পশুতত্ত্বে একটা নীতি আছে, ক্ষমতা বা গায়ের জোরে যে যতক্ষণ টিকে থাকবে, সে-ই কেবল বেঁচে থাকার যোগ্য, অন্যরা হবে ধরাশায়ী। এই কারণে ক্ষমতা বা গায়ের জোরে কখনো সিংহকেও পর্যদুস্ত হতে হয় হায়েনার দলের কাছে।
বাংলাদেশে এখন পশুচর্চা চলছে। দেখা যাচ্ছে একজন আলেমের নামে এত এত মারমুখী মামলা থাকার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠুনকো কোনো মামলায়। সেটার ওপর আবার রিমান্ডও মঞ্জুর করা হইছে। এইটা হইতেছে স্রেফ ক্ষমতা আর গায়ের জোরের প্রদর্শনী। পশুরাজ্যে এই পাশবিক প্রদর্শনীর কদর অনেক।
সরকার এখন এই পশুতত্ত্বের পথে হাঁটতেছে। তারা নেহাৎ ফেলনা কোনো কারণেও যে কাউকে পর্যদুস্ত করতে পারে, মামুনুল হকের ফোন চুরির মামলায় গ্রেফতার ও রিমান্ড মঞ্জুর একটা প্রকট উদাহরণ।
পশুতত্ত্বের নীতিতে এইভাবে সরকার টিইকাও যাইতে পারে। তবে সরকারের একটা ভুল হইতেছে, তাদের তত্ত্ব ঠিক কিন্তু প্রয়োগটা ভুল। তারা পাশবিক রীতি মানুষের ওপর খাটাইতে চাইতেছে, এইটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
ক্ষমতা ও গায়ের জোরের প্রদর্শনী করতে গিয়া সরকার যে ঠুনকো বিষয়ে একজনকে গ্রেফতার দেখাইছে, এইটা পশুরাজ্য হইলে গড্ডালিকাপ্রবাহে সরকারের পাশবিক রীতিতে গদগদ কইরা যাইত, কিন্তু অনেকে এখনও মানুষ আছে বইলা বিষয়টা উল্টা রিফ্লেক্ট করতেছে।
মানুষরা ঠিকই বুইঝা যাইতেছে সরকারের উদ্দেশ্য কী?