somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রুবে৭১
যার জীবন নেই তার আবার প্রতিচ্ছবি! জীবন বলতে কি কেবল শুধু বেঁচে থাকার নাম! নাকি অন্য কিছু। আমি তো জানি সামগ্রিক প্রতিকুলতার মাঝে সবার সাথে কিছু গল্পের সমন্ময়ে সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পৃথিবীতে আবেগ দিয়ে বি

বিবাহ বিড়ম্বনা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনামটি মোটেই হাস্যকর নয়। যতটা কষ্টের ঠিক ততোটাই ভাববার। গল্পটা আমার নিজের। ভেবেছিলাম, আর কোনদিন ব্লগ লিখবনা। যা লিখেছি, তাই ঢেড়। কি হবে এসব ছাইপাস লিখে। কি লাভ! অন্যর মনের খোরাক জুগিয়ে। নিজেরই যখন পেটের খোরাক যোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। সেখানে মনটনের কথা ভেবে আজাইরা কষ্ট দাওয়াত করার কি দরকার!।

যখন লিখছি তখন তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম বিরক্তিকর কাজটিই যেন আমি করে চলেছি। কম্পিউটারের কি-বোর্ডে টাইপ করা। গতকাল যখন পেটের চিন্তায় পিষ্ট হয়ে হৃষ্টচিত্তে কাজ করছি। ঠিক তখনই আমারই আপন ছোট ভাইয়ের বউ আমাকে ফোন করলো।প্রসঙ্গ বিয়ে।

--হ্যালো, ভাইয়া আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন।
-- ওয়ালইকুম সালাম, ভাল আছি। বল ঝুমা। (মেয়েটা হিন্দু ছিল, ঝুমকা থেকে ঝুমা হয়েছে)।
-- বলতে সাহস পাইতাছি না। কিভাবে যে বলবো।
-- আমি তো বাঘ না, বল আপু।
-- ভাই, আমরা যদি আপনাকে কোন মেয়ে এনে দেই (আমার বিয়ের পাত্রি) তাহলে কি আপনে নিয়া খাবেন।
নিজের বিরক্তিটা প্রকাশ করতে পারলাম না। কিন্তু, যথেষ্ট বিরক্ত হলাম। কারন, পরিবারে আমিই সব থেকে অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে মানুষ হয়েছি। না করেছি প্রেম, না করতে পেরেছি বিয়ে। বয়স হয়ে গেছে ৩৫ এর কাছাকাছি। দেখতে শুনতে খারাপ ছিলাম না। তারপরও, কেন যেন তেমন কিছু হয়নি। না প্রেম, না কোন অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। ঝুমা'র এমন প্রস্তাবে আমি যারপর নাই একটু বিরক্ত। কারন, একটা স্বল্প শিক্ষিত মেয়ে আমাকে বাছ বিচার ছাড়ািই কিভাবে এই কথা গুলো বলল! আমার মাথায় আসেনা। কষ্ট পেলেও বিরক্তি টা প্রকাশ করলাম না।

মা, মারা যাবার পর থেকে আমার জীবনটাই হ-য-ব-র-ল হয়ে গিয়েছে। হাদিসে আছে, কোন কারনে বাবা-মা বদনাম বা খারাপ কিছু বলা যাবেনা। কিন্তু, যে মানুষটা আমাকে নিয়ে কোন দিন ভাবেনী। তাকে কিভাবে ভাল মানুষ হিসেবে মনে করি।আমি যা কিছু করেছি বা করতে চেয়েছি সেই প্রথম বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। আজ তাকে প্রতি সপ্তাহে টাকা পাঠাতে হয়। যখন আমার চাকুরি নেই। কাকে বলবো কস্টের কথা।

আজ এই কথা গুলো বলার একটাই কারন। আপনার পরিবারের যে লোকটি আপনার পাশে দাড়াবে তাকে নিগৃহিত করে তার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকবেন। অথচ, তার কথা ভাব্বেন না, এটা কিন্তু, কারো জন্য খারাপ বৈ ভাল কিছু হবেনা।

আমার বর্তমানে টাকা নেই। বুঝতে পারছি, প্রতিনিয়ত আমি হেরে যাচ্ছি। নাকি আমাকে হারতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আমিও কাউকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে চাই। যে সহমর্মি, সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবে। সুন্দর শরীর সবাই চায়। আমি একটা সুন্দর মন খুজি। পাবো কি পাবো না, তার হিসেব করিনা, কারন আমি স্বার্থপর হতে শিখিনি। নিজের স্বপ্ন পূরন না হবার কষ্টটা আজো যখন কাঁদায়, তখন সে কান্নাকে হাজার ভীরে হাসি দিয়ে ঢেকে রাখা ছাড়া আমার যেন অন্য কোন উপায় খুঁজে পাইনা।

ছোট বোনটা অপরিপক্ক অবস্থায় বিয়ে অত্ঃপর নেশাখোরের সাথে হাত ধরে চলে যাওয়া সব থেকে বেশি কষ্টটা আমিই পেয়েছিলাম। কেননা, আমার কষ্টের টাকায় ওর পড়ালেখা হতো। একটা ছোট ভাই পেয়েছিলাম। সে ভদ্র ছিল নাকি ভন্ড ছিল, জানিনা। কেননা, সে আমার পাশে দাঁড়ায়নি।

কাউকে ক্ষমা করতে পারবো না। আমার সাথে কেউ ভাল করেনী। যার কোন কারন নেই।

বিয়েটা শেষ পর্যন্ত কপালে থাক বা না থাক ভাবিনা। শুধু ভাবী, আমার ভাগ্যটা দূর্ভাগ্যর কাছে হেরে গেল। আমি শুধু দেখছি, ভাবছিনা।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×