ক্লিনিকালি ডিয়াগনসড ডিপ্রেশন ছাড়া কেউ নিজেকে ডিপ্রেসড বললে আমি বিশ্বাস করি না।
গ্রামের মানুষেরও ডিপ্রেশন হয়, ওরা শুধু ডিপ্রেশন শব্দের সাথে পরিচিত না। গ্রামের মানুষ এটাকে চিন্তা/দুশ্চিন্তা বলে চালিয়ে দেয়, এই চালিয়ে দেওয়াটাও এক ধরনের চিকিৎসা।
আগে বড়লোকদের ডায়বেটিস হতো, এখন গরীবেরও ডায়বেটিস হয়, কারণ সে টেস্ট করায়, আগে করতো না, এজন্য বলা হতো ডায়েবিটিস বড়লোকদের অসুখ।
গ্রাম এমনকি শহরের অনেকেই বেশিরভাগ মেন্টল ইলনেসকে জ্বীন ভূতের আছড় (আমি জ্বীন বা ব্লাক ম্যাজিকের অস্তিত্ব অস্বীকার করছি না) ইত্যাদি নামে সজ্ঞায়িত করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয় না, হয় ওঝার।
ওঝাও তার নিজস্ব কলায় যে চিকিৎসা করে তাও একধরনের মনোরোগের চিকিৎসা, অনেক রোগী সুস্থও হয়, সে শুধু সার্টিফাইড না বা তার চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের মতের অমিল আছে এই যা, যদিও অনেক ক্ষেত্রে তারা কুচিকিৎসা করে।
অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে তথাকথিত এইসব জ্বীনের আছড়ের বেশিরভাগই দূর করা সম্ভব,তখন এইসব রোগের নামও হবে বৈজ্ঞানিক, যেমন হিস্টোরিয়া ।
বড়লোকেরা যেভাবে ডিপ্রেশন সেলিব্রেট করে গ্রামের মানুষ সেভাবে সেলিব্রেট করে না, শহুরেরা যেকোনো দুশ্চিন্তাকে ডিপ্রেশন বলে ধরে নিয়ে নিজেকে এলিট এলিট মনে করে। অথচ বেশিরভাগ তথাকথিত ডিপ্রেশনই শারিরীক ব্যায়াম আর প্রেয়ার/মেডিটেশন এবং দুয়েকটা টুটকা আছে যেগুলো ফলো করলে চলে যায়।