কলেজে টিচার্স রূমে বসে আছি। সাথে আরো কয়েকজন সহকর্মী ছিলেন। এ সময় সুরাইয়া আক্তার নামে এক ম্যামের মোবাইলে হঠাৎ ফোন আসলো তার বাসা থেকে। ম্যাম ফোন ধরে ওপাশের কথা শুনেই আতকে উঠলেন। কী! হিজড়া এসেছে! বাসায় ঢুকে গেছে! আশ্চর্য, তুমি দরজা খুললে কেন? বাবুর কিছু হয়নিতো? হায় হায়, এখন কি হবে? আচ্ছা, আমি এখুনি আসছি। তুমি বাবুকে ওদের ধরতে দিওনা। ম্যামের মেয়ে হয়েছে কয়েকমাস আগে। বুঝা গেল তার বাসায় হিজড়ারা এসেছে এ উপলক্ষ্যে চাঁদা চাইতে। ম্যাম হন্তদন্ত হয়ে আরো একজন শিক্ষক নিয়ে তার বাসায় চলে গেলেন। হিজড়ারা কোনো এলাকায় শিশু থাকলেই কিভাবে যেন তার খবর পেয়ে যায়। তারপর তারা দল বেধে আসে চাঁদা চাইতে। ম্যামের বাসায়ও আট জনের একটি দল আসলো। সাধারণত বাড়িওয়ালারা এ ব্যাপারে ভাড়াটেদের কিছুটা সহযোগিতা করলেও ম্যামের বাড়ির মালিকের স্ত্রী করলেন ঠিক উল্টোটা। তিনি হাঙ্গামা হওয়ার ভয়ে হিজড়াদের নিয়ে নিজে ম্যামের ফ্লাটে চলে গেলেন এবং ডাকাডাকি করে দরজা খুলিয়ে হিজড়াদের ভিতরে ঢুকিয়ে দ্রুত প্রস্থান করলেন। দরজা খোলা পেয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই হিজড়ারা হুড়মুড় করে ভিতরে ঢুকে পড়লো এবং হইচই করতে করতে এবং হাতের তালু দিয়ে চাট চাট করে শব্দ করতে করতে তারা দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করলো। তখন বাসায় কেবলমাত্র ম্যামের বাবা উপস্থিত ছিলেন। হতভম্ব ও নির্বাক বৃদ্ধ মানুষটি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তাড়াতাড়ি করে ম্যামকে ফোন দিলেন।
ম্যামের বাড়ি বরিশাল। তার মেয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছে বরিশালে। সেখানেও হিজড়ারা আছে এবং তাদেরকে এ উপলক্ষ্যে তিন হাজার টাকা দিতে হয়েছে। কিন্তু সেকথা এই ঢাকার হিজড়াদের বলতেই তারা বেজায় খাপ্পা হয়ে গেলো এবং বললো, বরিশালে দিছো তো কি হইছে এইখানেও দিবা। হইচই ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে করতে তারা জানালো দশ হাজার টাকার এক পয়সা কম দিলেও তারা এখান থেকে যাবে না। তখন ছিলো মাসের শেষের দিক। ম্যামের হাতে তেমন টাকা পয়সা ছিলো না। তাছাড়া কন্যা শিশুটির জন্য এমনিতেই অনেক ব্যয় হচ্ছিল এ অবস্থায় আবার হিজড়াদের উৎপাতে তিনি অসহায় হয়ে গেলেন এবং হিজড়াদের অনেক অনুনয় বিনয় করতে লাগলেন এবং বারবার বলতে লাগলেন যে তিনি তো একবার টাকা দিয়েছেন। কিন্তু হিজড়ারা তো কথা শোনার প্রাণী নয়। যাই হোক শেষপর্যন্ত আরেকজন শিক্ষক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের অনেক কাকুতি মিনতির পর হিজড়ারা অবশেষে তিন হাজার টাকা নিয়ে বীরদর্পে চলে গেলো।
এতো গেলো একটি খন্ড চিত্র। এরকম ঘটনা ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে অহরহই ঘটছে। কোনো পরিবারে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলেই কালবৈশাখী ঝড়ের মতো হাজির হয় হিজড়ারা। মোটা অংকের চাদা দাবী করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, হাতের তালু দিয়ে অদ্ভুত শব্দ আর হইচই করতে থাকে। নগরবাসী এদের কাছে অসহায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে নগরীর পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে অভিজাত আবাসিক এলাকাগুলোতে হিজড়া আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে হিজড়ারা। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি, মারামারিসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি তাদের হাতে খুনের ঘটনাও ঘটছে। তারা আবার সন্ত্রাসীদেরও আশ্রয় দিয়ে থাকে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তারা পাত্তাই দেয় না। ফলে এদের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশান, ফার্মগেট, পরীবাগ ফুট ওভারব্রিজ, মহাখালী ফ্লাই ওভারের নিচে, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সংসদ ভবন এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যান, ধানমন্ডি লেক, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে রাতের আঁধার নামলেই একটি শ্রেণী পতিতাবৃত্তিতে নেমে পড়ে। এদের অধিকাংশই হিজড়া। অনেক হিজড়া পতিতাবৃত্তির পাশাপাশি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকায়। বিশেষ করে রাতে পথচারীরা রেহাই পায় না তাদের হাত থেকে। ফুট ওভারব্রিজগুলোতে উঠলেই তাদের ডাকে সাড়া দিতে হবে, নইলে টানা-হেঁচড়া শুরু করে দেয়। হিজড়াদের টাকা তোলা নতুন কিছু নয়। আগে মানুষ যা দিত, তা নিয়েই খুশি থাকত হিজড়ারা। কিন্তু এখন তাদের আচরণ বদলে গেছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল করছে তারা।
বাসে করে কোথাও গেলে যে কোনো স্টেশন থেকে দুইজন হিজড়া বাসে উঠবেই। তারপর দুইজন দুইদিক থেকে বাসযাত্রীদের কাছে টাকা দাবী করতে থাকে। না দিলে অনেক সময় তারা খারাপ ভাষাও ব্যবহার করে। বাস্তহারা, স্টেশন রোড, এয়ারপোর্ট, বনানী, বিজয় স্মরণী মোড় মূলত এ জায়গাগুলো থেকেই তারা বাসে উঠে। অনেক সময় একই বাসে কয়েকবার তাদের উৎপাত সহ্য করতে হয়। অনেক সময় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে তারা ট্রেনে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে থাকে। প্রথমে তারা ভদ্রভাবেই চায়। মামা, টাকা দাও। যাত্রীরা যদি বলে নাই, তখন তারা বলে টাকা নাই তো কি আছে? সোনা আছে? সোনাটাই দাও। এরকম আরো অশ্লীল কথা তারা বলে। একাধিক হিজড়া জানান, তারা নিজেদের মধ্যে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলে। যেসব ভাষায় কথা বলা হয় তার মধ্যে কয়েকটি হলো চাম দেখ (গাড়ির ভেতরে ভালোভাবে দেখ, কি কি আছে)। পান্তির কাছে কি থাপ্পু (টাকাসহ আর কি কি আছে)? উত্তরে তারা বলে, আক্কা থাপ্পা (অনেক টাকা)। তখন জিজ্ঞেস করা হয়, কুনকুন (মোবাইল ফোন) আছে কিনা? ঝান্নিমাসি (সোনার চেইন), গিয়ানি মাসি (ল্যাপটপ) আছে কিনা?
এসব হিজড়াদের মধ্যে সবাই যে প্রকৃত হিজড়া তা নয়। অনেক প্রতারক, পুরুষ হয়েও মুখে কড়া মেকাপ দিয়ে হিজড়া সেজে বাস, দোকান থেকে টাকা উঠায়। প্রতি বাস থেকে কমপক্ষে 50/100/150/200 টাকা উঠায়। তারা একটার পর একটা বাস ও দোকান থেকে টাকা উঠাতেই থাকে। সে হিসেবে তাদের মাসিক আয় 30,000/40,000 টাকার কম না। বেশ লাভজনক পেশা সন্দেহ নেই। নানা কায়দায় টাকা কামিয়ে হিজড়াদের অনেকেই আজ বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। তাদের অনেকেরই আছে নিজস্ব জমি, বাড়ি অথবা ফ্লাট।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর তথ্য মতে সারাদেশে ২০ হাজার এবং রাজধানীতে প্রায় ২ হাজার হিজড়ার বসবাস করলেও তাদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার। জানা গেছে, টঙ্গী শিল্পাঞ্চলে প্রায় দুই শতাধিক হিজড়া বসবাস করছে। তাদের একাধিক গ্রুপ রয়েছে। তুরাগ, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান থানা এলাকায় আছে অন্তত ২০টি গ্রুপ। দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ, কাঁঠালতলা, কোর্টবাড়ী, আজমপুর কাঁচাবাজার, কসাইবাড়ী, আশকোনা এলাকায় আছে ৪০টি গ্রুপ। একেকটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। গ্রুপগুলোর মধ্যে রাহেলা, স্বপ্না, কল্পনা হিজড়ার কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। রাহেলা হিজড়া থাকেন দক্ষিণখান। তার একটি পাঁচ তলা বাড়ি আছে। ওই বাড়িতে হিজড়ারা বসবাস করে। তুরাগের কামারপাড়া, রাজাবাড়ী, ধউর, রানাভোলা, বাউনিয়া এলাকায় থাকে ১০টি গ্রুপ। তাদের গ্রুপ প্রধান হচ্ছেন কচি হিজড়া। সবাই তাকে গুরু মা বলে ডাকেন। তিনি কোটিপতি বনে গেছেন। তার আছে দুটি বাড়ি। মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আছে ১২টি হিজড়া গ্রুপ। একটি গ্রুপের প্রধান হচ্ছেন সুইটি। আদাবরে তার নামে আছে একটি বাড়ি। খিলক্ষেত এলাকায় হিজড়াদের দলনেতা নাজমা হিজড়ার অধীনে রয়েছে ৪০ জন হিজড়া। ৩০ বছর আগে পুরুষাঙ্গ কেটে হিজড়া হয়েছে নাজমা। সে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বিভিন্ন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের কাছে তার সুদে দেয়া আছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় দুই লাখ টাকা। ফায়দাবাদ, খিলক্ষেত ও গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় তার ৩টি বাড়ি ছাড়াও একাধিক প্লট রয়েছে। বটতলা ক ১৮৩/৫নং মায়ের দোয়া নাজমা ভিলায় থাকেন নাজমা হিজড়া। এটি তার নিজের বাড়ি। খিলক্ষেত নামার বউরা এলাকায় আছে দুটি প্লট। ধলপুর এলাকার আবুল হিজড়ার দুটি বাড়ি আছে। গোলাপবাগ এলাকার ১৩/বি/১ নম্বর পাঁচ তলা ও ধলপুর লিচুবাগানে একটি চার তলা ভবনের মালিকও তিনি।
হিজড়াদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে হিজড়াদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর হয়নি। 2016 সালের 19শে মে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিতের সভাপতিত্বে সোস্যাল সেফটি নেটের এক বৈঠকে 2016 সাল থেকে তাদের ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় নির্ধারণসহ তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে হিজড়াদের নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলা হয়, সরকার আরো বিশ্লেষণের পর নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। বৈঠকে হিজড়াদের উন্নয়নে ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে একমত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্তরূপ পায়নি বলে জানা গেছে। আদৌ কোনোদিন পাবে কিনা তাও জানা নেই কারো।
এখন হিজড়ারা তো প্রতিবন্ধী নয়, নয় শারিরীক অক্ষম কিংবা মানসিক অপ্রকৃতিস্থ! সমাজের আর দশটা সুস্থ্য মানুষের মতো বাস করে অন্য মানুষের ক্ষতিসাধন করার অধিকার তারা পায় কিভাবে? সবল মানুষ কর্ম করে খাবে, না পারলে ভিক্ষা করবে, কিন্তু ডাকাতি করতে পারে না। নিম্নাঙ্গের কাপড় তুলে দিয়ে ছিনতাই করতে পারে না। রাষ্ট্র যদি তাদেরকে অক্ষম বলে মনে করে তবে তাদের পুনর্বাসিত করুক, আপত্তি নেই। কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীকে প্রশ্রয় দেবার অধিকার সভ্য রাষ্ট্রের নেই, থাকতে পারে না।
তৃতীয় লিংগ বলে যারা তাদের জন্য কান্নাকাটি করে তারা পারলে নিজের বউয়ের গয়না বিক্রি করে হিজড়াশ্রম খুলে বসুক। কিন্তু চতুর ছিনতাইকারিদের পৃষ্ঠপোষকতা করার চেষ্টা না করাই ভালো। কী অমানবিকভাবে একজন অভাবী মানুষকেও সন্তানের মুখে দুধ তুলে দেবার আগেই সন্তান জন্মানোর কাফফারা দিতে হয় এই অদ্ভুত প্রজাতির ছিনতাইকারীকে। ছিনতাইএর শিকার হলে আইনের আশ্রয় পাওয়া যায়, হিজড়াতে আক্রান্ত ব্যক্তি সে অধিকার থেকে বঞ্চিত। সভ্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব সব ধরনের অপরাধ থেকে রাষ্ট্র কে নিরাপদ রাখা। হিজড়ার অপরাধে যদি শাস্তি না থাকে, তবে ক্ষুধার্ত চুরি করলে অপরাধ হবে কেন? বিকলাঙ্গ ব্যক্তিকে ভিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ভিআইপি রাস্তাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হবে কেন? ফুটপাতের পাশে নিম্ন আয়ের মানুষের বেচা কেনায় হস্তক্ষেপ করা হবে কেন?
একই রাষ্ট্রে দুই আইন থাকতে পারে না। হিজড়ারা শারিরীকভাবে সুস্থ্য। হয় তারা মূলধারায় আসবে, নয়তো অপরাধী সাব্যস্ত হবে। বেশ কিছু হিজড়াকে কাজ দিয়ে দেখা যায়, তারা কাজ করতে রাজি নয়। পরিশ্রম না করে অন্যের পরিশ্রমার্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপনে তারা অধিক আগ্রহী! এরপর আছে বেদেনীদের উৎপাত। আপনি বাস থেকে নেমে দুই পা হাঁটার পরেই দেখবেন কাধে ঝোলা আর হাতে ছোট সাপের বাক্স হাতে তিন, চারজন মহিলা আপনাকে ঘিরে ধরেছে আর টাকা দাবী করছে। জামাকাপড় খামচে ধরে থাকে আর টাকা দাবী করতেই থাকে। টাকা না দিলে তারাও খারাপ ভাষা ব্যবহার করে। কিন্তু এর শেষ হওয়া প্রয়োজন। না হয় ভবিষ্যতে এই হিজড়া আর বেদেনীরা আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ব্যাপক রুপ ধারন করবে। তাই বিশেষ করে হিজড়াদের উৎপাত বন্ধ করতে প্রশাসনের স্ব-উদ্যোগী হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা অতীব জরুরী।
Ref:
1. হিজড়াদের উৎপাতে অসহায় সাধারণ মানুষ, Ekushey24.com (24/03/2018)
2. রাজধানীতে বেড়েই চলেছে হিজড়াদের উৎপাত, দৈনিক ইনকিলাব (26/01/2017)
3. বাড়িতে গাড়িতে হিজড়াদের উৎপাত, হাসান মুমিন, সংবাদ উপস্থাপক, মাই টিভি।
4. রাজধানীতে হিজড়াদের অস্বস্তিকর উৎপাত, সময় নিউজ টিভি, (11/04/2017)
5. হিজড়াদের উৎপাতে বর ও বরযাত্রীরা আতঙ্কিত, চাদাঁ দাবীর এক অভিনব কৌশল, মোস্তাক আহমেদ, দৈনিক মাকড়সা, (10/09/2017)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১৯