শ্রদ্ধা জানাই ইতিহাসের পাতায় থাকা রাজনৈতিক দল সমূহকে। শ্রদ্ধা জানাই ইতিহাসের পাতায় থাকা লাখো প্রাণের নেতাদের। বর্তমান রাজনৈতিক দল ও নেতাদের শ্রদ্ধা জানাতে ব্যর্থ হলাম। তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও কর্মকাণ্ড এতটা নিম্নমানের যা যেকোনো মানুষের হৃদয়ে আঘাত হানে। এ রাজনীতি থেকে বের হতে না পারলে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশের দুঃস্বপ্ন বাদ দিতে হবে। রাজনীতি অর্থ দুটি দল একত্রে হাডুডু খেলা নয়। রাজনীতি অর্থ কাঁদা ছুড়াছুড়ি নয়। রাজনীতি অর্থ প্রতি মানুষের হৃদয় একত্রে বেঁধে নিজের হৃদয় বিকিয়ে দেওয়া।
গত কয়েক মাস যাবৎ ঢাবি অন্তর্ভুক্ত ৭ কলেজ নিয়ে যেভাবে তোলপাড় চলছে। তার সমাধান আজও মেলে নাই। তাহলে একবার ভাবুন, সরকার কতটা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উচিত ছিল, ছাত্রদের একত্রে নিয়ে বসে সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া। তা নয়, কতটা পিছিয়ে দেওয়া যায় তারা সেই পথে হাঁটছেন। লজ্জা হয়, এদের ব্যর্থতার নগ্ন গল্পে মানুষ রাজনীতির ব্যাখা বদলে দিয়েছে। নতুন একটি মানুষ সুস্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা করলেও তা ভস্ম হয়ে যায়। কতটা নষ্টের দিকে এগিয়েছেন তাহাদের গর্ভবতী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কর্মকাণ্ড। অনুরূপভাবে তাদের আরো উৎকৃষ্ট মানসম্পন্ন কাজগুলোর লোমকূপ শিউরে উঠা গল্প অনেকেই জানেন এবং বুঝেন।
তারা কিভাবে এ রাজনীতি নিয়ে গর্ববোধ করে তা আমার বোধগম্য হয় না? এই রাজনীতি থেকেও তারা যদি বৃটিশ রাজনীতিকেও কার্বন কপি করতো তাহলেও শান্তি পেতাম ও মুগ্ধ হতাম। তারা মারাত্মক ভঙ্গির ব্রিটিশ রাজনীতিকে হার মানিয়েছে।
বর্তমান সময়ে হিট করা থ্রিলার মুভি তৈরি হয় তা বাংলাদেশ এর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে হওয়া উচিত বলে মনে করি। থুক্কু! রাজনৈতিক বেশ্যা ব্যক্তি বলা উচিত। একজনের ম্রা খেয়ে তারা সুখের খোঁজে আরেকজনের পা চুষতে আরম্ভ করে। How feelings, bro!
গতকালের ঘটনার আমি প্রত্যক্ষদর্শী না তবে যা দেখেছি, তা থেকে নিজে বুঝি কত নিম্ন মানসিকতা নিয়ে তারা রাজনীতির মাঠে নেমেছে। তাদের কাছে রাজনীতির ব্যাখা কি হবে জানি না? তারা দাবি করে, তারা প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন। তার প্রতিবিম্ব কি এসব হতে পারে। তাদের দলীয় নেতাও নাকি একজন মেয়ে। যারা সাধারণ মেয়েদের লাঞ্ছিত করতে দ্বিধাবোধ করে না, তারা নাকি দেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার নিকট আকুল আবেদন আপনার সম্মানার্থে(আপনার পিতার সম্মান বিক্রি হয়েছে) এদের বিচার করুন অথবা তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করুন। যদি বিচারের আওতায় না আনেন তবে আপনার শেষপর্ব সম্মানের হবে বলে মনে হয় না। তারা আপনাকেও তাদের সুবিধার্থে ছিটকে ফেলবে।
যখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে ভিসি কার্যালয়ে যায় তখন তাদের কথা আমলে না নিয়ে বরং তাদেরকে খ্যাপাটে ছাত্রলীগ দ্বারা আহত করে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিসিকে উদ্ধার করা ছাত্রলীগের দায়িত্ব। আসলেই তাদের এটা নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে তাদের দায়িত্বটা কতটুকু কার্যকর করেছে। একটা বিষয় মাথায় ইনপুট হচ্ছে না, আইনশৃঙ্খলার লোকেরা ভিসিকে উদ্ধার করতে না যেয়ে ছাত্রলীগ কেন গেল!? আইনশৃঙ্খলার ব্যক্তিগণ কি পান চিবাইতে রাখছেন নাকি কোন মেয়েকে বাহুশক্তি প্রয়োগ করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্লিপিং ড্রেস পরিধান করানোর কাজের বুয়া হিসেবে রাখছেন। উত্তর নেই।
However, তাদের ঐতিহাসিক ও চাটুকারী কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বললে হাজার যুগ অতিবাহিত হবে।
একটি ছোট্ট কথা, আপনাদের গত ১০ বছরে কি পেয়েছি এই হিসাব করা থেকে ১০ বছরে কি হারিয়েছি সেই হিসাব কষা জরুরি বলে মনে করি। টুকরো, সল্প ও নিম্নমানের কিছু কাজে নিজেদের পরিচয় নিয়ে গর্বিত হওয়া বোকামি।
- মুহসিন মুন্সী
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩