somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টুকরো টুকরো কথামালা

১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগে আসলাম প্রায় পনেরদিন হয়ে গেলো।কিন্তু কি লিখবো বুঝতে পারছিনা।প্রতিদিনই ভাবি আজ কিছু লিখবো,কিন্তু হয়ে উঠেনা।ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ চাপা স্বভাবের।সবকিছু অকপটে বলতে পারিনা।কেমন যেন একটা দ্বিধা কাজ করে,ব্লগে লেখা বা ফেসবুক এসবের প্রতি কোনকালেই আমার কোন আগ্রহ ছিলোনা।তারপরও বন্ধু-শুভাকাংক্ষীদের অনুরোধে চলে আসলাম।বেশ কিছুদিন ঘুরলাম ব্লগে,সাবাই কত সুন্দর করে লিখে!! দেখি আমিও কিছু লিখতে পারি কিনা।প্রথম লেখা যেহেতু ,ভাবছি নিজেকে নিয়েই লিখবো।সবাই নিজের কথা,সংসারের কথা কত গুছিয়ে সুন্দর করে লিখে।আমি কিছুই পারিনা।
আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় পাচ বছর।হুট করেই বিয়েটা হল,আমার তেমন মত ছিলোনা।আর তাছাড়া হাসব্যান্ডের সাথে আমার বয়সের ব্যাবধানটাও একটু বেশী ছিল।বাবা মার উপর এত্ত মেজেজ খারাপ হল!!স্বামী বেচারাও একটু কেমন যেন,বেশীই চুপচাপ।প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো,তখনো পড়াশুনা শেষ হয়নি,তার উপর শ্বাশুড়ি ক্যান্সারের রোগী।আমিই ঘরের একমাত্র বউ,তো সবকিছুর দ্বায়িত্ব আমার উপরই।স্বামী বেচারার উপর ভীষন মেজেজ খারাপ হত,খুব রাগ করতাম মাঝে মাঝে অর সাথে।ওর জন্যই তো এই অবস্থা!এইসব রাগারাগি আর মান অভিমানের মধ্যে দিয়েই চলছিলো আমার সংসার।ছোটবেলা থেকেই ঘুমের মধ্যে হাত-পা ছোড়াছুড়ির অভ্যাস ছিলো আমার।এত সতর্ক থাকতাম!তারপরও প্রতিদিনই ও আমাকে খ্যাপাত-
-ঘুমের মধ্যে দিব্যি লাথি ঘুষি চালাও দেখছি,প্রতিশোধ নিচ্ছ নাকি??
আমি হেসে দিতাম।ইউনিভার্সিটির ক্লাশ শেষ হতে হতে মাঝে মাঝে সন্ধ্যা হয়ে যেত।এত মানা করা সত্বেও ক্লাশ শেষে দেখতাম গেটের সামনে ও দাঁড়িয়ে আছে।আমাকে বাসায় পৌছে দেবার জন্য অফিস ফেলে কাজ ফেলে এই অপেক্ষা।আমি অবাক হতাম!!লোকটার একটুও কষ্ট হয়না!! বিরক্ত লাগেনা??বিয়ের আট মাসের মাথায় আমার শ্বাশুড়ি মারা যায়।ভীষন ভেঙ্গে পড়ে ও।আমার এত কষ্ট লাগতো।হঠাত করেই ওকে খুব আপন মনে হতে লাগলো।
আমার শ্বশুর ও বেশ মজার মানুষ।দাবা খেলা উনার এত পছন্দ বলার মত না!কাউকে অবসর দেখলেই টেনে নিয়ে খেলায় বসিয়ে দেন।ঊনার ভয়ে বাসার সবাই লুকিয়ে থাকতো,কখন কাকে ডাক দিয়ে বসেন,না খেলে তো উপায় নেই।প্রতিনই ড্রয়িং রুমের পাশের বারান্দায় বসে থাকতেন দাবার গুটি নিয়ে।ক্লাশ শেষে বাসায় ফেরামাত্রই বলতেন
-বৌমা এসেছো?? চলো একদান খেলে নেই।
ওনার চোখে মুখে আনন্দের আভাস দেখে একমুহূর্তে সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে খেলতে বসে যেতাম আমি।আজ বাসায় ওরা কেউ নেই।স্বামীও না, শ্বশুরও না।পারিবারিক একটা কাজে তিনদিন যাবত ঢাকার বাইরে,খুব মিস করছি সবাইকে।বিশেষ করে আমার শ্বশুরের বৌমা ডাক!


৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×