কালিদাস
হরিণের পলায়ন
যখন একটি দ্রুতগতির রথ তাকে অনুসরণ করে,
শৃঙ্খলার সাথে ঘাড় ঘুরিয়ে
পেছনে তাকায় সে আবার। আর—
ছুটে আসা তীরের আতঙ্কে,
তার কুঁজ ঢুকে যায় বুকের ভেতর:
উর্ধ্বশ্বাসে পালাতে গিয়ে, পথের উপর
রেখে যায় অর্ধ-দলিত ঘাসের চিহ্ন।
দ্যাখো, কীভাবে-যে উড়ে যায় বাতাসের ভেতর
মাটিকে একেবারে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে!
এমন নিষ্পাপ সরে-যাওয়া
যে মুহূর্তে আমার আঙুলগুলো তার কোমরের বিছা স্পর্শ করলো,
শিহরিত মেয়েটি আমার বিচরণশীল হাতের মধ্যে স্থির থাকলো;
আর, পরমুহূর্তে যখন আমার বুকের মধ্যে জাপটে ধরলাম,
দু’হাতে স্তন দু’টি আগলে বাধা দিলো সে; তারপর—
যখন আমি তার টানা-টানা-চোখের ওই চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকলাম,
লজ্জা পেয়ে, চকিতে মুখ ঘুরিয়ে নিলো অন্য দিকে। আসলে—
এমন নিষ্পাপ সরে-যাওয়ায় সে গ্রহন করে নেয় আমার হৃদয়ের সমস্ত কামনা।
আশীর্বাদপুষ্ট ঘুম
আমাকে দয়া করো, হে আশীর্বাদপুষ্ট ঘুম।
প্রিয়তমা আমার, মিনতি করছি, আর একটিবার মাত্র
দেখা দাও আমাকে, মুহূর্তের জন্য কেবল।
যখন সে দেখা দেবে, তাকে বাহুডোরে বেঁধে ফেলবো আমি
যেন পালাতে না-পারে।
আর যদি পালায়ও, আমিও পালাবো তার সাথে।
জঘনকপলা
বউ
বৃষ্টি মুখর রাতে ফাঁকা রাস্তা বেয়ে ঝড়ো
বাতাস ছাড়া আর কিছুই আসে না এক গুরু-নিতম্বিনী
নারীর জন্য, যখন তার স্বামী রয়েছেন দূরে।
কর্ণোৎপলা
বাতি
যখন তার ব্লাউজ খুললাম,
আড়াআড়ি হাত রেখে মুহূর্তেই সে তার স্তন ঢেকে ফেললো।
আর যখন তার পাছা থেকে হ্যাঁচকা টানে ছায়া খুলে ফেললাম,
শক্ত করে চেপে বন্ধ রাখলো দুই উরু।
আমার দু’চোখ তখন আটকে ছিল তার গোপন জায়গাগুলোয়
আর সে বিব্রত হয়ে লজ্জায় যেন মরে যাচ্ছিল।
তারপর, আচমকা তার কানের পদ্ম ছুড়ে দিয়ে
নিভিয়ে দিলো ওই কম্পমান আলোর শিখা।
অনুবাদে: ঋতো আহমেদ
০১.০৪.২০২০
ছবি: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২