গতকাল রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কারন আজকে একটু মাতব্বরি করার চিন্তা-ভাবনা !! তাও আড়াই টা বেজে গেল। ভাবলাম মোবাইল সাইলেন্ট করব কিন্তু করলাম না যদি কেউ ফোন দিয়া না পায় তয় কইবনে ঢাবি'তে পরস কোন কামেই লাগলিনা, ছোট ভাই-বোনের পরীক্ষা তাও হেল্প করতে পারলি নাই। তাই আরকি। ভর্তি পরীক্ষা ১০ টায়। ভাল-মন্দ ঘুমাইয়া ৯ টায় উইঠা যামুনে বীর সাইজা। ওমা সাড়ে সাতটায় এক বন্ধু ফোন দিয়া কয় ইন্টারন্যাশনাল বিজিনেস বিভাগটা কই। কইয়া দিলাম। আবার ৮ টায় ফোন। এবার সমূহ বিপদ। ফোন দিল স্টুডেন্ট এর মা (ওনার মেয়ে এক্সাম দিবে) বলে '' রায়হান তুমি কই। আমার মোবাইল, পার্স সব ছিনতাই কারি নিয়া গেছে রিক্সা থেকে। এখন রিক্সা থেকে নামছি কিন্তু রিক্স ভাড়া ?? !!''।
সিএনজি তে ছিল ছিনতাই কারি। আমি মনে মনে বললাম আজিব চিজ হে এ ছিনতাইকারী লোক। সিএনজি দিয়া আইসা রিক্সার পার্স চুরি করে !!! ??
আমাকে দ্রুত যাওয়ার জন্য বলল। আমি চোখে এক গাদা ঘুম নিয়াই ঝাপায়া পরলাম।
রিক্সা নিলাম ওমা একটু পরেই দেখি রিক্সা চলে না। কারন ক্যাম্পাসে ঢুকা নিষেধ। ওমা আমার ক্যাম্পাস আমি ঢুকতে পারমু না ?? মজা লন ??
তা ও পারলাম না। বিশ্ববিদ্যালয় মেলা সতর্ক হইয়া গেছে মনে হয়। কত বড় ভাইরা মরল আর আজকে ছচেতন ??
যাই হোক মেলা কষ্ট কইরা অন দা স্পটে গেলাম।
রিক্সাওলারে ভাড়া দিলাম...ইত্যাদি ইত্যাদি
বীরদর্পে ঘুরে বেড়ালাম ২ ঘন্টা। আরো বন্ধু-বান্ধব মিলল।
ছোড পোলাপাইন দেখি আর কি ভাব খানাই না লই ।।
যদি আসার সময় এক পরিক্ষার্থি জিগায়া বইছে ভাই কি পরিক্ষার্থি ?? মনে মনে কইলাম আরে বেটা ঢাবি ৪ বছর আগেই জয় করছি (কিন্তু কোন লাভ হয় নাই )
যাইহোক , ঘরের খাইয়া বনের মোষ তাড়াইয়া সব এনার্জি শেষ কইরা জুমার নামাজ টাও পরতে পারি নাই। কি লাভ হইল পরহিত কইরা ??