ দেখতে তার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে মেঘমুক্ত নীল আকাশ।

আজকের আকাশও মেঘমুক্ত। দারুণ স্বচ্ছ আর নির্মল। সেই নির্মল আকাশে নাম না জানা কিছু পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে মনের সুখে। দুর থেকে সেগুলোকে বিন্দুর মত লাগছে।

চারু ভাবে পাখি হতে পারলে বেশ হতো। যেখানে খুশি উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ানো যেত স্বাধীনভাবে।

আচ্ছা পাখিদের কী এই রোদ গরমে কষ্ট হয় না? জল তেষ্টা পায় না? ওই যে সূর্যের অতটা কাছে চলে যায় ওরা, ওদের কী তাপ লাগে না?
মা তো বলে বেশি রোদ গরম তাপে শরীর খারাপ হয়, ওদেরও তো অসুখ হবে তাহলে? তার মনে হয় ওদের কাছে গিয়ে সতর্ক করে দেয়। কিন্তু কি করে যাবে ওই আকাশের বুকে? তার তো ডানাই নেই।

নানা ভাবনা ভাবতে ভাবতে চারুর চোখ চলে যায় তাদের বাসার সামনের খোলা মাঠে। মাঠের এক কোনায় একটা বটগাছ আছে। বেশ ঝাপসালো। তার নিয়ে কে একজন দাঁড়িয়ে আছে তাদের বাসার দিকে মুখ করে। কেমন যেন উঁকি ঝুঁকি মারছে মনে হলো চারুর। কি চায় ও।

তিনতলার শোভনরা কদিন হলো বাড়িতে নেই। গ্রামে গেছে।আসবে কবে জানা নাই।

এদিকে গত মাসে তাদের ফাঁকা বাড়িতে চুরি হয়েছিল।
চারু হঠাৎ খেয়াল করলো যে মহিলাটি তাদের বাসার দিকে উঁকি মারছে সে তো তার মায়ের শাড়ি পড়েছে,তার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটিও তো দাদুর চুরি যাওয়া ব্যাগের মত। তবে কি মহিলা চোর? এই সেই চোর?

সে কোনদিন মহিলা চোর দেখেনি।
একবার তো চুরি করে পালালো আবার কোন মতলবে হাজির এখানে। দেখতে হয় তো।

চারু বুঝতে পেরেছে এ ঠিক বাড়ির দিকে নজর রাখছে। সে জানে চোরদের গ্যং থাকে। ও হয়তো বাড়িতে তেমন লোকজন নেই খবর পেয়েই এসেছে।

চারু উৎসাহী হল।

সে দ্রুত নিচে নেমে এসে দেখলো মহিলাটি ততক্ষণে হাঁটা শুরু করেছে। চারুকে দেখে কি সে ভয় পেয়েছে? পালাচ্ছে?

চারু ঠিক করলো এর পিছু নিয়ে আস্তানাটা দেখে আসতে হবে। তারপর পুলিশ আঙ্কেলকে নিয়ে গিয়ে সোজা হাতে নাতে ধরতে হবে।

এ সুযোগ কিছুতেই ছাড়া যাবে না। এই সেই চোর বা চোর দলের কেউ তা না হলে চুরি যাওয়া শাড়ি আর ব্যাগ হুবহু মেলে কি করে?
নিজের গোয়েন্দাগিরিতে নিজেই দারুণ সন্তুষ্ট হলো সে।

এদিকে বাসার দরজা কেবল আলতো করে টেনে রেখে নিচে নেমেছিল চারু, ঘরে যে তালা মারা হয়নি সেটা তার মাথাতেই এলো না।

এখন সে খুবই উত্তেজিত হয়ে আছে। উত্তেজনার ঘোরে সে অনেকটা পথ চলে এলো মহিলাটিকে অনুসরণ করে। হঠাৎ অচেনা পরিবেশ দেখে তার সম্বিৎ ফিরে এলো যেন। তাইতো, সে ঠিক মত পথ চিনে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে তো।

এটুকু ভাবতেই সে খেয়াল করলো মহিলাটি অনেকটা দুর চলে গেছে। না শেষ বেলায় এসে হাল ছাড়লে হবে না,যা হবে পরে দেখা যাবে,এখন ফিরে গেলে সব তদন্ত হাত ছাড়া হবার সম্ভাবনা।
শেষ বেলাতে তীরে এসে তরী ডোবালে হবে না। সে দৌড়ে মহিলাকে অনুসরণ করতেই
মহিলাটি একটা সরু গলির মধ্যে ঢুকে গেল।

চারু একটু বাদে গলিতে ঢুকতেই মহিলাটি পেছন ফিরে খেঁকিয়ে উঠলো,
- এই মাইয়া এইদিকে কই যাও?

- না মানে

-কি মানে মানে কও?

চারুলতার বুকটা কেঁপে উঠলো। ওকি তাহলে ধরা পড়ে গেল। মহিলাটি হঠাৎ ফোনে কার সাথে যেন কথা বলা শুরু করলো।

এর মধ্যে কোথেকে দুটো ছেলে এলে , মহিলাটি ইশারায় কি যেন বলল তাদের, চারু বুঝতে পারলো না।

চারুর ভীষণ ভয় করতে লাগলো।সম্ভবত সে ধরা পড়ে গেছে এরা এখন ঠিক তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ডেরায় তুলবে।

এতো সহজে সে ফাঁদে পড়ে যাবে ভাবতেই পারেনি চারু। কদিন আগে সে বাবার ফোনে এরকম একটা নাটক দেখেছে।

এই সব মহিলারা খুব ভয়ঙ্কর হয়।বাচ্চা আটকে মুক্তি পন চায়, না হলে হাত পা ভেঙে পাচার করে দেয় ভিক্ষার জন্য।

-কি হলো কথা কস না কেন? আমার পিছন পিছন আইছস কেন? সত্যি কইরা কবি। নাইলে কিন্তু খবর আছে।

চারু কি এখন দৌড় দিবে? নাকি চিৎকার দিবে। চারু চিৎকার দিতে চেষ্টা করলো। কিন্তু গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হলো না। তার ভয় করছে খুব ভয়।

ফোনে কথা বলা শেষ। এবার মহিলাটি ও ছেলে দুইটা তার দিকে এগিয়ে আসছে।

চারুর ইচ্ছে হলো এক ছুটে দৌড় লাগায়। কিন্তু তার পা কিছুতেই উঠলো না। মাটির সাথে আঠার মত লেগে গেছে যেন।

ওরা আরও কাছে আসতেই চারু ভয়ে ঠক ঠক করে কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে গেল।

(৩)
ইসমত আরা হাসপাতাল থেকে ফিরে ডোর বেল বাজাতে গিয়ে দেখে ঘরের দরজা হালকা একটু ফাঁক করা।

তার ভ্রুটা কুচকে এলো। তার মানে দরজা খোলা। মেয়েটা বড় হয়েছে কিন্তু বুদ্ধি একেবারেই হলো না। বার বার করে বলে যাওয়া সে যেন দরজা খুলে না রাখে।

গত মাসে বাড়িতে একটা চুরি হলো তার পরেও যদি না বোঝে তো কি আর করা।

-চারু ? এই চারু?

কিছুক্ষণ খোঁজা খুঁজি করে ইসমত আরা বুঝলো যে চারু বাসায় নেই। অন্য কোথাও কি খেলতে গেছে?
নাকি কেউ তাকে নিয়ে গেছে?
যেই মাথায় এলো কেউ তাকে নিয়ে গেছে অমনি তার মাথাটা ঘুরে গেল। সাথে সাথে সে জাকিরের অফিসে ফোন করলো ।

জাকির বাসায় এলে ইসমত আরা সব গুছিয়ে বলল, জাকির সব শুনে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়ল।

সে তো আহামরি টাকা পয়সার মালিক না যে তার মেয়েকে কেউ কিডন্যাপ করবে? তাহলে? নানা আশঙ্কার কথা মাথায় আসতে লাগলে তাদের মাথায়।

জাকির ভাবলো আরও কিছুক্ষণ দেখা যাক তারপর থানায় ইনফরমেশন করতে হবে।

হয়তো চারু আশেপাশে কোথাও খেলতে গেছে। অবশ্য সেই সম্ভাবনা ক্রমশ কমে আসছে কারণ ইসমত আরা একে একে সব বাড়ি খেলার মাঠ ঘুরে এসেছে।

হঠাৎ ইসমত আরার ফোনে ফোন আসে ,
-হ্যালো ..................
কিন্তু ফোনটা ধরার আগে কেটে যায়। জাকির ও ইসমত আরা সহ সকলে মুখ চাওয়া চাওয়ি করে। আননোন নাম্বার। নিশ্চয়ই আবার কল দেবে। এই ফোনে মালিকের কাছ থেকে কি পাওয়া যাবে চারুলতার খোঁজ?

(৪)
পাশাপাশি কয়েকটি সেমি পাকা ঘর । জাকির আর ইসমত আরা বুঝতে পারে না নির্দিষ্ট ঘর কোনটি।
ইসমত আরা বলে ফোন করো। জাকির দু তিনবার চেষ্টা করে।
-মোবাইল বন্ধ তো।
-আমি কিন্তু এমনই ভেবেছিলাম। আগে পুলিশে যাওয়া দরকার ছিল।

জাকির এখন কি করবে আসলে কী যে হচ্ছে সে ঠিক মতো বুঝতে পারছে না।
হঠাৎ চারুর গলার আওয়াজে তারা সচকিত হলো।
-বাবা মা!!!!
কোথেকে আওয়াজটা ভেসে আসছে বর্তমান পরিস্থিতিতে বুঝতে না পারলেও ইসমত আরা জাকিরকে মেয়ের ডাক অস্থির করে তুলল।
(৫)
মহিলাটির নাম জবা। জবার এক আত্নীয় চারুদের তিনতলাতে থাকে। সে ক্ষেত্রে এই বাড়িতে আসা যাওয়ায় চারুকে সে বেশ কয়েকবার দেখেছে।

হঠাৎ করে সে নিজের বাসার কাছাকাছি চারুকে দেখে সে অবাক হয়। সে কিন্তু খোলা মাঠের ধারে বটগাছের নীচে যখন দাঁড়িয়ে ছিল সেই সময় চারুকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখেছিল। তবে সে যে তার পিছু নেবে এটা বুঝতে পারেনি।

স্বাভাবিকভাবেই চারুকে তার বাসার কাছে দেখে যার পর নাই অবাক হয়েছিল।
সেই সাথে কিছুটা ভয়ও পেয়েছিল।
তাকে উত্তেজিত হতে দেখে আর সাথে দুই ছেলেকে দেখে চারু আরো ঘাবড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
উপায় না দেখে জবা তার ফুফুর কাছ থেকে ইসমত আরার ফোন নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করে। তবে ঝামেলা হতে পারে ভেবে কাউকে তেমন কিছু জানায় না।
(৬)
যাহোক চারুকে ফিরে পাওয়া গেলেও ইসমতআরা বা জাকির কেউ বুঝতে পারে না কেন জবার পিছু পিছু এখানে এতোটা পথ এসেছে।

অনেক চেষ্টার পরে চারুলতার মুখ থেকে যা জানতে পারলো তাতে সবাই যেমন অবাক হলো তেমনি বিরক্ত ও হলো।

তবে দুজনে এক বাক্যে শিকার করতে বাধ্য হলো যে চারুকে একা একা বাসায় রেখে যাওয়া উচিত হয়নি।

চারু জানালো জবাকে মায়ের মতো শাড়ী আর দাদুর মত ব্যাগ বহন করতে দেখে তার সন্দেহ হয় যে এই মহিলাটি হয়তো তাদের বাসায় চুরি করতে আসা সেই চোর। বা চোর দলের সদস্য।

তার পরেও জবার আচরণ ও তাদের বিল্ডিং এর দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকতে দেখে তার সন্দেহ আরো তীব্র হয়। তাই সে পিছু নেয় জবার।

জাকির রেগে গেলেও ইসমত আরা চারুকে বুঝিয়ে বলে। একা একা কখনই কোন বড় সিদ্ধান্তে আসতে নেই।

তাতে বিপদ বাড়ে বই কমে না। আর কেউ যখন কোন দায়িত্ব দিয়ে যায় সেটা যত ছোট হোক তা অবশ্যই সঠিক নিয়মে পালন করতে হয়। তার বাসা ছেড়ে যাওয়া ঠিক হয়নি।

ভাগ্য ভালো যে এই সুয়োগে কেউ বাসায় ঢুকে কিছু চুরি করে নিয়ে যায় নি।
চারু মাথা নাড়ে ,
তার ভুল হয়ে গেছে। সে আর কখনো দায়িত্বে অবহেলা করবে না। সে আর কখনো এমন ভুল করবে না।
শেষ
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×