১।
জফরি এপস্টেইনের আইল্যান্ড নিয়া অনেকেই জানেন, না জানলে অল্প করে বলে দেই, জফরি এপস্টেইনের একটা প্রাইভেট আইল্যান্ড ছিলো, সেখানে সে এলিটদের জন্য মেয়ে সাপ্লাই দিতো, যেই সেই এলিট না, প্রেসিডেন্ট, প্রিন্স টাইপ এলিট। সেখানে অনেক মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, অনেক আন্ডারএইজ মেয়েদেরও সেখানে নেওয়া হতো সেজন্য এই আইল্যান্ডকে পেডোফাইল আইল্যান্ডও বলা হয় ।
কয়েকদিন আগে এই আইল্যান্ডে কারা কারা যেতো তার একটা লিস্ট প্রকাশ পেয়েছে, নামগুলো দেখলে আপনার বিশ্বাস করতে মন চাইবে না। সেখানে আছেন বিল ক্লিনটন, বৃটেনের বর্তমান রাজা চার্লসের ভাই এন্ড্রু, স্টিফেন হকিং, ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া মাইকেল জ্যাকসন, কেভিন স্পেসি, রিচার্ড ব্রানসন, বিল গেটস সহ এইরকম লেভেলের এলিটদের নিয়মিত যাতায়াত ছিলো সেই আইল্যান্ডে, এছাড়া আরও অনেক বড় বড় বিজ্ঞানী, এমনকি নোবেল বিজয়ী পর্যন্ত সেখানে গেছেন ।
২০১৯ সালে এপ্সটেইনকে জেলে মৃত পাওয়া যায়, বলা হয় আত্মহত্যা করছে, কিন্তু আত্মহত্যা করছে না তার মুখ বন্ধ রাখতে তারে মারা হইছে কে জানে। তার ভাই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে।
২।
ধারণা করা হয় এপস্টেইন মোসাদের সাথে কাজ করতো, একজন মোসাদ এজেন্ট এক টিভি ইন্টারভিউতে সেটা স্বীকারও করেছে। সেখানে কুকর্ম করার সময় তারা অনেকের ভিডিও করে রাখতো, পরে সময় মতো সেইগুলা দিয়া ব্লাকমেল করতো। ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিল ক্লিনটন, আর প্রিন্স এন্ড্রুর ভিডিও যে করছিলো সেই ব্যাপারে কয়েকটা পত্রিকা নিউজ করছে দেখলাম। হঠাৎ একদিন এদের ভিডিও ভাইরাল হলে অবাক হবেন না। আর ক্লিনটন দম্পতি যে বাইসেক্সুয়াল সেটা অফিশিয়াল না হলেও কারও অজানা না।
সেই আইল্যান্ডে অনেক নামিদামি মডেল গেছেন টাকার লোভে পরে সেইসব বিকৃত মনমানসিকতার ব্যক্তিদের সাথে সময় কাটিয়ে ফেরে পরে আফসোস করেছেন, রোসালানা করসুনভা নামক এক মডেল তো আইল্যান্ড থেকে ফেরত এসে আত্মহত্যা করেছে।
৩।
তো এপস্টেইনের ক্লায়েন্ট লিস্ট প্রকাশ পাওয়ার পর এই নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হইছে। সেই ক্লায়েন্ট লিস্টে আছেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্রানসন। যিনি দুইদিন আগে আমাদের শান্তির বাকবাকুম ইউনুসরে নিয়া টুইট করছেন, যে ইউনুসরে জেল দেওয়া আইনের অপব্যবহার হেন তেন।
তো জফরি এপস্টেইনের গার্লফ্রেন্ড ও ক্রাইম পার্টনার (যে সেক্স ট্রাফিকিংয়ের জন্য বর্তমানে জেলে আছে) গিলেইন ম্যাক্সওয়েলের বোন ইজাবেল ম্যাক্সওয়েল ছিলো "গ্রামীন আমেরিকা"র একজন উপদেষ্টা, হ্যা আমাদের ইউনুস সাহেবের গ্রামীণ।
ইউনুস সাহেবের উঠাবসা হিলারি ক্লিনটনের সাথে, বিল ক্লিনটনের সাথে, রিচার্ড ব্রানসনের সাথে। দুনিয়ার জঘণ্যতম ক্রিমিনালের সাথে উনার চলাফেরা। আমি বলছি না যে তিনিও সেই আইল্যান্ডে গেছেন (যদিও গেলে অবাক হবো না, সংগ দোষ বলে একটা কথা আছে) তবে উনার যাদের সাথে উঠাবসা তা দেখলে উনি কোন "জাতের" মানুষ তা অনুমান করা যায়।
এক সুতোয় ক্লিনটন ফ্যামিলি, রিচার্ড ব্রানসন, এপসস্টেইন, এপ্সটেইনের গার্লফ্রেন্ড সব গাথা, আর তাদের সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইউনুস সাহেবের, ব্যাপারটা কি কাকতালীয়?
তবে লেখার উদ্যেশ্য উনি যে সেই আইল্যান্ডে গেছেন সে অভিযোগ আনা না, উদ্যেশ্য হচ্ছে উনি এমন দেউলিয়া হইছেন যে উনার ফেসবুক পেজে উনাকে নিয়ে করা রিচার্ড ব্রানসনের (Virgin airline এর মালিক) টুইট শেয়ার দিছেন, কতটা উন্মাদ হলে পরে মানুষ একটা সম্ভাব্য সেক্স অফেন্ডারের টুইট শেয়ার দেয়। আবার হ্যাশট্যাগ দেয় প্রটেক্ট ইউনুস ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৬