মিছিলে দেখবেন স্লোগান দেয় "অমুকের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে" কিন্তু কেউ জুতা মারতে যায় না বা যাবেও না। ওয়াজে দেখবেন জেহাদের ডাক আসলে কে কে যেতে রাজি আছেন হাত তুলেন বলে, তখন সবাই হাত তুলে, এর মধ্যে কয়জন জিহাদে যাবে? "আল কোরানের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো" বলে মিছিল করে এসে নামাজ পড়েনা। একজন দেখছি ফেসবুক প্রোফাইল সাইদির ওয়াজ দিয়ে ভরা কিন্তু ব্যক্তি জীবনে নামাজ পড়েনা, রিজিকও হারাম তার। অনেক সময় মসজিদ নির্মাণ বা এইধরনের কাজের জন্য চাদা তোলার আয়োজন করলে অনেকেই সখে সখে বলে আমি দশ হাজার দিবো কিন্তু পরে তার কাছ থেকে সেই টাকা উদ্দ্বার করতে অরগানাইজারদের যে কি কস্ট করতে হয় তা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার চেয়ারম্যান, এমপি ইত্যাদি পোস্টে শপথ নেওয়ার সময় সবাই সৎ থাকার ওয়াদা করেন অথচ আমরা বাস্তব চিত্র ভিন্ন দেখতে পাই।
যা বলতে চাই সেটা হচ্ছে আমরা যা বলি সেটায় বিশ্বাস করি না, বলার খাতিরে বা দশজনের সাথে থাকতে গিয়ে সবাই যা বলে তা বলে ফেলি। আমাদের ভয় হচ্ছে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে দাড়ানো। এই স্রোতের বিপরীতে দাড়ানোটা দুইধরনের হতে পারে। এক, আপনি যেই মিছিলে মিথ্যা স্লোগান শেখানো হয় সেখানে যাবেন না। দুই, মিছিলে গেলে আপনি সেই মিছিলে যা বলছেন বাস্তব জীবনে তা এপ্লাই করবেন।
মিছিলে যখন জুতা মারার কথা বলা হয় তখন লিটারালি জুতা মারা বুঝায় না, মেটাফোর হিশেবে জুতা ব্যবহার করা হয়। সবাই জানে এখানে জুতা মারার কথা বলা হলেও আসলে আমরা জুতা মারবো না, এভাবে আমাদের মস্তিষ্ক প্রগ্রামড হয় যে যা বলা হচ্ছে সেটা করা জরুরি না।
আমাদের মনে একটা ধারণা পাকাপোক্ত হয়ে গেছে যে যা বলি সেটা করা জরুরি না, সেটা করতে হয় না। কথা আর কাজের মধ্যে ফারাক থাকা স্বভাবিক হয়ে গেছে।