বিএনপি-ই গতকাল সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। বিএনপি এই সিটি নির্বাচনে একটা্ কারনেই অংশগ্রহন করেছে। সেটা হল: আওয়ামী লীগ বার বার বলে আসছে যে, বিএনপির জনপ্রিয়তান নাই। এই কথাটি মিথ্যা প্রমান করার জন্যই বিএনপি এই ইলেকশনে অংশ নিয়েছিল। সরকার বলে বেড়াচ্ছে বিএনপির সাথে দেশের জনগন নাই্। তারা জংলী দল। এই সরকার জাতীয় পার্টিকে বানিয়েছে বিরোধী দল। অথচ বিএপি আবারো প্রমান করলো,তারাই এই দেশর প্রধানতম দল। মাটি ও মানুষের দল। সারা ঢাকা শহড় আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে ফেলেছে। সব টিভি মিডিয়া প্রতিসনয়ত তাদের গুনগান করছে , কিন্তু জনগন এই সব বিশ্বাস না করেই লক্ষ লক্ষ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এই ভোট পেয়েছে মা্ত্র তিন ঘন্টায়। প্রত্যাহার না করলে বাকী সময় টুকু তাহলে কি পরিমান ভোট পেত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ যে ভোট তাদের পক্ষে দেখাচ্ছে তা ৯০পরসেন্ট জাল ভোট।
বিএনপি সিটি নির্বাচনে জয় লাভ করেলেই বা লাভ কি? এর আগে পাঁচ সিটিতে বিএনপি জয়লাভ করলেও তাদের মেয়ররা হয় পলাতক না হয় জেলে। সুতারং জয় এ কিছু যায় আসে না। আর আওয়ামী লীগ তার ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। সেটা হল ৫ই জানুয়ারীর মত ফাকা মাঠে গোল তারা বেজায় খুশি। তা ছাড়া তাদের উপারই বা কি?
নিলজ্জ সিইসি এর লজ্ঝা শরম না্ই। পুরো জাতিকে হতাশ করে তারা সেনাবাহিনী নিয়োগ না করে ভোট চুরিতে আবারো আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করল। ধিক্কার জানা্ই এই মানুষরূপী এই অমানুষগুলোকে ( নির্বাচন কমিশন)।
আমরা জানি ফুটবল খেলায় অন্যদল না থাকলে রেফারী ছাড়াই ইচ্ছা মত গোল না দিয়ে মাঠ ছেড়ে প্রতিপক্ষ দল মাঠ ছেড়ে চলে আসে। অথচ কতবড় নিলজ্জ আমাদের দেশের নেতারূপী মানুষ গুলো। বিএনপি নাই ,এজেন্ট নাই ,এ্ই অবস্থায় তারা খেলা চালিয়ে-ই গেল না,ভোট চুরি আরো ব্যপক আকারে তারা করেছে। পুরো ঢাকা শহড়ে নির্বাচনের একদিন আগে বিদ্যুৎ বিহীন করে রাতেই সব ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। তারপর সুবিধা জনক সময়ে সেগুলো গননার জন্য আনা হয়েছে। যার কারনে সকাল ৮.৩০ মিনিটেই ব্যলট পেপার এর সংকট দেখা দেয়।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমানতি হল এই সরকারের সাথে বাংলাদেশর জনগন নাই। সুতারং এখনোও সময় আছে জনগন কি চায় তা অনুবাধবন করুন। ফাকা মাঠে গোল দিয়ে ,বিনা ভোটে ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়ে তাকে জনসমর্থন বলে না। অন্যদিকে যে দলকে আপনারা বিরোধী দলের আসনে রাখছেন না, তারা আবারো দিত্বীয় (নির্বাচনে থাকলে প্রথম হত) দল হিসেবে ভোট পেয়েছে। বিরোধী দলের এই ভোট সম্পূর্ন রিয়েল ভোট। তাদের প্রাপ্ত ভোটে একটিও জাল ভোট নাই। আর আপনারা কিথাবে ভোট পেয়েছেন তা এই দেশের সকলেই দেখেছে।
প্রকৃত ভোট হলে আপনারা জামানত হারাতেন।
এভাবে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে,বিনা ভোটে ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়ে আর কত দিন দেশ চালাবেন? নকল তো বেশি দিন টিকে না। সুতারং অবিলম্বে জাতীয় ইলেকশন দিয়ে বিদায়ের পথ খুঁজুন। তা না হলে ২১ বছরের বদলে ৪২ বছরেও মানুষ আপনাদের আর গ্রহন করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪