somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প : প্রতীক্ষা ও ছুটি

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকাল রাবেয়া বানুর দিনকালগুলো মিলেমিশে একটা আরেকটার প্রতিরূপ যেন। পিঠাপিঠি লেগে থাকা রাতদিন একটা আরেকটার থেকে আলাদা করা যায় না। টুক টুক করে অন্তিমে যেতে থাকা ঢাল দিয়ে গড়িয়ে পড়া পাথরের টুকরার মতো, যাত্রাপথটা ওর সত্য না, শেষবেলাকার পতনটাই আসল। খালি গতি অনেক স্লথ - এই যা।

তবে সবদিনই তো এমন ছিল না। এই তো মাত্র মাসকয়েক আগেই তো রাবেয়া বানুর নিস্তরঙ্গ জীবনে ঢেউ উঠেছিল খুশির। কলিজার টুকরা আনোয়ার দেশে আসছে। সাথে আছে তার মেম বউ- রাশিয়ান মাশা আর নাতিন মায়েশা।

সেই - কত বছর আগে ছেলেটা বাইরে চলে গেল, পড়তে - ই , তারপরে সেইখানের রঙিন নেশায় আটকা পড়লো।

''দেশে ফিরে কি হবে আম্মা? দেশে কি আছে? ''

রাবেয়া জবাব দিতে পারেননি, দেশে আনোয়ারের তেমন কিছু আসলেই তো নেই ,বাপের রেখে যাওয়া সয় সম্পত্তি নেই, মামা চাচার জোর নেই, আনোয়ারের মত অল্প বিদ্যার লোকের জন্য চাকরী নেই। দেশে ফিরলে কামলা খাটতে হবে হয়ত- দেশে ওতে কোন সম্মানও নেই।দেশে খালি নেই আর নেই, ....শুদ্ধুমাত্র বুড়ো মা-টা আছে।

এটা অবশ্যই ফিরে আসার জন্য তেমন কোন জোরালো কারণ হতেই পারে না, সেটা রাবেয়াও বোঝেন, অবুঝ না তিনি।

তা মায়ের মন নিয়ে তিনি- তাঁর ছেলে যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক , দুধে ভাতে থাকুক -এইটাই শুধু চান।

ছেলে রাশিয়ান মেয়ে বিয়ে করেছে, খবরটা খুব কষ্ট দিয়েছিল। বিদেশিনী , কে জানে কেমন হবে?আর কোন মা বাপই বা মেনে নিত!

তার পরেও ভেবেছিলেন, বিয়েটা কি ছেলেটা কাগজ পাবার জন্যই করলো কিনা কে জানে? ভেঙে তো কিছু বলে না।

কথাটা জিজ্ঞেস করার অবসরটুকু মিলেনি। অনেক কষ্টে যখন হঠাৎ হঠাৎ করে ছেলে ফোন করতো , জরুরী কিছুই না বলা হতেই পুরোটা সময় শেষ। এতো দূরে কথা বলাও খরচান্তিও তো কম না।

তো বছর ঘুরে ঘুরে যখন মেয়ে হবার খবর এলো , খুশিতে মেম বউকে বিয়ে করার অপরাধও রাবেয়া অনায়াসে মাফ করে দিলেন। তারপরে তো অনেক দিন বাদে আনোয়ার খবর পাঠালো - সুখবর ।

ওরা দেশে আসবে- থাকতে না , বেড়াতে।তিনি দেখবেন দাদুমণিকে, মিলবেন বৌমার সাথে।

সে- ক-ত- বছর হলো? প্রায় লম্বা পনেরোটা বছর পরে তার নয়নমণি ছেলেকে প্রাণভরে আদর করবেন ,মাথায় হাত বুলিয়ে স্পর্শ নেবেন।

আনন্দে দিশেহারা রাবেয়া বানুর অযত্নে লালিত কুমড়া গাছের ডগাটা, পুঁইয়ের লতা,বেড়ে উঠবার মাচাটা -সব্বাই টের পায় তার মনের উল্লাসের খবরটা। তাদের মাঝে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে ছেলের প্রতি ব্যাকুলতা। ছেলে আসবে, ওদের জন্য নিজের হাতের বড়া, ঝোল তরকারী, - আহা
ক-তদিন তাজা তাজা তরকারীতে মায়ের হাতের স্বাদ পায়নি বাছা আমার। মনে আছে, দেশে থাকতো অন্য বাড়ির দাওয়াতের রান্নাও ভালো করে গলা দিয়ে নাবতো না খোকার, বাড়ি ফিরে শান্তিমতো আরেকদফা ঘরের খাবার দিয়ে তবেই উদরপূর্তি করতো। সেই ছেলে এত দিন বিদেশে কি ছাই পাশ খেয়ে টিকে আছে আল্লাহ্‌ জানে !

সব উল্লাস ফিকে হয়ে যায় দিনকয়েক বাদে পাওয়া খবরটাতে। কি যেন একটা ঝামেলা হয়েছে, ছুটি মিলবে না এখন আনোয়ারের।

পলকে সব অন্ধকারে ঢেকে যায়। এই জীবনে কবে আর দেখা হবে, হবে তো? কে জানে হয়তো শেষ খবরে ও ...।

সাতসমুদ্দুরের ওপাশ থেকে আনোয়ার ধরা গলাটা চেপে নেয় চট করে, যেমন এপাশে রাবেয়াও ।

তারপরে ঘরের প্রতি কণায় উপচে পড়া বৈরাগ্য ও টের পেয়ে যায় কোন একজনের অভাবের কথা। আবার সেই দিন রাত অর্থ হীন যাপন।

অনেক যন্ত্রণা করে বাবুটার একটা ফটো আনিয়েছেন রাবেয়া। কি যে সুন্দর ফুটফুটে হয়েছে বাচ্চাটা! সুন্দর ফ্রেমে বাঁধানো একেবারে চোখের সামনে বড় আলমারীটার উপরে। ঢুকলেই ঘরের যেখান থেকে হোক চোখ যাবে তাতে , তার সদ্যফোটা ফুলের মত মুখের আকর্ষণ এড়িয়ে অন্য দিকে নজর কাটানোর উপায় নেই। শুধু নামাজের সময়টুকুন রাবেয়া বানু কাপড়ে ঢেকে দেন ওটাকে।

সামনা সামনি না দেখায় ছবি দেখে দেখে তাঁর আশ আর মিটতে চায় না। কোনদিন কি ঐ তুলতুলে গালটাতে একটা চুমো দিতে পারবেন?
ছড়া কেটে ঘুম পাড়াবেন অনেক দিনের পুরানো অভ্যাসটাকে আবার ঝালিয়ে নিয়ে নিয়ে ?

আর ছেলেটা নজর কাটানোর জন্য কাজলের একটা টিপ দিয়ে রাখতে পারে না? বৌটা না হয় এসব কিছু জানে টানে না, ছেলেটাও কি এদিকে একটু খেয়াল রাখতে পারে না নাকি?

বাবু মনে হয় মায়ের মতন হয়েছে। সে-ই রকম কাটা কাটা চোখমুখ, দুধে আলতা বরণ, আগেকার দিনে একবার মাত্র আনোয়ারের আব্বার সাথে হলে গিয়ে লুকিয়ে দেখা রোমান হলিডের নায়িকার মতো হবে বড় হলে। হবে না? মেমসাহেবের মেয়ে তো! তাছাড়া , তাঁর ছেলেটাও একেবারে কালো কেলো তো না। উজ্জ্বল শ্যাম , এত দিনে বাইরে থেকে থেকে নিশ্চয়ই আরও চেকনাই হয়েছে।

মাঝে সাঝে কদাচিত ছেলের ফোনটা এলে বলেন,
''দাদুকে একটু দে বাবা।কথা টথা কি বলে একটু শুনি। ''

আনোয়ার হেসে ওঠে,'' বয়স এখনও ছমাস-ই হয়নি , ও কি বলবে?''

''আহ্‌হা , তাও দে , কানের কাছে ধর দেখি?শব্দ টব্দ তো করে নিশ্চয়ই ? তুই তো ওর বয়সে উম বুঊউ ওম হুপ করে কি সব আবোলতাবোল বকতিস। ফোকলা দাতঁহীন মুখে হাসি ফোটে রাবেয়া বানুর। আনোয়ারও চাপতে পারে না।

পিচ্চির কানে ঠেকালে কিন্তু সে টু টি কাড়ে না। এমনিতে চিৎকারে মুখরিত করে রাখলে কি হবে? এখন ঠিক জানে তার ঐ উদ্ভট পাড়া অতিষ্ঠ করে তোলা বিকট শব্দগুলোরও কারোর কাছে কত দাম।শুধু দুষ্টুটা থাব্‌ড়ে থাব্‌ড়ে হাত দিয়ে ফোনটা ঠেলে ফেলে দিতে চায়।

ছোট হলে কি হবে? হাতের জোর মারাত্নক ওর। ভয়ার্ত ছেলে তাড়াতাড়ি ওকে সরিয়ে নেয়।হাত থেকে পড়ে ভেঙে যায় যদি!

রাবেয়া বানুর সান্ত্বনা এই কচি নরম হাতের আছড়ে পড়া ধুপ ধুপ শব্দ।

এভাবেই রাতের পরে দিন , আর দিনের পরে রাত আসার প্রায় অন্তহীন আবর্তনের মাঝে তাঁর মনে হয় আবার কপাল ফেরে। নিস্তরঙ্গ ভাটার টানে জোয়ারের আভাস জাগে।

আনোয়ার একরাতে ফোন করে বলে, ''আম্মা তোমার জন্য আসার টিকেট টাকাপয়সা জোগাড় করছি।আমরা না আসতে পারলেও তুমি এসে বেড়িয়ে যাও ।''

সেই থেকে কাজের ছুটকো মর্জিনার সাথে রাবেয়া বানুর নতুন করে স্বপ্নের বয়ান শুরু। শুনতে শুনতে ওর কান পচে গেছে, ''ঐ দেশে অনেক আরাম, বুঝলিরে?''

''কোন কাজ কাম হাতে ধরে ধরে করতে হয় না, খালি মেশিনে দাও, হয়ে যাবে।''

নবীনা মর্জিনা অশেষ ধৈর্য নিয়ে প্রবীণার কথায় তাল দেয়।শেষ বয়সে এসে বুড়ি একটু সুখ তো পেল, ভেবে ওর মনে ঈর্ষার বৃশ্চিক কামড় দেয়।

কত মজা বিদেশে ! বড় লোক ভাইজানের বাড়িতে খালি আরাম, ওদের কত টাকা, কত বিলাস ব্যসন! খালি একবার পড়তে পারলেই তো কিসমত উল্টো দিকে ঘুরে। ওদের গ্রামের ফেলটুস ফাইভ পাস কাশেম মিয়াই তো দুবাই থেকে ফিরে এত্ত বড় দালান তুলেছিল! দেখে সবার চোখ ঠিকরে যেত !

আনোয়ার মাকে বলেনি, ইল্লিগ্যাল এলিয়েন হয়ে আরো জনাদশেক লোকের সাথে গুদামের মত খুপড়িতে জীবন্ত মালসামান হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বেঁচে থাকার যন্ত্রণার কথা। মাকে কি বলা যায়, তীব্র শীতে লোকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে দরজার নিচে দিয়ে লিফলেট ফেলে কাজ খোঁজার কষ্ট? চোরের মত কাঁটা হয়ে থাকা, কেউ না আবার পুলিশে ধরিয়ে দেয়!

নামে মাত্র মজুরীতে পেটটা চালানো কোনরকম, বিয়েটা ওকে কাগজ আর কাজটাই শুধু দিয়েছে, ভাত রুটি রুজি এই মন্দার বাজারে একই রকম কঠিন ।

ভিসার লাইনে দাঁড়াতে আশা আশঙ্কায় রাবেয়া বানুর বুক দুরু দুরু করে। পুরো জীবনে তার মফস্বলে পচে হেজে কেটে গেল, এমনকি ঢাকাটাও তাঁর আজকের আগ পর্যন্ত দেখা হয়নি ।সেই তিনি যাবেন উই প্লেনে চেপে কত দূর? তকদিরের খেল সবই তকদিরের খেল!

আল্লাহ্‌ মানুষের ভাগ্যে কখন যে কি রাখে?!

অফিসারের সাথে কথা বলতে কেমন জানি ভয় ধরে, বুকে হাঁফ ধরেছে বেতো পায়ে কষ্টে মষ্টে সিড়ি ভাঙতে , মরার লিফটটা বরাতে আজই নষ্ট হলো ! মর্জিনাটাকে সাথে নিয়ে এসেছেন, একটু রক্ষা। ব্যাগবোচকাগুলো একটু ধরেছে।

''আপনার তো দেশে কেউই নেই , যদি আর ফিরে এখানে না আসেন?''

ভুরুটা অসন্তোষে কোঁচকানো অফিসারের, তার সোনার প্রাচুর্যভরা দেশে কেউ গেলে মাটি কামড়ে থাকে, বুড়োহাবড়া হোক আর যাই হোক, গোনায় ঠেকা দিনগুলোও কেএফসির মুরগীর ঠ্যাং খেয়ে পার করতে হবে!

এখানে? আর না ফিরে আসা? রাবেয়া বানুর তাঁর কবেকার এইট পাশ ভাঙা বিদ্যায় বোঝাতে চান , তিনি অবশ্যই ফিরবেন। এখানে জীবিত তাঁর কেউ নেই , কিন্তু তাঁর মৃত স্বামী শ্বশুরের ভিটা আছে। মৃত হলেও দায় ও টানটা কম না । এখানে তাঁকে থাকতে হবে, ফিরতেও হবে। এর বাইরে তাঁর কিছু নেই, পুরোটা জীবন এখানেই কাটিয়ে অন্যখানে চোখ বোজার তাঁর কোন খায়েশ নেই।

যথাসময়ে ভগ্ন মনোরথে মা-পোয়ে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হবার খবর পায়।

খবরটা আনোয়ারকে কতটা ব্যাকুল করেছে?

রাবেয়া বানুর জন্যে একেবারের ভেঙে পরার মতোই । ওকে দেখবেন , এই ইচ্ছা , ভরসা নিভু নিভু থেকে জ্বলে উঠেছিল আনোয়ারের জোর আগ্রহ ও চেষ্টাতে। অনেক দিন ধরে তিল তিল করে এ আশা তাঁর জীবন প্রদীপের সলতেতে তেল দিয়ে যাচ্ছিলো।

বয়সী শক্ত রোগগুলো এত দিন ছিল কঠোর শাসনে,এখন চরম অনিয়ম শুরু হলো। কোন কিছুতেই উৎসাহ নেই। সব নীরস ঠেকে। কিসের জন্য আর এ নিরর্থক দিন কাটানো?আর তো দেখার বাকি নেই কিছু।

মর্জিনা- ই এক , মায়া দয়া যা হোক আছে মনে, একটু পীড়াপীড়ি করে।

''এমন খাওয়া দাওয়া একটু সময় মত না করলে কেমন করে বাঁচবেন খালাম্মা?''

''আর থাকা আমার'' বিড়বিড় করে অভিমানী উচ্চারণ করেন রাবেয়া।

শেষ খবরটা বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়ে এসেছিল আনোয়ারের কাছে। আম্মার অবস্থা এতটা কবে খারাপ হলো?

রাবেয়া অক্ষম ছেলেকে একেবারেই বিপর্যস্ত করতে চাননি।

নিজের শরীর পরের দিকে দ্রত ভেঙে পড়ছিল , তাতে কি ? ছেলেকে জানালে অস্থির হবে, অযথা পেরেশানি।

আসতে তো পারবে না।

তিনি নিজেও যেতে পারবেন না। এমনকি চিকিৎসার জন্যেও হয়তোবা।

কে জানে তাঁকে হয়তো আটকে দেবে, ভালো হয়ে আর তিনি দেশে ফিরবেন না বলে।

কে জানে কেন, রাবেয়ার মনে বড় অভিমান হয়। ক্ষোভ জমে। রাগ ওঠে। কারণহীন । ব্যাখাহীন। ছোট্ট অবুঝ বালিকার মতো। কার উপর?

তাঁর সংসারের একমাত্র আপন জন এই ছেলেটাকে দেখার কত দিনের বুক বেঁধে চলা, তাও হয়ত ইহজন্মে আর হলো না।

মরার সময় নিজের একটা মানুষ পাশে থাকবে না, একটু পানি তুলে দেবে না।একটু দোয়া দুরুদে অনন্ত জীবনের সাহস জোগাবে না....।একফোঁটা চোখের পানি পড়বে না..।

রাবেয়া বানুর মৃত্যুটা একেবারে এতখানি জনশূন্য নীরবতায় হয়নি অবশ্য।

হঠাৎ শরীর খারাপ হলো , ভাগ্যে মর্জিনা তখন ঘরে।

ওই হাঁকা হাঁকি ডাকাডাকি করে লোক জড়ো করে খালাম্মাকে হাসপাতালে নিল।

বিছানা পাওয়া যায় নি, এত সহজে কি পাওয়া যায়?

ধরাধরি, টাকা জায়গামতো খাওয়ানোর ব্যাপার স্যাপার আছে। ওসবের মর্জিনা কি জানে?দায়টাই বা কি তার? পরের মেয়ে হয়ে যেতটুক দেখেছে করেছে ঐ ঢের!

তবে দয়াশীল একটা নার্স পাশে ছিল বটে চোখটা মুদবার সময়ে। ডাক্তার সাহেব বড় ব্যস্ত। কখন আসেন কেউ বলতে পারে না।

আনোয়ারের নম্বর মর্জিনার জানা নেই, কিভাবে খবর দেবে?

পরের দফায় ফোন করায় জানতে পারলো।

আম্মা নেই - আনোয়ারের অস্থিতে পঞ্জরে হাহাকারের মত শব্দগুলো বাড়ি খায়।

এইবার দেশে ফিরবেই সে, , ফিরলেই মায়ের কবর দেবে। সুন্দর করে বাঁধিয়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে ফিরবে। মন চাইছে এক্ষণি প্লেনে চেপে বসতে। অস্থির শোকাকুল আনোয়ার ছুটির দরখাস্ত দেয়।

''ছুটির খেতা পুঁড়ি ! ''না দিলেও সে অন্তত মরা মায়ের মুখটা শেষবার সে দেখবেই । এই জঘণ্য চাকরি দরকার হলে সে আর করবেই না।

সদ্য মা হারা আনোয়ারের এবার ছুটি মঞ্জুর হয় তড়িৎগতিতে, মানবিক বিবেচনা বলেও তো একটা কথা আছে!

এরকম একটা কারণ- যত পাষাণই হোক ,ছুটি না দিয়ে কেউ পারে?

জীবিত মা কে না-ই দেখুক, মৃত রাবেয়া বানুর অসাধ্য সাধনের শক্তি আছে, প্রমাণিত হয়ে যায় ।

রাবেয়ার মরদেহ হিমাগারে প্রতীক্ষায় থাকে, অবশেষে তাঁর ছেলের ছুটি হয়েছে।

রেজওয়ানা আলী তনিমা
সেপ্টেম্বর ০৪,'১৪ ইং



সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২২
৫২টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×