somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কে বেশী সুখী? ময়ুর নাকি কাক

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক বনে একটি কাক বাস করত। সে মনের সুখে হাসত, উড়ত আর কা কা করে ডাকত। নিজের যা কিছু আছে তাই নিয়েই সে বেজায় সুখি ছিল। হঠাৎ একদিন সে একটি রাজহাঁসকে দেখতে পেল। রাজহাঁস দেখার পর থেকে তার চিন্তার জগত এলোমেলো হয়ে গেল। সে অবাক বিস্ময়ে ভাবতে লাগল, ‘এই রাজহাঁসটির গায়ের রঙ কত ফর্সা! সে দেখতেও কত সুন্দর! আর আমি? কুচকুচে আলো। আর দেখতে কতই না কুৎসিত। মনে মনে সে বলতে লাগল, এই রাজহাঁসটি অবশ্যই দুনিয়ার সবচেয়ে সুখি’।



সে তার মনের কথা রাজহাঁসকে জানাল। ‘সত্যি বলতে কি’, রাজহাঁস তাকে প্রতিউত্তরে বলল, ‘তোতা পাখি দেখার আগে আমিও নিজেকে সবচেয়ে সুখী মনে করতাম। তোতা পাখি দেখার পর আমার ভুল ভেঙ্গেছে। আমার ধারণা, তোতা পাখিই সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর’।

কাক তখন তোতা পাখির কাছে গেল। এবার তোতা পাখি ব্যাখ্যা দিল, ‘ময়ুর দেখার আগে আমিও খুবই সুখী জীবনযাপন করতাম। কিন্ত ময়ুর দেখার পর আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেছে। দেখো, আমার গায়ে তো মাত্র দুইটা রঙ। অথচ ময়ুরের গায়ে রঙের বাহার। ময়ুর যখন পেখম মেলে ধরে তখন মনে হয় জগতের সব রঙ বুঝি এখানেই’।

কাক তখন ময়ুরকে দেখতে চিড়িয়াখানায় গেল এবং দেখতে পেল শত শত মানুষ তাকে দেখার জন্য ভীড় করেছে। সবাই চলে যাওয়ার পর কাক ময়ুরের দিকে এগোল। ‘প্রিয় ময়ুর’, কাক বলল, ‘তুমি কত সুন্দর।! প্রতিদিন হাজারো মানুষ তোমাকে দেখতে আসে। আর আমাকে মানুষ দেখামাত্র ‘দূর দূর’ করে তাড়িয়ে দেয়। আমার বিশ্বাস, তুমিই এই গ্রহের সবচেয়ে সুখী ও সুন্দর পাখি’।

ময়ুর হতাশ কন্ঠে বলল, ‘হুম, আমিও সবসময় চিন্তা করতাম আমিই এই গ্রহের সবচেয়ে সুন্দর এবং সুখি পাখি। কিন্ত আদতে তা নয়। বরং আমার সৌন্দর্যের জন্যই আজ আমি চিড়িয়াখানায় বন্দী। আমি গোটা চিড়িয়াখানা তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি যে, কাকই একমাত্র পাখি যাকে চিড়িয়াখানায় রাখা হয়নি। সেই থেকে আমি ভাবছি যদি কাক হতাম, তাহলে মনের সুখে খোলা আকাশে উড়ে বেড়াতে পারতাম’!

মোরাল অব দ্যা স্টোরিঃ
আমরা অযথাই অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে জীবনটাকে বিষন্নতায় ভরিয়ে তুলি। আগে নিজেকে জানতে হবে। নিজের যা কিছু আছে তাই নিয়েই সুখি ও খুশি থাকতে হবে।

[ইন্টারনেট থেকে অনূদিত]
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×