somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি বুঝলাম এবং বুঝলাম

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনলাইনে প্রায় একমাস কথা বলার পরে সে একদিন হঠাৎ করে তার আইডি ডিসেবল করে দেয়। আমার তার প্রতি যে ইন্টারেস্ট ছিল সেরকম কিছু না। কথা বলতে ভালে লাগতো তাই কথা বলতাম আর হঠাৎ করে একজন মানুষ উধাও হয়ে গেল, কোন সমস্যা হয়েছে হয়তো। তাই কয়েকদিন পরে তার নামবারে ফোন দিলাম, খোঁজ খবর নিয়ে ফোন রাখলাম। তার পাঁচ পর তার নাম্বার থেকে আমার নাম্বারে ফোন আসল। সে আমাকে প্রপোজ করল, আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম আমি ভালোবাসার মধ্যে আবদ্ধ থাকতে পারি না। সে আমার কাছে উল্টা ভয় দেখাল আমাকে বিয়ে না করতে পারলে সে আর কাউকে বিয়ে করবে না। তার বুঝানোর ক্ষমতা আছে বেশ ভালো। অনেক রকমের অনেক যুক্তি দাড় করাবে তার উদ্দেশ্য সফল করতে। সেদিন সে আমাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে সে দায়িত্বশীল মানুষ। সে সব ভয়ের মধ্যে সাহস যোগাতে পেরেছিল।
তারপর দুইজনের ভালোবাসাবাসি। কিন্তু দুইজনের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকার পরেও মনে হয়েছে যেন এটাই আসলে সত্য ভালোবাসা। তাকে ছাড়ার জন্য বন্ধু-বান্ধব মন্ত্রণা দিতো তাই তাদেরকেই ছেড়ে দিলাম। বলে রাখা ভাল, সে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। তাই এই পর্যন্ত তার সাথে সরাসরি দেখা হয়নি। কিন্তু ভিডিও কলে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হয়েছে। তার সাথে কথা বলে ফোনে কথা বলার সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছি। আহা, এর চেয়ে আর কোন প্রেম কি সত্য হতে পারে! সে আমাকে গিফট পাঠাল, আমিও তার জন্য গিফট পাঠালাম। এই প্রেম কি কখনো ভাঙতে পারে!
কিছুদিন পরে জানতে পারলাম তার নাকি অনেক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। সে নাকি ঐ মেয়েচার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল কিন্তু তাকে জোর করে বিয়ে দিয়েছে কিনেতু সে মেনে নেয়নি। সেটা ঘটেছিল তার অস্ট্রেলিয়া আসার আগের দিন। সেদিন যদি সে বিয়ে না করতো তাকে নাকি মেরে ফেলা হতো। তারপর আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছিল যে কারো প্রতি অন্যায় করছি কিনা। কিন্তু ভালোবাসার খাতিরে আমি সেটা তাকে কঠিনভাবে কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। তারপর তার পরিবারের কাছে নাকি আমি প্রসংশিত হয়েছিলাম। আমি নাকি আসলেই তাকে ভালোবাসি। এতো বড় সম্মান আমি কোথায় রাখি!
আমার অনুসন্ধানী মন যতই জানতে চাক তাকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবেনা। কত পথই হয়তো ছিল অনুসন্ধান করার কিন্তু তেমন কিছুই করিনি। মনে মনে আল্লাহর কাছে চেয়েছি যেটা ভালো হয় সেটাই যেন করে আল্লাহ কারণ কার ভুল সেটা আমি জানি না।
তবে তার দূরে সরে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করেও আমি পারছিলাম না। আমার ভালোবাসার দিক আর তার চেষ্টা ভালোভাবেই আমার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছিল।
দিন যাচ্ছে, ভালোবাসা যেন গভীর থেকে গভীরতম হচ্ছে। এই গভীরতার যে শেষ আছে ভালোবাসা জানতো না।
কিছুদিন আগে আবার আমাকে সে বুঝাল, আমিও বুঝলাম। কিন্তু এবারের টা ছিল অন্যরকম। তার অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব প্রয়োজন তাই তাকে অস্ট্রেলিয়ার কাউকে বিয়ে করতে হবে আর তাছাড়া তাকে অপেক্ষা করানো আমার উচিত হচ্ছে না। আমি আসলেই বুঝলাম তাকে তাকে অপেক্ষা করাচ্ছি আমার সুবিধার জন্য! আসলে আমার কখনোই উদ্দেশ্য ছিল না তাকে বিয়ে করে সুখি হওয়ার।
কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমরা যতই গলাবাজি করি আমরা একে অপরকে বুঝতে পারি, আসলে আমরা পারি না। কখনোই পারবো অন্যের জায়গায় নিজেকে দাড় করাতে। ভালো থাকুক সেই কামনাই করি।
সে বলেছিল তার নীলপদ্ম নিতে, নিয়েছি কিন্তু সে থাকেনি। আসলে নীলপদ্ম একটা ভুয়া জিনিস! নীলপদ্ম আমারও ছিল না তারও ছিল না।
ন্যায়-অন্যায়, ভুল-শুদ্ধ সবকিছু কেমন যেন গুলিয়ে যায় মানুষ যখন প্রেমে পরে। মানুষ তার ভালোবাসাকে সবকিছু দিয়ে হলেও রক্ষা করতে চায়। কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষগুলোই সময়মতো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আমরাই ভুল ছিলাম।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×