ইরোটিক সংস্কৃত কবিতা
বাংলা অনুবাদ: ঋতো আহমেদ
*
কবি: অভিনন্দা
এইভাবেই তাকে আমি দেখেছি
সিল্ক-কাপড়ে দ্রুতই সে ঢেকে ফেললো তার
কোমর আর বেঁধে নিলো প্রবল প্রেমের খেলায়
আলগা হওয়া কেশ; ভারী নিঃশ্বাস জানান দিলো
তার স্তনে আমারই নখের গভীর সব আঁচড়।
মনে পড়ছে সেই সাহসী শরীর, সঙ্গমের পর,
এইভাবেই যাকে আমি দেখেছি, আ-নত-মুখ।
*
কবি: এ্যনন
প্রেমীদের ঝগড়া
কথা বলতে না-চেয়ে, করুণভাবে,
দু'জন দু'দিকে ফিরে শুয়ে ছিল;
যদিও মনে মনে দু'জনই আশায় ছিল
বলার, কিন্তু মান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তারপর, ধীরে, চোখের কোণার দৃষ্টিতে
একে অপরকে দ্যাখে এক পলক। এবং
মুহূর্তে ঝগড়া হাসিতে ফেটে পড়ে আর
তারা ঘুরে একে অপরকে আলিঙ্গন করে।
অনুতাপ
"কী বোকা আমি! স্বামীর গলায় কেন যে আদর রাখিনি?
যখন চুম্বন করলেন তিনি, কেন যে মুখ নামিয়ে রেখেছিলাম?
কেন যে তাকালাম না? কেন যে কথা বললাম না তার সাথে?"
প্রেমের আনন্দে আত্মহারা, কচি বউটা এখন অনুতাপ করছে
নতুন বউ হিসেবে তার ভঙ্গিশূন্য সাদামাটা আচরণের জন্য।
*
কবি: আমারু
একটি অমিয় সুধার স্বাদ
নিতম্বে চাপড় মারতেই মেয়েটি চমকে ওঠে।
চেঁচিয়ে, ছেলেটির দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলে,
"থাম বলছি! ছাড় আমাকে, গুণ্ডা কোথাকার!"
রেগে একেবারে অগ্নিশর্মা সে:
পাতলা ভ্রু কুঁচকে
চোখ পাকিয়ে, ফোঁস করে উঠেছিল মেয়েটি।
এমন ঝাঁঝালো একটা আইটেমকে যে চুমু খেতে পেরেছে
সে যেন পেয়েছে এক অমিয় সুধার স্বাদ, যা পেতে
দেবতা বোকাচোদারা উন্মথিত করেছিল মহাসমুদ্র।
চিমটা
সে বললো, "আমাদের দৃঢ় আলিঙ্গনে ছড়িয়ে
যাওয়া চন্দন গুড়ায় এই শয্যা হয়ে গেছে দুরন্ত
আর জ্বালাময়, প্রিয়তমা।" আর, আমাকে
বসালো তার কোলের উপর, কামনায় ঠোঁট
কামড়ে দিলো আমার। এমনকি এই ডাকাত
তার পায়ের নখ দিয়ে খুঁচিয়ে, চিমটার মতো টেনে
আমার কাপড় খুলে ফেললো। পরে, আমাকে
সন্তুষ্ট করতে সবই করলো সে আমার সাথে।
বধূ
কাঁপা কাঁপা হাতে, মেয়েটি তার কাপড় খুলে ফেললো,
কুপির আগুনে পোড়ালো তার অবশিষ্ট পুষ্পমাল্য;
অবনত মস্তকে, লাজুক হেসে স্বামীটির চোখ হাত দিয়ে
ঢেকে রাখলো সে। সঙ্গম মুহূর্তে এমন মোহময়ী দৃশ্য
প্রত্যোকবার উপভোগ করার সৌভাগ্য হয় স্বামীটির।
২৫.০৩.২০২০
ছবি সূত্র: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৭