###ভাগ্যিস! আমি পাকিস্তানী নই...###===========================###পাকিস্তানিদের পরিচয় সংকটঃ###-করুণাময় গোস্বামী###---------------------------------###কিছুদিন আগের কথা। আমি তখন কানাডায়। টরন্টোর কাছে ছবির মতো সুন্দর উঠতি শহর মিল্টনে আছি। শীত ক্রমেই বাড়ছে। বরফ পড়তে শুরু করেছে। একজন রোগীকে সঙ্গে নিয়ে ওকভিন শহরে যেতে হয়। ঠিকঠাক চিনি না পথঘাট। এর আগে কোনো দিন যাইনি। এ বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলে পরিচিত কয়েকজন বললেন, এ নিয়ে ভাবার তেমন কিছু নেই। ক্যাব কল করবেন, এসে যাবে, ক্যাবে চড়ে চলে যাবেন। ৪০ মিনিট লাগবে। তবে ভাবনা একটাই, ড্রাইভার যদি পাকিস্তানি হয়, তাহলে বিপত্তি ঘটতে পারে। ফোন করার আগে প্রার্থনা করবেন পাকিস্তানি ড্রাইভারের পাল্লায় যেন না পড়েন। প্রার্থনায় কী হবে বুঝতে পারলাম না। যদি পাকিস্তানি ড্রাইভারই এসে যায়, যেতে তো হবেই। ড্রাইভার পাকিস্তানি সে কথা জিজ্ঞাসা করে জেনে আমি তো আর না করতে পারি না। আর জিজ্ঞাসাই করব কী করে। সে কি করা যায়?###ক্যাব কল করলাম সকাল ১০টায়। মিনিট দশেকের মধ্যে গাড়ি এসে গেল। ঝকঝকে গাড়ি। তা থেকে বেরিয়ে এলো ঝকঝকে ড্রাইভার। দীর্ঘকায়, মজবুত, কাঁচা-পাকা চুলে ভরাট মাথা। দরজা খুলে নিতান্ত বিনীতভাবে আমাদের গাড়িতে উঠিয়ে নিল। আমি বসলাম ড্রাইভারের পাশে প্যাসেঞ্জার সিটে। ড্রাইভারই কথাবার্তার সূত্রপাত করল। বলল, ওকভিন তো কখনো যাননি, তাই না স্যার? আমি বললাম না, যাইনি। পথঘাট কিছু জানিও না। ভয় করছিল। তবে চেনাজানা লোকজন বলল, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ট্যাক্সি ডাকলেই হলো। ড্রাইভার নিয়ে যাবে, ৪০ মিনিটের মতো লাগবে। এমন কথা কি কেউ বলেনি, ড্রাইভার বলল, সে সবই ঠিক আছে, তবে ড্রাইভার পাকিস্তানি না হলেই বেঁচে যাবেন। আমি বললাম হ্যাঁ, এমন কথা হয়েছে। ড্রাইভার আবার বলল, আপনার কি মনে হয়েছে এটা একটা জনপ্রিয় ধারণা যে ড্রাইভার পাকিস্তানি না হলেই কোনো ঝামেলা নেই? তেমনি তো মনে হলো আমার। সবাই তো একবাক্যে বললেন, আমি বললাম। পাকিস্তানি ড্রাইভারকে কেউ পছন্দ করছে না, তাই না স্যার। আমার তো তেমনি মনে হলো, আমি হাসলাম। এরপর আর কোনো কথা হলো না।###প্রায় ১৫ মিনিট গাড়ি চলল। কোনো কথা হলো না। আকাশ থেকে দানা দানা বরফ পড়ছে, যেন রাত থেকে একটানা। মাঠের ভেতর দিয়ে পথ। চারদিকে শুধুই সাদা বরফে ঢাকা। ছোট ছোট গাছের ডাল থেকেই সরু-মোটা সুতার মতো হয়ে নানা আকারে বরফ ঝুলে আছে। ড্রাইভার বলল, এবার গাড়ি থামবে। সামনে পথটা অনেক নিচু হয়ে গেছে। সবচেয়ে নিচু পয়েন্টে বরফ জমেছে প্রচুর। সাফ করা হচ্ছে। এমন হয় শীতকালে। সময় লাগবে না বেশি। আপনি সময়মতো ক্লিনিকে যেতে পারবেন। কিছু এগিয়ে গিয়ে গাড়ি থেমে গেল। সামনে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে গাড়ির। ফ্লাস্ক থেকে ডিসপোজেবল কাপে কফি নিলাম খেতে। ড্রাইভারকেও এক কাপ দিলাম। থ্যাংক ইউ বলে কাপটা হাতে নিল ড্রাইভার। এক চুমুক খেয়েই আমাকে জিজ্ঞাস করল, আপনি কলম্বো গেছেন স্যার? নিশ্চয়ই, আমি বললাম, একাধিকবার। কেমন লাগে আপনার কলম্বো, ড্রাইভার জিজ্ঞাসা করল। আমি বললাম, চমত্কার। চমত্কার লাগে কলম্বো আমার কাছে। পুরনো শহর, হাইফাই নেই, গাছে গাছে সবুজ, কিন্তু অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। থেকে থেকেই মাঠে মাঠে ক্রিকেট শেখার ব্যবস্থা আমার ভালো লাগে। আমি কলম্বোর লোক, ড্রাইভার বলল। মেয়েরা ক্রিকেট খেলা শেখে, এমন একটা মাঠের পাশেই আমার বাড়ি। আমরা কয়েক পুরুষ ধরে সেখানে থাকি। তাহলে আর কি। আমি বললাম, আমি ঢাকার মানুষ, বাঙালি। তোমরা তো বিজয় সিংহের আমল থেকেই লঙ্কায় আছ দেখতে পাচ্ছি। ভালোই হলো। বিজয় সিংহ বাঙালি ছিলেন, লঙ্কা জয় করেছিলেন। ড্রাইভার আর কথা বলল না। এর মধ্যে যানজট কেটে গেল। আমরা নিচের দিকে নামতে শুরু করলাম। আবার ওপরের দিকে। ওকভিন শহর দৃশ্যমান হতে লাগল। ঠিক সময়ে ক্লিনিকে পৌঁছে গেলাম। ওই দেশে স্পেশালিস্টরা ঠিক সময় রোগী দেখেন। ১১টা ১৫ মিনিটের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল। সে সময়ই রোগী দেখে ১১টা ৩০ মিনিটে যথাকরণীয় বুঝিয়ে দিলেন। চেম্বার থেকে বেরিয়ে দেখি ওয়েটিংরুমে ড্রাইভার বসা। ভাবলাম, যেহেতু মিল্টন থেকে গাড়ি নিয়ে এসেছি, ড্রাইভারও মিল্টন যাবে, তাই হয়তো বসে অপেক্ষা করছে আমাদের নিয়ে যাবে বলে। খালি যাওয়ার রিস্ক থাকে না।###আমি আপনাদের নিয়ে যাব বলে অপেক্ষা করছি না, ড্রাইভার বলল। অপেক্ষা করছি আপনার সঙ্গে খানিক কথা বলব বলে। আমি আশ্চর্য হলাম, এমন কী কথা থাকতে পারে আমার সঙ্গে, যে জন্য ড্রাইভার অপেক্ষা করছে! কাছে গিয়ে সোফায় বসতেই ড্রাইভার অত্যন্ত বিষণ্ন কণ্ঠে, নিচের দিকে স্থির দৃষ্টি রেখে বলল, আমি অত্যন্ত দুঃখিত স্যার, আমি আপনার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলেছি। এই মিথ্যা কথা আমি বলি, আমাকে বলতেই হয় আমার জীবনধারণের জন্য। তবে গাড়ি চালিয়ে আপনাকে এতটা পথ নিয়ে আসার পর আপনি যখন আমাকে হাসিমুখে ভাড়া মিটিয়ে টিপস দিয়ে নেমে গেলেন, আমার মনে হলো কাজটা ভালো করিনি। মিথ্যা কথা বলেছি, আপনি একজন দয়ালু শিক্ষকের মতো মানুষ, ভালো করিনি আপনার সঙ্গে মিথ্যা পরিচয়ের কথা বলে।মন বলল, অপেক্ষা করে মিথ্যা কথা বলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করো এবং সত্য কথাটি বলে যাও। আমি অবাক হয়ে গেলাম সত্য কথা, মিথ্যা কথা নিয়ে ড্রাইভার যেভাবে থেমে থেমে কথা বলল এবং শেষ পর্যন্ত রুমাল দিয়ে চোখ চেপে কাঁদতে শুরু করল। আমি বললাম, ব্যাপার কী বলো তো, এমন কী মিথ্যা কথা তুমি বললে যে এতটা কষ্ট পাচ্ছ? চোখে রুমাল চেপে রেখেই ড্রাইভার বলল, সে কথাটি বলার জন্যই তো বসে রয়েছি। আমি কলম্বোর অধিবাসী, শ্রীলঙ্কান নই, আমি পাকিস্তানি, লাহোরের অধিবাসী, আমার নাম রহিম খের। আমি চমকে উঠলাম। আরো চমকালাম এ জন্য যে রহিম কথাটি স্বাভাবিকভাবে সহজ মনে বলছে না। চোখে রুমাল চেপে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলছে। কথা যেভাবে বলছে মনে হচ্ছে, ওর বুকে অনেকটা ওজন চেপে আছে। চলো গাড়িতে, মিল্টনের পথে পড়ি, তারপর শুনব কাহিনী। চোখে ঢাকা রুমাল নামিয়ে ড্রাইভার রহিম খের আমার দিকে চাইল। ওর দুই চোখ লাল হয়ে উঠেছে দেখলাম। ভবনের সাততলা থেকে লিফটে নামলাম। গাড়িতে বসে ফ্লাস্ক থেকে কফি ঢাললাম, রহিমকে দিলাম এক কাপ, আমরাও নিলাম।###আমি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লায়েড ফিজিকসে পাস করে এসেছি, রহিম খের বলল। অনার্স ও মাস্টার্স উভয়েই ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড। কানাডায় এসেছিলাম উচ্চতর পড়াশোনা করব বলে। ভর্তি হয়েই পড়লাম অসুখে। টানা এক বছর শয্যাগত। কী কষ্টে যে সময় কেটেছে। ভালো হলাম। আমার মামাতো ভাই সালমান বলল, চল, গাড়ি চালাবি আমার মতো। ঝক্কি-ঝামেলা নেই, সুখে থাকবি। লাহোরে গাড়ি চালাতে পারতাম। এখানকার কোর্স শেষ করে ক্যাব নিয়ে পথে নামলাম। প্রথম দিনই ধাক্কা খেলাম প্রচণ্ড। কল পেয়ে একজনের দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়িয়েছি। স্বামী-স্ত্রী নেমেও এলেন খুশি মনে। আমি অভ্যর্থনা জানিয়ে দরজা খুলে দিলাম। তাঁরা ভেতরে গিয়ে বসলেন। গাড়ি স্টার্ট দেব তো ভদ্রমহিলা জিজ্ঞাসা করলেন, কোন দেশ থেকে এসেছেন ড্রাইভার সাহেব? আমি আনন্দের সঙ্গে বললাম, লাহোর, পাকিস্তান। পাকিস্তান! মহিলা কথাটি এমনভাবে বললেন যে তিনি ঘাবড়ে গেছেন। ভদ্রলোক আস্তে বললেন, কি নেমে যাবে? ড্রাইভারকে বললেন গাড়ি স্টার্ট না দিতে। গরিব দেশের মানুষ, পাঁচ ডলার বকশিশ দিয়ে ছেড়ে দিই। মহিলা বললেন, সে কেমন দেখায়, গাড়িতে উঠে পড়েছি। ভদ্রলোক বললেন, খুব সাবধানে চালাও, খুবই সাবধানে। সারা দিন গাড়ি চালালাম, উপার্জন করলাম ভালো। মন খচখচ করতে করতে ক্যাব স্টেশনে ফিরলাম। প্রথম যাত্রী তো বটেই, আরো তিন যাত্রী জানতে চাইলেন, আমি কোন দেশ থেকে এসেছি। লাহোর, পাকিস্তান বলতেই দেখি তাঁদের মন খারাপ হয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে একজন বললেন, পাকিস্তানির গাড়িতে যাব না। আমাকে পাঁচ ডলার বকশিশ দিয়ে ছেড়ে দিলেন। আমিও চলে এলাম। স্টেশনে ফিরে দেখি ডিউটি শেষে বেশ কয়েকজন ড্রাইভার বসে কথা বলছেন, কফি খাচ্ছেন। আমি কাছে গিয়ে বসতেই লাহোর থেকে আসা একজন ড্রাইভার আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, খবর কী নতুন ভাই? আমি বললাম, খবর ভালো-মন্দ দুটিই। মানে? বলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করলেন। আমি ঘটনা খুলে বললে মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। শোনা শেষ হলেই হো হো করে হেসে আমার পিঠে দিলেন থাপ্পড়। বললেন, এই কথা—এ কিচ্ছু নয়। কিচ্ছু নয়, একেবারেই। পাকিস্তানি ড্রাইভার! এত অল্পে মন খারাপ হয়ে গেলে গাড়ি চালাবে কেমন করে। অ্যাকসিডেন্ট করে ফেলবে তো।###বাসায় ফিরে সালমানকে কিছু বললাম না বা বলতে পারলাম না। পরদিন গাড়ি নিয়ে বেরোব। গতকালকের লাহোর থেকে আগত ড্রাইভার কাছে এসে আমার কাঁধে হাত রেখে বললেন, মন খারাপ করতে নেই ভাই। বিদেশে এসেছি, যেভাবে থাকলে ভালো থাকা যায় সেভাবেই থাকতে হবে। প্রথম প্রথম খারাপ লাগে। পরে সয়ে যায়। কোথা থেকে আসছেন মনে হতেই আপনি কোন দেশের মানুষ এমন প্রশ্ন যে কেউ করলে সাতপাঁচ না ভেবে মনের আনন্দে বলে দেবে ইন্ডিয়া। সে কি! আমি পাকিস্তানি, বলে দেব ইন্ডিয়ান! আশ্চর্য নয়? আমি বললাম। বিদেশে এসে বাঁচতে হলে অভিভূত হয়ে গেলে চলবে না ভাই। বড় ভাই বললেন, আমরা একটা পরিচয় সংকটের মধ্যে আছি। পাকিস্তানিদের কেউ ভালো মনে করে না। সবাই মনে করে পাকিস্তানিরা খারাপ করতেই পারে। তুমি খারাপ করতে পারো, করেছ এমন নয়। সত্যটা এখানে সম্ভাব্য, ম্যাটার অব ফ্যাক্ট নয়। আমি দর্শনের ছাত্র। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। আমি বুঝি, সম্ভাব্য সত্য ঘটমান সত্যের চেয়ে অনেক বড় এলাকা নিয়ে বসবাস করে। আজ দেশের বাইরে এলেই পাকিস্তানিরা কঠোর-কঠিন সম্ভাব্য সত্যের এলাকায় পড়ে যায়। পাকিস্তানি ড্রাইভার অ্যাকসিডেন্ট করেছে বা ট্রাফিক আইন ভেঙে গাড়ি চালিয়েছে কি না, সেটা কেউ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারছে কি না, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে, পাকিস্তানি যেহেতু, সে যেকোনো খারাপ কাজ করতে পারে। বলে দাও ইন্ডিয়ান। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী বলবে, ধন্যবাদ ড্রাইভার—চলো তো। পরপর সাত দিন যাত্রীরা কোন দেশ থেকে আসছি জিজ্ঞাসা করলে লাহোর, পাকিস্তান বলতাম, আর ভয়ংকর উপেক্ষায় জর্জরিত হলাম।###অষ্টম দিনে মামাতো ভাই সালমানকে ঘটনা খুলে বললে সে বলল, ব্যাপার না আমি একই গ্রামের মানুষ। গ্রামের মাঝখান কেটে গেছে সীমান্তের রেখা। তুমি পাকিস্তানের ভাগে পড়েছ, আমি ইন্ডিয়ার। তুমি মুসলমান, আমিও মুসলমান। আমরা ভাই। আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি ইন্ডিয়ান। যাত্রীরা ভাবে, আমি মানুষ হিসেবে ভালো, ড্রাইভার হিসেবেও ভালো। তোমাকে জিজ্ঞাসা করলে তুমি বলবে পাকিস্তানি। সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা ভাববে, তুমি মানুষ হিসেবে মন্দ, ড্রাইভার হিসেবেও মন্দ হবে। এ তোমার কপাল। তোমার কোনো দোষ নেই, দোষ তোমার পাকিস্তানি হওয়ার। এ তোমার পরিচয়ের সংকট। ব্যাপারটা যে অকারণ তাও কিন্তু নয়। এর একটা ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত আছে। বিদেশিদের দোষ দেবে কিভাবে।
আস্তে আস্তে আমি এই ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতটি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু তবু অন্য অনেকের মতো আমি নিজেকে ইন্ডিয়ান বলি না। এলওসি বা লাইন অব কন্ট্রোলে প্রতিনিয়ত গোলাগুলি হচ্ছে, প্রতিনিয়ত ইন্ডিয়াবিরোধী স্লোগানে স্লোগানে পথঘাট উচ্চকিত হচ্ছে। এর মধ্যে শৈশব-কৈশোর-প্রারম্ভ যৌবন কাটিয়ে হাসতে হাসতে বলে দেব আমি ইন্ডিয়ান—সে আমি পারি না। কখনো বলি শ্রীলঙ্কান, কখনো নেপালি, কখনো বলি গায়ানিজ। এভাবেই চলে। আপনার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলার পরক্ষণেই পুরনো দুঃখে কান্না পেয়ে গেল। ড্রাইভারের কান্নালাল চোখ দুটি চোখে ভাসে।
(কালের কন্ঠে প্রকাশিত)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫