somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার জারজ স্বপ্নগুলোর মর্সিয়া ক্রন্দন

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হিমেল আমার নাম।
বয়স একুশ পেরিয়ে বাইশের কোটায় হাবুডুবু খাচ্ছে।
এই নাতিদীর্ঘ পরিসরের একমাত্র মোরাল;
" জারজ সন্তান যেমন ভালভাবে বেঁচে থাকতে পারেনা ঠিক তেমনি আমার কিছু জারজ স্বপ্ন আছে যা ঠিকে থাকতে পারছেনা। "
আই এম শিওর আপনি ব্যাপারটা বুঝেননায়। দাড়ান...
... এই কিছুদিন আগে এমাজ মাহমুদ নামের একজনের সাথে পরিচয়। সে আমাকে ধরে নিয়ে যায় আবরার কে রিযাল নামক এক স্বপ্নপাগল পুরুষের সামনে। তারা দুজনে মিলে স্বপ্ন দেখায় কিছু একটা করার। সত্যি আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি। কিন্তু আজ সে জারজ স্বপ্নের গলা কাটা গেলো। ক্যমনে বুঝেন্ নায় তো? এদিকে আশুন বুঝিয়ে দিচ্ছি,
আমি লেখালেখি করি। এই একটাই আমার সুস্বপ্ন। যার কারণে আমি হাজারো লাওয়ারিশ স্বপ্নের বলিদান দিয়েছি। এই লেখালেখিকে কেন্দ্র করে তারা আমাকে স্ক্রিপ্ট রাইটার হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। আমি দেখা শুরু করি। পরীক্ষা দরোজায় নক করছিলো। সবকিছুকে পাশ ঠেলে একটা শর্ট ফিল্মের জন্যে চিত্র নাট্য তৈয়ার করি। নাম দিই - স্বপ্ন ভঙ্গের মিছিলে - । আমারই ছোটগল্প অসমাপ্ত কবিতা অনুসরণে। গত পরশু আবরার কে রিযাল ঢাকা থেকে এসেছেন শুট করতে। শুট হলো একদিন। এর পরদিন আনফর্চ্যুনেটলী সব অফ। অফ হওয়াতে আমার দুঃখ নেই। কিন্ত সবচেয়ে বড় কথা আমি একটা মধ্যবিত্ত ছেলে । আমার আজ রাতে ভাবতে হয় কালদিনটা ভার্সিটি যাওয়ার টাকাটা কোত্থেকে জোগাড় করবো। একটা কোচিং সেন্টারে সপ্তাহে দু'দিন ক্লাস নিই। শুক্র আর শনি। এই দু'দিনই আমার ভার্সিটি অফ থাকে। একমাত্র শুটিং এর কথা মাথায় রেখে আমি এই সপ্তাহের ক্লাস বাদ দিয়েছিলাম। অথচ শনিবার ঘুম থেকে উঠে শুনি সব শেষ? আমি স্বপ্ন পূরণের নেশায় সব ভুলে গেছিলাম এই সপ্তাহটা আমার ক্যামনে কাটবে। আমি কাউকে দোষী করছিনা। আসলে আমার কপালে কোন জারজ স্বপ্নের ভাত জুটেনা। কারণ অনেক আগে থেকে এ সত্য জেনে আসছি। তারপরো স্বপ্নের নেশাটা ছ্যাচড়া নেশা বলে পিছু ছাড়েনা। অনেক আগের কথা। আমার মেধা ভালো ছিলো বলে মা আমাকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি দু'দুবার তা অনায়াসে হাতছাড়া করেছি। একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিট হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ভাইরা। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রিতে চান্স পাওয়ার পরো সে চান্সকে অবজ্ঞা করে এসেছি। কারণ এসবই জারজ স্বপ্ন। আমার স্বপ্ন লেখালেখি। আমি বলছিনা এস স্বপ্ন সফল হলে বা ভার্সিটিতে ভর্তি হলে আমার লেখালেখা করা হতোনা। কেউ কেউ ভাবতেন আরো ভালো হতো। কিন্তু আমি উল্টো চলি। সবাই যা ভাবে তা আমি ভাবতে পারিনা। আমি শুন্য থেকে উঠতে চায়। আমি মেডিকেলে পড়লে একটা থিম মাথায় ঢুকতো। মা-বাবা নিজের জমি বেঁচে পড়িয়েছে তো সব উশুল করতে হবে। বা ভার্সিটি পড়লে মাস্টার্স শেষ করে কোন একটা ভালো জবের খুঁজে জীবনের অর্ধেক শেষ হয়ে যেতো। তখন আমার স্বপ্নটাকে আমি সময় দিতে পারতামনা। অনাদরে মরে যেতো তা। তাই বলছি আমার কপালে জারজস্বপ্নের ভাত জুটেনা।
আপনি হয়তো বুঝতে পারছেননা আমি ওইসব স্বপ্নকে জারজ বলছি কেনো?
আচ্ছা নরনারীর অনিচ্ছায় যে সব ছেলে পৃথিবীর বুকে ধপ করে আসে আর ডাস্টবিনে যাদের বাস গেড়ে দেওয়া হয় তারাইতো জারজ সন্তান? হুম ওসব স্বপ্ন আমার অনিচ্ছায় আমার মাঝে জন্ম নিয়েছিলো কারো কারো জোরজবরদস্তিতে। তাই আমি সেসব স্বপ্নের নাম দিয়েছি জারজ স্প্ন।


স্মরণে :
সাবরিন আজাদ : যার অনিচ্ছাকৃত গঠনাকে কেন্দ্র করে আমার মাথায় আজ এসব ভাবনা নতুন করে জন্ম নিয়েছে।
এমাজ মাহমুদ : যার নির্দেশনায় আমার মস্তিস্কের নিউরণের জোনি ছিঁড়ে আরেকটা জারজ স্বপ্নের জন্ম নিয়েছিলো।
আবরার কে রিযাল : যারে না দেখলে বুঝতামই না স্বপ্নপাগল মানুষ কেমন হয়?
জান্নাত : আমার বেঁচে থাকা আর সুস্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র স্পন্দন । আর হাজারো যন্ত্রণাকে অন্দরমহলের গুপ্ত সিন্দুকে বন্দী করে ক্যমনে মানুষের সামনে ভালো থাকার অভিনয় করতে তা যে আমাকে শিখিয়েছে।

ছবি : জাহেদুর রহমান রবিন

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×