somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গঠনতন্ত্র থেকে অসাম্প্রদায়িকতা বাদ দিন

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লিখতে বসলাম । বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন যে আজ চরম সীমায় পৌছিয়ে গেছে তা নিয়ে বলে কোন লাভ হবে না । আজ সাওতাল গারো থেকে শুরু করে সবার জীবন বিপদ্গ্রস্থ । জানি এগুলোর কোন সমাধান হবে না । কিন্তু কথকগুলো বিষয় আছে যা নিতান্তই হাস্যকর শুধু এইটাই অনুরধ এই গুলো বন্ধ করে দিন । নিজেকে আজ বলতে ইচ্ছে করছে আমি মালোয়ান, আমি গারো আমি চাকমা আমি সংখ্যালঘু । বিশ্বাস করেন আমরা আপনাদের দেশে থাকবনা । কেন থাকবো আমরা পরে আছি আমাদের আবেগ নিয়ে । এটা আমার বাবা মার ভুমি জায়গা দেশ । এ গুলোর কি মূল্য আছে বলেনতো? আমার বাপ দাদারা স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিল তাতো অনেক আগে ।তারা কত বোকা ছিল না । গাধারা ভেবেছিলো দেশ স্বাধীন হলে সাম্প্রদায়ীকতা বিলুপ্ত হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে কি লাভ হল ? বিনিময় তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয় , বউ বাচ্চাদের ধর্ষণ করা হয় । বাংলাদেশে তারা যেন তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক । যারা যুদ্ধে গিয়ে তখন মারা গিছিল তারা অনেকটা ভাগ্যবান কারন এই বাংলাদেশ তাদের দেখা লাগে নাই । এ দেশে ধর্মীয় অনুভুতি শুধু একটা সম্প্রদায়েরই আছে বাকি গুলোর কি আসে যায় । ধর্মীয় অনুভূতি কি শুধু সংখ্যাগুরুদের ?
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় জোঁক হল বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ । এই নাটকের কি দরকার কারণ সংবিধানে আছে এক সাথে ধর্ম নিরপেক্ষতা অন্য দিকে রাষ্ট্র ধর্ম । বুঝিনা একই সাথে দুই রুপ কিভাবে সম্ভাব । বাংলাদেশের সঙ্খালঘুদের সবচেয়ে বড় আস্থার নাম প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা । সবাই তার দিকে মুখ চেয়ে আছেন । কিন্তু তিনি নাসির নগর হামলা বা সাঁওতাল পল্লীতে হামলা নিয়ে মুখ খোলেননি কেন খুলবেন এ ধরনের ঘটনা ঘটলে মুসলমানদের তার উপর জনপ্রিয়তা বাড়বে । ভোটই তো সব, হিন্দুরা দেশে থাকলে ভোট পাওয়া যায় আর চলে গেলে জমি পাওয়া যায় । কি হবে পুজা দাসের মত বাচ্চারা ধর্ষণ হলে ? ও তো মালয়ানের বাচ্চা । আমার কথা না আপনাদের মন্ত্রীর কথা । যে এখন ও মন্ত্রী আছে । ও যদি লতিফ সিদ্দিকি হতো তবে এত দিন জেলে যাওয়া লাগতো ।


সংখ্যালঘুদের হয়তো ঘরবাড়ি দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু তাদের মনের যে বিশ্বাস এ যে আঘাত লেগেছে তা কিভাবে পুরন করবেন ? আর একটা অনুরধ আওয়ামিলীগকে আর ধর্ম নিরপেক্ষ দল বলে বিব্রত করতে চাই না । আপনাদের সাধারন সম্পাদকতো বলেই দিছেন রাষ্ট্র ধর্ম পরিবর্তন করার কোন ইচ্ছা নেই । আর প্রধান মন্ত্রী ও বলেছিলেন যে দেশ চলবে নবীজীর দেখানো পথে । তবে সমস্যা কি দলের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এনে ইসলামিক দল ঘোষণা করুন যা জামাত করেছে । ওদের এই সৎ সাহস আছে । মুখে মধু অন্তরে বিষ না । তাহলে হবে কি সঙ্খালগুরা ও নিবিচারে দেশ ছাড়তে পারবে বা ভারত যদি আশ্রায় না দেয় সবাই এক সাথে আত্মহত্যা করবে তবে তো কারও আর তিলে তিলে মরা লাগবে না । আর মানবতা মনুসত্তের কি দরকার ও দিয়ে কি ধুয়ে পানি খাবে ? হিন্দুরা যদি মরে যায় তবে তারা এই ভেবে গর্ব করতে পারবে যে তাদের মধ্যে কেউ রাজাকার ছিল না । দেশ মাতৃকাকে জীবন দিয়ে ভালবেসে ছিল । আমি সংখ্যালঘু আমাকে দেশ ছাড়া করবেন না
তবে একটা অনুরধ রইল বাংলাদেশ সিরিয়া আফগানিস্থান হওয়ার আগে সবাই দেশ ছাড়ও কারণ আবার যদি গৃহ যুদ্ধ বাদে তোমরা তো রাজাকার হতে পারবা না আবার ভুল করে যুদ্ধে যাবা যুদ্ধে জয়ের পর কয়েকদিন আনন্দে লাফালাফি করবা । পরিণতি আবার একই হবে । জানিনা কি আমাদের পরিণতি । বাংলাদেশ এগিয়ে যাক অচেনার পথ ধরে । শুধু সবার কাছে একটাই অনুরধ আমাদের মারলে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে মারবেন যাতে করে আপনাদের প্রিয় মুখ গুলো আমাদের দেখা না লাগে । কারণ আপনারা কেউ ছিলেন আমাদের ভাইয়া কেউ ছিলেন চাচী কেউবা চাচা । আমরা কিন্তু বলিনা হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই । আমরা বলি জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিসে ঈশ্বর আর এটাই আমাদের গর্ব ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×