somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ মনের মানুষ

০৩ রা এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলেটির তাকানোর ভঙ্গিটা বড়ই অদ্ভুত।আমি বেশ বুঝতে পারছি সে দুর থেকে অনেকক্ষণ ধরে আমায় দেখছে।খানিক শীতল আর অসহায় সেই দৃষ্টি। এভাবে কেউ কাউকে দেখলে অস্বস্তি হবার কথা কিন্তু আমার কেন জানি সেরকম কোন অস্বস্তি হচ্ছে না বরং অদ্ভুত এক ধরনের অনুভূতি হচ্ছে যা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না।
শুধু আজ নয় গত তিন চার দিন ধরে সে একটা নির্দিষ্ট সময়ে আসে। যখন আমি বিকালে ব্যলকনিতে আমার বারান্দার চা খাওয়ার জন্য আসি ঠিক সে সময় । সম্ভবত তার প্রধান কাজ আমাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ করা।
কিন্তু কেন? কি চায় সে? কি উদ্দেশ্য?
সে কি আমার ভক্ত শ্রোতাদের কেউ ? নাটকে অভিনয় করার সুবাদে আমায় অনেক ভক্তের পাগলামি সহ্য করতে হয় বা হয়েছে।এসব আমি উপভোগ করি যদি তা সীমার মধ্যে থাকে কিন্তু সীমা ছাড়ালেই সমস্যা বাড়ে।তবে এই ছেলেটিকে তেমনটা মনে হচ্ছে না। একবার তো এক সাইকো টাইপ ভক্তের উৎপাতে জীবন অতিষ্ঠ হবার উপক্রম হয়েছিল। দিন নেই রাত নেই কি যে অতিষ্ঠ অবস্থা! শেষে থানা পুলিশ আরও কত কি!
আজকাল কাউকে ঠিক বিশ্বাস করা যায় না,যুগটাই এমন যে। কার মনে যে কি মতলব আছে কে জানে! তবুও অজানা কোন কারণে ছেলেটির প্রতি আমার কোন বিতৃষ্ণা জাগছে না। কেন জাগছে না,তা পরিষ্কার নয়। মনে মনে ভাবলাম কথা বলা যাক ওর সাথে....কি চায়, জানতে তো আর দোষের কিছু নেই।
আমি লতিফাকে ডেকে পাঠালাম।লতিফা আমার বাসার কাজের সাহায্যকারী। ও বেশ করিৎকর্মা টাইপের মেয়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সে হাজির হলো। লতিফা এলে আমি ওকে বললাম রাস্তার ওপারে সবুজ শার্ট গায়ে দিয়ে একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে,ওকে ডেকে আন তো, আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই।
- জিন্স পরা ওই পোলা?
- হু
- চেনেন ওরে আপনি?
- না।
- একটা কথা কমু?
- বল, এত ভনিতা করছিস কেন?
- আন্টি এই সব আজাইরা পোলাপানরে বাড়িতে আননের কাম নাই। কি কইতে হইবো আমারে কন কয়া দিমুনে। চটকানা দেওন লাগলে ও কন দেই গিয়া একখান চটকান। কত্ত বড় সাহস! আমিও দেখছি তিন চারদিন ধইরা হেই শুধু আমগো বাড়ির দিকে তাকাইয়া থাকে। চুরির মতলব করে মনে লয়। চোট্টা কোনহানকার।
- আহ লতিফা তুই খুব বেশি কথা বলিস।তোকে যা বলা হয়েছে তাই কর। যা তাড়াতাড়ি যা ।
লতিকা মন খারাপ করে চলে গেল। ও বাচাল হলেও ওর মনটা শিশুর মত সহজ সরল আমি সেটা ভালো করে জানি । আর এই কারণে আমি লতিফাকে ভীষণ পছন্দ করি। লতিকা ও আমাকেও খুব পছন্দ করে।একটু বেশিই করে, পারলে জান দিয়ে দেয়।
(২)
-তুমি কি ভয় পাচ্ছো?
ছেলেটি জড়োসড়ো হয়ে দাড়িয়ে আছে।সে প্রশ্ন শুনে প্রথমে মাথা নাড়লো তারপর কি মনে করে উওর দিল।
-জ্বী না।
- বসো।ভয় পাওয়ার কিছু নেই বল তোমার নাম কি ?
-রফিক।
-শুধু রফিক? দাড়িয়ে কেন বসো।
ছেলেটা বসতে বসতে বলল
-রফিকুল ইসলাম।
- বাহ! সুন্দর নাম।বল রফিক কি বলতে চাও বল?
- আমি কিছু বলতে চাই না ম্যাডাম।
- তাহলে কেন প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকো ওখানটায়? আমাকে কি তোমার ভালো লাগে?
ছেলেটি মাথা নিচু করে রইলো,কোন কথা বলল না। আমি আবার বললাম
- কারও দিকে বা কারও বাসার দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যে অসভ্যতা সেটা কি তুমি জানো?
- জ্বী জানি।
- বল তাহলে কেন অকারণ তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে আমায় লক্ষ করো? তুমি কি আমার নাটক দেখেছো?
- আপনার কথাটা বুঝি নি।
- আচ্ছা ঠিক আছে বাদ দাও।তুমি নিতান্ত সহজ সরল সেটা বুঝতে পারছি। তোমাকে কে পাঠিয়েছে?
-কেউ না?
- অদ্ভুত তো। বাসা কোথায় তোমার? মানে থাকো কোথায়?
- কুসুমপুর।
- কুসুমপুর! এই নামটি কত দিন পরে শুনছি... হঠাৎ আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় সচকিত হয়ে উঠল। হঠাৎ....
ছেলেটি এবার বলল
- আপনার জন্য একটা জিনিস এনেছিলাম। দেবার ছিল।
- আমার জন্য! তুমি? স্ট্রেঞ্জ? আমার জন্য কেন? তুমি কি আমার ফ্যান?
- না।
- তাহলে? আমি দ্বিতীয় ধাক্কা খেলাম।
ছেলেটা একটা ছোট বক্স এগিয়ে দিলো। লাল সুতি কাপড়ে মোড়া। আমি বক্সটি নিয়ে দ্রুত হাতে খুলতেই চমকে গেলাম। বিমূঢ় হয়ে গেলাম কিছুটা সময়ের জন্য।
- সিদ্ধাচার্য !!!
- তুমি এইগুলো কোথায় পেলে?
- বাবা দিয়েছে?
- কোথায় তোমার বাবা?
- বাবা তো নেই। উনি মারা গেছেন।
- মারা গেছেন? কবে?
- গত শনিবারে।
- কি হয়েছিল উনার?
- ক্যান্সার।
- ওমা সে কি? কেন
উনি খুব আপনার কথা বলতেন। আপনার সব নাটক উনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন। আপনার খুব প্রশংসা করতেন।আবার আফসোস ও করতেন।
- আফসোস!! কেন আফসোস করতেন কেন?
- বলতেন আপনার জন্ম এদেশে না হয়ে কোন উন্নত দেশে হলে আপনাকে সারা বিশ্ব চিনতো।
- কি নাম তোমার বাবার?
-কোন বাবার নাম বলবো?
- মানে?
(৩)
বিশাল এরিয়া নিয়ে আশ্রমটা। নামটাও সুন্দর। "আলোছায়া"। গাছে গাছে পরিপূর্ণ ছায়া সুনিবিড় চারিপাশটা দারুণ মায়া জাগানিয়া । চারদিকে ছবির মত সব সাজানো। প্রবেশ করতেই অদ্ভুত এক প্রশান্তি জাগে মনে।আমি জানি এত প্রশান্তির আসল কারন অন্য। আসলে এই আশ্রমের সমস্ত কিছুতে সিদ্ধাচার্যর ছোঁয়া লেগে আছে যে।
আমি এসেছি অনেকক্ষন হল।রফিক কি কাজে যেন ব্যস্ত ছিল। দেখা দিয়ে ই সে কোথায় যেন গিয়েছিল সবে মাত্র এল। আমার অনেক কিছু জানার আছে।ও এলে আমি প্রথমে ই জানতে চাইলাম
- সিদ্ধাচার্যর পরিবার কোথায় থাকেন? ছেলে মেয়ে?
ছেলেটা এই কথায় যেন পরম বিষ্ময় অনুভব করলো।তারপর হো হো করে জোরে হেসে উঠলো। এত প্রাণবন্ত হাসি। ঠিক যেন সিদ্ধাচার্যর কপি।
- তুমি হাসছো আমি কি হাসির কিছু বলেছি?
- আপনি ভাবছেন আমি বুঝি তার নিজের ছেলে? গতকালও বলছিলেন হো হো হো
- তুমি ওনার ছেলে নও?
- আপনি মনে হয় ঘোরের মধ্যে আছেন ম্যাডাম। আপনার মাথা সম্ভবত কাজ করছে না।
- আমারও তাই মনে হচ্ছে। স্বপ্ন দেখছি না তো?
- বাবার তো বিয়েই হয় নি। তার পরিবার বা ছেলে মেয়ে থাকার প্রশ্নই নেই ? তবে নিজের ছেলের চেয়ে কম কিছু নই আমি। শুধু আমি নই আমার মত আরও অনেককে পাবেন এই আশ্রমে যারা তাকে জান প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।বাবার মত ভক্তি শ্রদ্ধা করে।
আমি আবারও অবাক হলাম। বললাম
- বুঝি নি আমি তোমার কথা।
- এই আশ্রমে সবাই সিদ্ধাচার্য লুইপাকে বাবা বলে সম্বোধন করে। আসলে তিনি আমাদের সবাইকে নতুন জীবন দিয়েছেন যে। শুনছিলাম..... আর অবাক হচ্ছিলাম। গর্বও হচ্ছিল খুব সিদ্ধাচার্যর জন্য । মানব কল্যানে নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে। আজকালকার যুগে এমনটি দেখা পাওয়া ভার।শুধু ভার নয় দূর্লভ ও বটে।
সিদ্ধাচার্য বরাবরই খেয়ালি স্বভাবের ছিল। ওর আরেকম খেয়ালী জীবনের সাথে পরিচিত হলাম আজ।
অনেক ক্ষণ ছিলাম আশ্রমে।
হঠাৎ রফিক বলল
- আচ্ছা একটা প্রশ্ন করবো।কিছু মনে করবেন না প্লিজ।
- হ্যাঁ করো। কত প্রশ্নই তো মানুষ করে।
- আপনিও তো অবিবাহিত না-কি।
- না না আমি সিদ্ধাচার্যর মত ধর্ম পুত্র যুধিষ্ঠির নই। আমাকে মহান বা ত্যাগী ভাবার কোন সুযোগ নেই। আমার সংসার হয়েছিল কিন্তু টেকে নি।
এবার সিদ্ধাচার্যর সাথে আমার সম্পর্কটা নিয়ে কিছু কথা বলতেই হয়।.............
ফেরার পথে ছেলেটি আমাকে একটা ডায়রী ধরিয়ে দিল। এটাও সিদ্ধাচার্যর উপহার। গাড়িতে উঠেই বিন্দু মাত্র দেরি না করে ডায়েরি খুললাম। ডাইরি খুলতেই প্রিয় বেলি ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ল। কোন সে কবেকার কথা এই ডায়েরিটা আমি দিয়েছিলাম ওকে কোন এক উপলক্ষে। আমার ভালোবাসা যেন আমার কাছে ফিরে এলো আবার।
আহ কতদিন পরে সিদ্ধাচার্যর স্পর্শ পেলাম। কত দিন. ….
কোথায় চলে গেল সিদ্ধাচার্য কিছু না বলে। কত কথা যে বাকী রয়ে গেছে । তা আর কি বলা হবে?এ জীবনে তার কি আর কোনদিন দেখা পাওয়া যাবে? জানি যাবে না।
মানুষের সব ইচ্ছে পূরণ হয় না।
(৪)
আমি আর সিদ্ধাচার্য কলেজের শুধুর দিনগুলোতে যবে থেকে দেখা তখন থেকেই একে অন্যকে পাগলের মত ভালোবাসতাম। সব কিছু ই ঠিক ছিল। ঠিক ই চলছিল।কিন্তু ধর্ম আমাদের সম্পর্কের মধ্যে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়ালো যখন আমরা বিয়ে করতে চাইলাম।
সিদ্ধাচার্য বলেছিল চল আমরা নিজেরা বিয়ে করি। আমি পরিবারকে ছাড়তে চাই নি বলে বিয়েটা হলো না।
তারপর একসময় দুম করে হারিয়ে গেল সিদ্ধাচার্য। গেল তো গেল আর খোঁজ পাওয়া গেল না কিছুতেই।
আমি কাপা হাতে ডায়েরি পাতা উল্টালাম।
প্রথমে একটা চিঠি।
প্রিয় নীলুফার সম্বোধনে লেখা। তবে প্রিয় লিখেও কেটে দেওয়া হয়েছে । বুকের ভিতরটা কেমন যেন ছ্যাত করে উঠলো। এভাবে কষ্ট না দিলেও পারতে প্রিয়তম!

প্রিয় নিলুফার
কেমন আছো? নিশ্চয় ভালো। আমি.... থাক নিজের কথা। তোমার কথা বল। তোমার কথা শুনতে খুব ইচ্ছে করছে। তাই বলে শুধু এখন নয় সব সময় তোমার কথা তোমার সান্নিধ্য পেতে ভীষণ ইচ্ছে করে। মন মানে না জানো কি- না জানি না।ধর্ম দেয়াল না হলে হয়তো আমাদের একটা সুন্দর সংসার হত। ইদানীং আমি অবসরে তোমায় খুব ভাবি।খুব । একলা থাকলে তোমার চুলের গন্ধ স্পষ্ট আমার নাকে আসে। তুমি কি এখনো সুগন্ধি মেশানো নারকোল তেল ব্যবহার করো?
আচ্ছা তুমি কি এখনও কাঁঠাল চাপা গাছটার নিচে দাড়াও? জানি দাড়াও না। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি তুমি এই এলাকায় আসো না। হয়তো ইচ্ছে করে ই আসো না। আমাকে ভুলে থাকা হয়তো তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সে যাক যা বলছিলাম কাঁঠাল চাপা গাছের নিচে না দাঁড়ালেও ক্ষতি নেই। মানুষের সব অভ্যাস সব সময় এক রকম থাকে না।তবে আজ একটু দাড়িও প্লিজ। দেখো তো আমাদের নামগুলো এখনও খোদাই করা আছে কি- না গাছটার গায়ে।দেখো কিন্তু।

মৃত মানুষের ইচ্ছা পূরণ করতে হয় জানো তো। আমার চোখ ভিজে উঠলো। সিদ্ধাচার্য তুমি আমায় শুধু দুঃখই দেবে। এমন করে না লিখলেও পারতে। কষ্টে যে আমার বুকটা ভেঙে যাচ্ছে।

আমি ডায়েরি বন্ধ করলাম।ড্রাইভারকে গাড়ি ঘোরাতে বললাম বেশ কিছু সময় পরে অনতি দুরে একটা পুরানো স্কুল বিল্ডিং দেখা গেল। হ্যাঁ ওই তো সেই গাছটা দেখা যাচ্ছে।দিনে দিনে গাছটার পরিসর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমি ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললাম। এই সেই কাঁঠাল চাপা গাছ
যেখানে প্রথম দেখা তোমাতে আমাতে.. …..
অনেক ভালো কবিতা আবৃত্তি করতো সিদ্ধাচার্য। ......
কতক্ষণ হয়ে গেছে জানি না।ড্রাইভার জয়নালের ডাকে ঘোর কাটলো যেন।
- ম্যাডাম বাসায় ফিরবেন না। এদিকের রাস্তা তত সুবিধার না। রাত হয়ে যাবে।
-হ্যাঁ চল চল। আমি বললাম।
গাড়ির সিটে ডায়েরিটা পড়ে আছে। আর পড়তে ইচ্ছে করছে না। ডায়েরির পাতায় পাতায় আরও কি কি বায়না করেছে সিদ্ধাচার্য কে জানে।থাকুক লুকানো থাকুক পাতার ভাজে ভাজে।সত্যি এত চাপ আমি নিতে পারছি না আর।

কত যে কথা ছিল
কত যে ছিল গান
কত যে বেদনার না বলা অভিমান।...........

গাড়ি ছুটে চলছে হাইওয়ে ধরে। মিউজিক প্লেয়ারে লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠের গানটি মনে হয় আমার কথা ভেবেই লেখা।বুক জ্বলে যাচ্ছে। এত সুন্দর করে মনের কথা কিভাবে গানের মাধ্যমে ফোটায় মানুষ?

আচ্ছা মানুষের জীবনটা এমন কেন? কত অজানা কত রহস্য কত দুঃখ গাঁথা। আমার দুচোখে অনন্ত জলের ধারা।শুধু কেউ মুছিয়ে দেবার নেই আজ।হারিয়ে গেছে মনের মানুষ।এক বুক হাহাকার নিয়ে আমি আকাশের দিকে তাকালাম।মনে মনে প্রার্থনা করলাম যেখানে ই থাকো ভালো থেকো সিদ্ধাচার্য। শুধু জেনো আমি তোমারই আছি। শুধু তোমারই।
সমাপ্ত
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চোখের জল

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬


সুদীর্ঘ ১৭ বছরের জমে থাকা
বিনম্র চোখের এক কোণে জল!
প্রকাশে এলো এই জনসমুদ্রে-
জনসমুদ্র তুলছে আনন্দাশ্রুর
ঢেউ- দেখছে নতুন ফুলের গন্ধ;
এ নৈঃশব্দের আর্তনাদ বুঝতে
হবে শুধু তোমাকে- আমাকে
গড়ে তুলতে হবে মনুষ্যের প্রণয়ে
সূর্য ভোর- যেখানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×