বাংলাদেশর রাজনীতিতে কোন একটি রাজনীতিক দলকে পর পর দুই বার জনগন ক্ষমতায় বসায়নি। যত উন্নয়ন্ই করুন,স্বাধীনতার পর এর ব্যতিক্রম হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ইলেকশনে বিএনপিই ক্ষমতায় আসার কথা ছিল। জরিপগুলোও এমন আভাস দিচিছল। তার বাস্তবতা আমরা দেখতে পাই ৫ টি সিটি কর্পোরেশন ইলেকশনে বিএপির বিপুল বিজয়। সেই ইলেকশনকে কারচুপি হয়েছে দেশেী বিদেশী কেউ বলেননি। এরপরই আওয়ামী লীগ মহা চিন্তায় পড়ে গেল। কিভাবে বিএনপিকে ছাড়াই ইলেকশন না করেই/দুই নাম্বারি করে ক্ষমতা লাভ করা যায়,সেই ফন্দি করতে লাগল তারা। সেই মোতাবেক ৫ই জানুয়ারী কোন ইলেকশন না করেই ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করল। যা হবার তাই হল। ১৫৪ জন বিনা নির্বাচনে নিবাচিত হয়েই এর মিশন শুরু করল। নির্বাচনের নামে প্রকাশ্য এমন তামালা তারা করল।
ক্ষমতায় যাওয়ার ৯৯% সম্ভবনা থাকা সত্বেও বিএনপি কে ক্ষমতায় যেতে
দেওয়া হল না সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে।
এর পর থেকে বলঅ শুরু করল বিএনপি ইলেকশনে না গিয়ে ভূল করেছে। অথচ সর্বশেষ আমরা কি দেখলাম সিটি ইলেকশনে তারা কি করল। জাতীয় ইলেকশনে গেলেও এমনটাই আওয়ামী লীগ করত। এমনটা আশংকা করেই বিএনপি ইলেকশনে অংশগ্রহন করেননি।
কারো বাড়ীতে চোর বা ডাকাত যথন চুরি /করতে আসে। তখন চোর/ডাকাত তার কাজ করে চলে যায়। ঐ চোর/ডাকাত মনে করে যে, আমি অনেক কষ্ট করে সফল হয়েছি। মালিক/পুলিশ/জনগন আমাকে আটক করতে পারে না্ই। ঐ চোর বা ডাকাত তখন তৃপ্তির ডেকুর তুলে তার সহকর্মী অন্য চোর বা ডাকাতদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করে মহা আনন্দ উল্লাশ করে। বাড়ীর মালিক তার বাড়িতে চুরি বা ডাকাতি হওয়ার জন্য খুবই অসহায়বোধ করেন। কিন্তু তাকে কেউ এর জন্য দোষারপ করেন না। কিছু টাকা বা সম্পত্তি হানির জন্য বাড়ির মালিকের সাময়িক সমস্যা হয়্ । কিন্তু আাস্তে সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
তার বাড়িতে চুরি হয়েছে এইজন্য প্রতিবেশী বা কেউ তাকে এমন কথা বলেন না যে, অমুক শেষ। সে আর মাথা তুলে দাড়াতে পাড়বে না।
উপরের উদাহরনরে মতই বর্তমান অবস্থা বিএনপির । বিএনপি অবৈধ ইলেকশনে যায়নি,তাদের বিজয় রুদ্ধ করে দিনে দুপুরে ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা এখন চোর বা ডাকাতের মতই লম্বা লম্বা কথা বলছেন। অথচ এই চুরি বা ডাকাতির মধ্যে কোন ক্রেডিট নাই ,তা দেশের সকল জনগনই বুঝে।
অন্যদিকে বিএনপি চোর ধরতে পারে না্ই,বা চুরির বা ডাকাতির ইলেকশনে অংশ গ্রহন করেন নাই,তাই তারা নাকি অসহায় বাড়ি আওয়ালার মত শেষ হয়ে গেছে ।
অথচ বাস্তবতা হল আওয়ামী লীগ-ই শেষ হয়ে যাবে। জনগনের কাছে তারা চোর হিসেবে স্বীকৃত। ভাল ইলেকশন হলে তারা ভবিষ্যতে কখনও জিততে পারবে না।
বাংলাদেশরে রাজনীতিতে মহা আতেল এরশাদ আজ পত্রিকায় দেখলাম তিনি বলছেন ,বিএনপি নাকি শেষ হয়ে গেছে। অথচ এই আতেল এর মেয়র প্রাথীরা জামানত হারিযেছে বললে অনেক সন্মান দেখানো হবে ,বলতে হবে জনগন জুতার বাড়ি দিয়েছে ,যাতে তারা আর কখনও ইলেকশনে না দাড়ায়।
তাই বাঙলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান সৎ,ন্যায়নিষ্ট,শুদ্ধ।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান মিথ্যা,কপটতা,চালাকি,নকলবাজি,গায়ের জোর করে যেন তেন ভাবে ক্ষমতায় থাকা।
সুতারং পাঠক আপনারা বরুন কোন অবস্থাটা দীর্ঘস্থায়ী।
কে বিলিন হবে সময়ই বলে দেবে। জনগনের ভোট ছাড়া অত্যাচার নির্যাতন করে সাদ্দাম হোসেন ,আয়ুব খান,কর্নেল গাদ্দাপি,শেখ মুজিব এর পরিনতি সকলের জানা। রাজনীতি থেকে তারা স্বসন্মানে বিদায় নিতে পারেন নাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮