লক্ষ লক্ষ শহীদের নিবেদিত প্রান তাদের প্রতিটা রক্তকনা দিয়ে যেভাবে আমাদের নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার স্বাধ উপোভোগ করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে আমাদের পূর্বপুরুষগন সে স্বাধীনতা আমরা কতোটুকু ধরে রাখতে পারছি বা উপোভোগ করছি সেটা প্রশ্নবিদ্ধ করে বেরায় প্রতিটি মুক্তিপ্রান জীবনকে। মুক্তির উল্লাস যদি মুষ্ঠীমেয় কিছু মানুষের উপোভোগের জন্য হয় বা জাতীকে নগ্ন করে অপমান করে ছোট করে উল্লাস করা হয় তাহলে সে মুক্তি আমাদের প্রয়োজন কতোটুকুই বা ছিল ? প্রতিটি শহীদের কাছে এর জবাব দিতে আমরা বাধ্য নয়তো একদিন অভিশপ্ত হবো।
যে প্রজন্মের হাতে বিশাল বাংলার মুক্তির এই খোলা দুয়ার সেই দুয়ারে কেন হত্যা, নির্যাতন, প্রতারনা, অসভ্যতা হবে ? সেখানে তো ফুলের বাগানের চাষ করা, নতুন ফলন ফলানোর কথা ছিল। তবে কি আমরা ব্যার্থ ? নাকি অকৃতজ্ঞ হয়ে ভুলে গেছি পূর্ব পুরুষের দান। তরুন প্রতিটি প্রান এমন ভাবনা ভাবতে হবে তবে না আমরা আরেকটি মুক্তি দান করে যেতে পারবো আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। যারা আমাদের স্বরন করবে। গর্ববোধ করবে আমাদের নিয়ে। ঠিক যেমনটা করি আমরা আমদের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসবে। আমরা মানবজাতী কেও অমর না। তবে স্বরনীয় হয়ে পরবর্তী প্রজন্মে হয়তো গেঁথে থাকতে পারি চীরজীবন সেটাই কামনা করি আজ আমরা তরুরা। আমাদের বাবা মা ভাই বোন যখন তরুন ছিল তখন হয়তো এমন করে ভেবেছিল বলেই আজ আমরা মুক্ত স্বাধীন।
খাঁচায় বন্ধী বাঘ হতে চাইনা আমরা, খাঁচার বাঘতো শুধু শারীরিক গঠনে বাঘ মাত্র। মননশীলতায় সে শুধু দর্শনার্থীর উপোভোগের খোরাক মাত্র। আর কিছুই তার নেই। এর চেয়ে মুক্ত বনে ঘুরে বেড়ানো নিরীহ হরিণ অনেক ভাল। নিরীহ হলেও তার সরল ভিতু মনে নিজের জগতটায় বিচরন করে মুক্তমনে।
এসো তরুন নব প্রজন্ম শপথ করি আমাদের পূর্বপুরুষ যে উপহার আমাদের দিয়ে গেছে এই বাংলার জন্য আমরা তার থেকেও আরো সুন্দর ও নিরাপদ উপহার রেখে যাবো আমাদের ছেলেমেয় তথা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। এভাবেই প্রজন্মের পর প্রজন্মে শত ভুল ভ্রান্ত্রি দুর করে একদিন আমাদের বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আমাদের স্বপ্নের সেই গর্বিত বাংলাদেশ।