somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

গায়েন রইসউদ্দিন
আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

দানবের পেটে দু'দশক (মূল গ্রন্থ- IN THE BELLY OF THE BEAST) পর্ব-৭

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে আরএসএস, জনসঙ্ঘ, তারপর বিজেপি
১৯৫১ সালে গান্ধী হত্যায় আরএসএস-এর যোগ নিয়ে তাদের প্রতি জনগণের মনে যে ঘৃণার সঞ্চার হয় তার মোকাবিলায় আরএসএস তার রাজনৈতিক শাখা ভারতীয় জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করে। পাশাপাশি অবশ্য ১৯৫২ সালে এদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নিজেদের বক্তব্য প্রচারের ব্যাপারটাও ছিল। এই রাজনৈতিক শাখার বর্তমান নাম বিজেপি। বাংলার হিন্দু মহাসভার নেতা, অতি জাতীয়তাবাদী ও বিখ্যাত বক্তা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে জনসঙ্ঘের প্রধান করা হয়। সঙ্ঘের অভিযোগ, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে কংগ্রেস বা শেখ আবদুল্লার পার্টি কাশ্মীরের জেলে খুন করে। এরপর সঙ্ঘের কর্মী দীনদয়াল উপাধ্যায়কে জনসঙ্ঘের প্রেসিডেন্ট করা হয়। শান্ত-প্রকৃতির মৃদুভাষী শ্রী উপাধ্যায়ও খুন হন। অভিযোগ, এঁকেও খুন করে রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষের লোকেরা। এরপর জনসঙ্ঘের প্রেসিডেন্ট হন অটলবিহারী বাজপেয়ী (মধ্যে কিছুদিন দেবপ্রসাদ ঘোষ সভাপতি ছিলেন)। তিনি দু’দশক ধরে এই দায়িত্ব সামলেছেন। সে-সময়ে জওহরলাল নেহরু ও পরে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের স্বর্ণযুগ চলছিল। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পরই অন্যান্য বিরোধী জাতীয় দলের সঙ্গে সুবিধাবাদী জোট গড়ে জনসঙ্ঘ নতুন জীবন পায়।
ইন্দিরা গান্ধীর আদেশে কারাগারে বন্দি হওয়ার ফলে জনমানসে হারিয়ে যাওয়া বাজপেয়ী, আদবানি-রা জাতীয় তারকা হয়ে উঠলেন। ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী তাঁর জনপ্রিয়তা তেমন জোরদার আছে, এই ভুল ধারণার ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করলেন। এই নির্বাচনে শ্রীমতি গান্ধী ও তাঁর কংগ্রেস দল প্রায় মুছে গেল। তার পেছনে ছিল সমাজবাদী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে ব্যাপক জন আন্দোলন। একটি মিলিজুলি সরকার গঠিত হল। বাজপেয়ী ও আদবানি সেই সরকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব পেলেন। বাজপেয়ী পেলেন বিদেশ মন্ত্রক, আদবানি পেলেন তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তর। (বিজেপি-র এর একজন, ব্রিজলাল ভার্মা পান গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মন্ত্রকের ভার। সঙ্ঘের অনেক কর্মীও এতে অবাক হয়েছিলেন। এর কারন হল, সঙ্ঘের ান্র এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা নানা দেশমুখ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।) এর আগে কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে এই দুই পেশাদার রাজনীতিক ও তাদের দল বিজেপি-র এমন সুদিন আসবে। (ক্রমশঃ)

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×