শীতকালে অনেক দেশেই তুষারপাত ঘটতে দেখা যায়। এই তুষার কণাগুলোর অাবার রয়েছে অদ্ভূত সুন্দর অাকৃতি। দেখে মনে হয় যেন কোন দক্ষ শিল্পী তার নিখুঁত হাতে তুষার কণাগুলোকে বিভিন্ন কারুকাজে সাজিয়েছে। সর্বপ্রথম Wilson Bentley নামক এক ব্যক্তি তুষারকণার ছবি তোলেন। তিনি মাইক্রোস্কোপ যুক্ত একটি ক্যামেরার সাহায্যে তুষারকণার ছবি তুলতে সক্ষম হন। তার সংগ্রহে তুষারকণার প্রায় ৫ হাজার ছবি ছিল। এই ছবিগুলো থেকে মানুষের মাঝে তুষারকণার অাকৃতি নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানীদের মতে তুষারকণাগুলো ৩৫ টি ভিন্ন অাকৃতির হতে পারে। ১৯৫১ সালে International Association of Cyrospheric Sciences (IACS) তুষার কণার অাকৃতিকে ১০টি মৌলিক শ্রেণীতে ভাগ করে।
Professor Kenneth Libbrecht তুষারকণার অাকৃতি নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেন। তিনি পরীক্ষাগারে কৃত্রিমভাবে তুষারকণা তৈরী করেন। তার গবেষণা থেকে জানা যায় তুষারকণার ভিন্ন ভিন্ন অাকৃতি মূলত তাপমাত্রা ও বাতাসের অার্দ্রতার উপর নির্ভর করে। -২২°C এর চেয়ে কম তাপমাত্রায় তুষার কণাগুলোর অাকৃতি বেশ সরল হয়। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত বেশি তাপমাত্রায় তুষারকণা গুলো বিভিন্ন জটিল অাকৃতি লাভ করে। অাবার বাতাসে অার্দ্রতা যখন বেশি থাকে তখন তুষারকণা গুলো জটিল অাকৃতি লাভ করে। পক্ষান্তরে কম অার্দ্রতায় তুষারকণাগুলো সাধারণত সরল অাকৃতির হয়ে থাকে।
তুষারকণা গুলোর সর্বোচ্চ অাকার ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। ১৮৮৭ সালের জানুয়ারী মাসে Montana'র Fort Keogh এর এক ব্যক্তি Matt Coleman এক বিশাল তুষারকণা দেখার দাবী করেন যেটি ছিল চওড়ায় প্রায় ১২ ইঞ্চি এবং প্রায় ৮ ইঞ্চি পুরুত্ব বিশিষ্ট।
তথ্যসূত্র ও ছবি কৃতজ্ঞতা: Earthsky, Wikipedia, Snowcrystal